পাকিস্তানে উচ্চ আদালতে ১২৬ বিচারপতির মধ্যে নারী মাত্র ৭
পাকিস্তানের উচ্চ আদালতে কর্মরত ১শ ২৬ বিচারপতির মধ্যে ১শ ১৯ জন পুরুষ জন আর বাকি সাতজন নারী বলে জানা গেছে।
শনিবার (৩০ মার্চ) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক জরিপ প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করে।
খবরে বলা হয়, দ্য ল অ্যান্ড জাস্টিস কমিশন অব পাকিস্তানের (এলজেসিপি) জরিপ তথ্য উঠে এসেছে, উচ্চ আদালতের ১শ ২৬ জন বিচারপতির মধ্যে নারী বিচারপতির সংখ্যা মাত্র সাতজন। উচ্চ আদালতের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট, দ্য ফেডারেল শরিয়া কোর্ট এবং পাঁচটি হাইকোর্ট রয়েছে।
জরিপ প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘উইমেন ইন দ্য জাস্টিস সেক্টর’। এ জরিপের উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের বিচারিক ক্ষেত্রে কতজন নারী কর্মরত আছেন তা যাচাই করা। বিচারিক ক্ষেত্রের মধ্যে জজ, আইনজীবী, প্রসিকিউটরদেরও বিবেচনায় আনা হয়।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) এলজেসিপি এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, জরিপে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে ৩ হাজার একশ ৪২ জন জজ কর্মরত রয়েছেন। এদের মধ্যে পুরুষ হিসেবে কর্মরত আছেন ২ হাজার ৫শ ৭০ জন। আর নারী হিসেবে কর্মরত আছেন ৫শ ৭২ জন; যা মাত্র ১৮ শতাংশ।
জরিপে উঠে এসেছে, পাকিস্তানে বর্তমানে ১শ ২৬ জন বিচারপতির (সুপ্রিম কোর্ট, দ্য ফেডারেল শরিয়া কোর্ট এবং পাঁচটি হাইকোর্ট) মধ্যে পুরুষ ১শ ১৯ জন এবং নারী মাত্র সাতজন কর্মরত রয়েছেন। এক্ষেত্রে মাত্র ৫.৫ শতাংশ নারী বিচারপতি হিসেবে কাজ করছেন।
এর আগে ২০২১ সালে লাহোরে এক হোটেলে আয়োজিত ‘মেইনস্ট্রিমিং জেন্ডার ইকুয়ালিটি ইন জুডিসিয়ারি’ শিরোনামে এক সেমিনারে মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর একই ধরনের মন্তব্য করে বলেছিলেন, পাকিস্তানে বিচারিক ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ খুবই কম।
জরিপ প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে ১২ জন বিচারপতির মধ্যে মাত্র দুইজন নারী। সিন্ধু হাইকোর্টে তিনজন নারী বিচারপতি কর্মরত আছেন। তবে ফেডারেল শরিয়া কোর্ট, পেশোয়ার হাইকোর্ট এবং বেলুচিস্তানের হাইকোর্ট কোনো নারী বিচারপতি নেই।
জেলা পর্যায়ে ৩ হাজার ১৬ জন আইনজীবীর মধ্যে মাত্র ৫শ ৬৫ জন নারী আইনজীবী কাজ করছেন, যা শতাংশ হিসেবে ৫ শতাংশের চেয়েও কম।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, সারাদেশে বার অ্যাসোসিয়েশনে ২ লাখ ৩০ হাজার ৮শ ৭৯ তালিকাভুক্ত আইনজীবী রয়েছেন। এর মধ্যে এক লাখ ৯৮ হাজার ১শ জন পুরুষ এবং নারী ৪০ হাজার।
প্রতিবেদন সুপারিশ হিসাবে তুলে ধরে বলা হয়, বিচারিক ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীর অংশগ্রহণ কম। সে কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ আরো বেশি নিশ্চিত করতে সরকার ও অন্যান্য সংস্থাকে আহ্বান জানানো হয়।