পাকিস্তানে প্রবল বৃষ্টিপাতে নিহত ৫৯

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে টানা চার দিনের বৃষ্টিপাতে অন্তত ৫৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার (২০ এপ্রিল) খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) এই তথ্য জানিয়েছে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির সরকারি কর্মকর্তা ও উদ্ধারকারী কর্মীরা বলেছেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় টানা চারদিনের ভারী বৃষ্টিতে প্রদেশটিতে একদিনেই অন্তত ২১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ নিয়ে চারদিনের বৃষ্টির মাঝে ছাদ ধসে, সড়ক দুর্ঘটনায় ও পানিতে ডুবে প্রাণহানির সংখ্যা ৫৯ জনে পৌঁছেছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে অনেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

বৃষ্টিতে খাইবার পাখতুনখাওয়ার কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া দিনভর ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

উদ্ধারকর্মী ও কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, খাইবার পাখতুনখাওয়ার বাজাউরে চারজন, মারদানে তিনজন, মালাকান্দ, খাইবার, সোয়াত, লাক্কি মারওয়াত, আপার দির ও মহমান্দে দুজন এবং লোয়ার দির ও বান্নুতে একজন করে নিহত হয়েছেন।

পাকিস্তান আবহাওয়া অধিদপ্তর (পিএমডি) মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) পর্যন্ত সারা দেশে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। আরেকটি শক্তিশালী পশ্চিমী তরঙ্গ দেশের পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশের সম্ভাবনা ছিল বলেও জানানো হয়।

কেপিতে, পিএমডি বুধবার রাত থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত শাংলা, বুনের, বাজাউর, খাইবার এবং পেশোয়ারসহ আশেপাশের অঞ্চলে বৃষ্টি-ঝড়ো ‍বৃষ্টি বা বজ্রঝড় (কিছু ভারী, বিচ্ছিন্ন খুব ভারী বর্ষণসহ) উচ্চ পাহাড়ের উপর তুষারপাত এর পূর্বাভাস দিয়েছে।

দেশটির জরুরি সেবা সংস্থা ১১২২ বলেছে, বাজাউরের লোইসাম এবং সালারজাইয়ের মালাসাইদ এলাকায় ভারি বৃষ্টির সাথে সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনায় নিহত চারজনের মধ্যে এক বয়স্ক দম্পতি আছে। একইভাবে মারদানের ক্যাম্প করোনা এলাকায় বাড়ির ছাদ ধসে তিনজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার থেকে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে তুমুল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। টানা বৃষ্টিতে প্রদেশটিতে জনজীবনে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে ঘরবাড়ি ধসে যাওয়ায় অনেক পরিবার আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া প্রদেশের কিছু সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধের পাশাপাশি কিছু এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।