সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগে ভারতের সমালোচনা 

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুরে রাজ্য ২০২৩ সালে সংঘটিত দাঙ্গায় হয়রানির শিকার হয়েছে সাংবাদিক ও সংখ্যালঘুরা। এছাড়া ভারতজুড়ে সাংবাদিক ও ভিন্নমতাবলম্বীরা মোদি সরকার ও তার সমর্থকদের চাপ প্রয়োগ ও হয়রানির শিকার হয়েছে। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত বার্ষিক মানবাধিকার মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। তবে প্রতিবেদনের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি ওয়াশিংটনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস।

বিজ্ঞাপন

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মণিপুরে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ ও সাংবাদিক-ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

দেশটির একটি আদালতের আদেশকে কেন্দ্র করে গত বছরের মাঝামাঝি মণিপুরে দুই উপজাতি কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাতের শুরু হয়। সেই সংঘাত সহিংসতায় অন্তত ২০০ জনের মৃত্যু হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সংঘটিত দাঙ্গায় অন্তত ৬০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতের অন্যান্য অংশেও সরকার ও এর সমর্থকরা গণমাধ্যম ও সরকারের সমালোচকদের ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি ও হয়রানি করেছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, ২০২৩ সালে ভারতের বিবিসি কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর বিভাগ। হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনামূলক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রকাশের পর এই তল্লাশি চালানো হয়।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস ২০২৩ সালে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতকে ১৬১তম স্থানে রেখেছিল, যা দেশটির ইতিহাসে সর্বনিম্ন অবস্থান।

মার্কিন মূল্যায়ন প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা তাদের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়িয়ে সহিংসতার আহ্বান জানানোসহ নানা অভিযোগ করেছেন। তবে মোদি সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, তার নীতিমালা সব ভারতীয়র উপকারের লক্ষ্যেই প্রণীত। 

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ, মোদির শাসনামলে জলবায়ু পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এছাড়া তার আমলে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রয়োগ এবং অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নামে মুসলিম স্থাপনা ভেঙে ফেলার মতো কাজ করা হয়েছে।

তারপরও চলতি বছরের নির্বাচনে রেকর্ড আসন নিয়ে মোদির দলের তৃতীয়বারের মতো জয় পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচনী জরিপ সংস্থাগুলো।