চীনের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি, জার্মান রাজনীতিকের সহযোগী গ্রেপ্তার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
|
ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক
চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক কট্টর ডানপন্থী সাংসদের সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে জার্মানির পুলিশ।
প্রসিকিউটররা মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ঘোষণা করেছেন যে, জিয়ান জি বেশ কয়েক বার চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের কাছে ইউরোপীয় সংসদের কার্যকারিতা সম্পর্কে তথ্য প্রেরণ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এই গ্রেপ্তার ইউরোপে সতর্কতা জাগিয়েছে যে, আগামী জুনে ইইউ নির্বাচনের আগে গণতন্ত্র হুমকির মুখে রয়েছে। কারণ, এই গ্রেপ্তারের ঘটনার মাধ্যমে বেইজিংয়ে ক্ষোভ উস্কে দেওয়া হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি কোন রাজনীতিবিদের সহযোগী ছিলেন তা প্রকাশ করেনি জার্মান কর্তৃপক্ষ। তবে, মিডিয়া জানিয়েছে যে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি ম্যাক্সিমিলিয়ান ক্রাহের সহযোগী ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
ম্যাক্সিমিলিয়ান ক্রাহ হলেন আসন্ন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য জার্মানির (এএফডি) দলের চরম ডানপন্থী অল্টারনেটিভ ফর এমইপি প্রধান প্রার্থী।
প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, সোমবার (২৩ এপ্রিল) গভীর রাতে জিয়ান জি’কে ড্রেসডেনে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি চালানো হয়।
গত জানুয়ারিতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আলোচনা ও সিদ্ধান্তের তথ্য পাচারের পাশাপাশি তিনি জার্মানিতে চীনা বিরোধী ব্যক্তিদের উপরও গুপ্তচরবৃত্তি করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। যদি নিশ্চিত করা হয় যে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অভ্যন্তরে চীনা গোয়েন্দাদের জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করা হয়েছে, তবে এটি ইউরোপীয় গণতন্ত্রের উপর ভেতর থেকে আক্রমণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের সদস্যকে যিনি নিয়োগ দিয়েছেন, এই দায় তারও রয়েছে। মামলাটি অবশ্যই পরিষ্কার করা উচিত।’
এএফডি একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই গ্রেপ্তারের ঘটনা খুব বিরক্তিকর।’
এএফডি মুখপাত্র মাইকেল ফালজগ্রাফ বলেছেন, ‘যেহেতু আমাদের কাছে মামলার আর কোনো তথ্য নেই, তাই আমাদের ফেডারেল প্রসিকিউটরদের দ্বারা আরও তদন্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
এদিকে, এই গ্রেপ্তারের ঘটনাকে বেইজিংকে কলঙ্কিত করার এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য অজ্ঞাত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করার প্রচেষ্টা বলে সকল অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘এই ধরনের প্রচারের উদ্দেশ্য খুবই সুস্পষ্ট। এর উদ্দেশ্য চীনকে অপমান করা এবং দমন করা এবং চীন ও ইউরোপের মধ্যে সহযোগিতার পরিবেশ ধ্বংস করা।’
ধেয়ে আসছে ‘শহর খুনি’ গ্রহাণু, ভারতসহ বাংলাদেশের ক্ষতির শঙ্কা!
নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
ভারতসহ বাংলাদেশের ক্ষতির শঙ্কা!
আন্তর্জাতিক
পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে পারে অতিকায় গ্রহাণু, নিমেষে মুছে যেতে পারে একাধিক দেশ! জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের এমন পূর্বাভাসে আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব। গ্রহাণুর আঘাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কোন প্রান্ত? এর থেকে বাঁচার নেই কি কোনও উপায়? ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিশ্লেষণ।
যে গ্রহাণুর ধাক্কায় পৃথিবী তছনছ হওয়ার আশঙ্কা, তার পোশাকি নাম ২০২৪ ওয়াইআর৪। সম্প্রতি এর হদিস মিলতেই মহাকাশ গবেষকদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। গ্রহাণুটি চওড়ায় ৪০ থেকে ১০০ মিটার বলে জানিয়েছেন তারা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ‘শহরের খুনি’ বা ‘সিটি কিলার’।
২০২৪ ওয়াইআর৪-এর খোঁজ মেলা ইস্তক সেটির ওপর কড়া নজর রেখে চলেছে বিশ্বের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। আমেরিকার নাসা, রাশিয়ার রসকসমস, চিনের সিএনএসএ থেকে শুরু করে ভারতের ইসরো। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের হিসাব অনুযায়ী, ২০৩২ সাল নাগাদ পৃথিবীর আঘাত হানতে পারে গ্রহাণু। আর ঠিক তখনই ধাক্কা লাগার আশঙ্কা করছেন তারা।
নাসা জানিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে টেলিস্কোপের সাহায্যে গ্রহাণুটিকে ভালভাবে পর্যালোচনা করার সুযোগ পাওয়া যাবে। তার পর কিছু দিনের জন্য মহাশূন্যে অনেকটা দূরে চলে যাবে ২০২৪ ওয়াইআর৪। তাই এর ওপর নজরদারিতে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
মহাকাশ গবেষকদের দাবি, গ্রহাণুটি মহাশূন্যে হারিয়ে গেলে ফের তার গতিপথ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন হবে। সে ক্ষেত্রে ২০২৮ সাল পর্যন্ত তাঁদের অপেক্ষা করতে হতে পারে। তবে ২০২৪ ওয়াইআর৪-এর গতি এবং কক্ষপথই বলে দেবে এটি পৃথিবীর জন্য কতটা বিপজ্জনক, বলছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে গ্রহাণুটির ছবি তুলে নিতে চাইছেন। এতে মহাজাগতিক বস্তুটিকে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করার কাজ অনেক বেশি সহজ হবে। পৃথিবীর থেকে এর বর্তমান দূরত্ব এখনও পরিমাপ করতে পারেননি মহাকাশ গবেষকেরা। ফলে ২০২৪ ওয়াইআর৪ মানবজাতির জন্য কতটা বিপজ্জনক, তা এখনই নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছে না কোনও সংস্থাই।
তবে একটি ব্যাপারে দুনিয়ার তাবড় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একমত। সেটা হল গ্রহাণুটির আকার, গতি এবং গঠনের ওপর নির্ভর করবে বিপদ। ২০২৪ ওয়াইআর৪ আকারে অস্বাভাবিক বড় হলে ধাক্কার অভিঘাত সহ্য করা যথেষ্ট কঠিন হবে। তবে এ ব্যাপারে এখনই কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করতে চাইছেন না তারা।
বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগার পরিবর্তে এর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়বে ওই গ্রহাণু। আর সঙ্গে সঙ্গে বাতাসে হবে বিরাট বিস্ফোরণ, যা ৮০ লক্ষ টন ট্রাই নাইট্রো টলুইনের (টিএনটি) সমতুল্য হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ জাপানের হিরোশিমায় ফাটা পরমাণু বোমার থেকে ৫০০ গুণ বেশি শক্তিশালী বিস্ফোরণ সইতে হবে পৃথিবীকে।
বিশেষজ্ঞেরা আরও জানিয়েছেন, ওই বিস্ফোরণ কোথায় হচ্ছে তার উপর নির্ভর করবে এর অভিঘাতের পরিমাণ। তবে সাধারণ ভাবে ৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে সেটি বিরাট ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তাঁরা। আর তাই পৃথিবীর কোন প্রান্ত ‘গ্রহাণু দুর্ঘটনাপ্রবণ’, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
২০২৪ ওয়াইআর৪-এর ঝুঁকির বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভে প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার ডেভিড র্যাঙ্কিন এবং তাঁর দলকে দিয়েছে নাসা। গ্রহাণুটির গতিবেগ হিসাব কষে পৃথিবীর কোন কোন এলাকায় এটির আছড়ে পড়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি, সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট দিয়েছেন তাঁরা। সংশ্লিষ্ট রিপোর্টটি প্রকাশ্যে এনেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
র্যাঙ্কিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্রহাণুটি উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া, আরব সাগর অথবা আফ্রিকার যে কোনও জায়গায় আছড়ে পড়তে পারে। এর জন্য বড় ক্ষতি হতে পারে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইথিওপিয়া, সুদান, নাইজ়েরিয়া, ভেনেজ়ুয়েলা, কলম্বিয়া এবং ইকুয়েডরের। তবে এই তালিকা যে কোনও সময়ে বদলে যেতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে নাসা।
গ্রহাণু ধাক্কার এই সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে মানবজাতিকে বাঁচাতে সমস্ত আন্তর্জাতিক সংগঠনকে একজোট হয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ২০২৪ ওয়াইআর৪ পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এলে তাকে কী ভাবে ঠেকানো যাবে, তার নীল নকশা অবশ্য এখনও তৈরি করা যায়নি। ফলে যত দিন গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা।
পৃথিবীর সঙ্গে গ্রহাণু বা ধূমকেতুর ধাক্কা লাগার সম্ভাব্য বিপদের পরিমাণ করে থাকে টোরিনো স্কেল। এতে ১১ পয়েন্টে রেটিং দেওয়া হয়। রেটিং যত বেশি হবে ততই আঘাত এবং ধ্বংসের ঝুঁকি বেশি হবে বলে মানেন দুনিয়ার তামাম জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
গ্রহাণুটির হদিস মেলার পর পৃথিবীর সঙ্গে এর আঘাতের আশঙ্কা ১.২ শতাংশ বলে অনুমান করা হয়েছিল। পরে এই অঙ্ক বেড়ে দাঁড়ায় ২.৩ শতাংশ। বর্তমানে সেটি সামান্য নেমে দুই শতাংশে দাঁড়িয়ে রয়েছে। অর্থাৎ গ্রহাণুটির পৃথিবীর গা ঘেঁষে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা ৯৮ শতাংশ।
আশ্চর্যজনক বিষয় হল, বিজ্ঞানের বরপুত্র তথা মাধ্যাকর্ষণের আবিষ্কর্তা আইজ্যাক নিউটনও একটি চিঠিতে পৃথিবীর ধ্বংসের কথা বলেছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, ২০৬০ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে মাত্র ৩৫ বছর পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে পারে গোটা বিশ্ব। আর সেটা হবে গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষে। ১৭০৪ সালে ওই চিঠি লেখেন নিউটন।
পৃথিবীর ধ্বংসের দিনক্ষণ গণনার পদ্ধতিটিও চিঠিতে উল্লেখ করেন নিউটন। তাঁর দাবি ছিল, বাইবেলের ‘বুক অফ ড্যানিয়েল’-এ উল্লেখ করা তারিখ এবং সময় গণনা করে নির্দিষ্ট বছরটি নির্ধারণ করা গিয়েছে। নিউটনের লেখা চিঠিটি বর্তমানে জেরুসালেমের হিব্রু ইউনিভার্সিটির সংগ্রহশালায় সুরক্ষিত রয়েছে।
নিউটনের মতে, রোমান সাম্রাজ্য পতনের ১২৬০ বছর পর পৃথিবী ধ্বংসের লীলাখেলায় মেতে উঠতে পারে। নিউটন যে সময়ে এই গণনা করেছিলেন, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে এই সময়কে অনেক মনে হয়েছিল। তিনি ভেবেছিলেন যে, কয়েক বছরের মধ্যেই এ সব নিয়ে আলোচনা বন্ধ হয়ে যাবে।
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, ১০০ বছর পর পর মাঝারি আকারের গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হয়। বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে এসে তাতে আগুন ধরে যায়। খুব কম অংশ জল অথবা স্থলভাগে এসে পড়ে। তীব্র গতিবেগে আসার ফলে সেখানকার এলাকায় গ্রহাণুর ওজনের কারণে গর্ত তৈরি হতে পারে।
বর্তমানে ২০২৪ ওয়াইআর৪-র সঙ্গে পৃথিবীর ধাক্কা লাগা সংক্রান্ত রেটিং তিন বলে ধরা হয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গ্রহাণুটির গতিপথ সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে রেটিং শূন্যে নেমে যেতে পারে। তখন আর এটির পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ার কোনও আশঙ্কাই থাকবে না।
আশ্চর্যজনক বিষয় হল, বিজ্ঞানের বরপুত্র তথা মাধ্যাকর্ষণের আবিষ্কর্তা আইজ্যাক নিউটনও একটি চিঠিতে পৃথিবীর ধ্বংসের কথা বলেছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, ২০৬০ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে মাত্র ৩৫ বছর পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে পারে গোটা বিশ্ব। আর সেটা হবে গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষে। ১৭০৪ সালে ওই চিঠি লেখেন নিউটন।
নতুন আত্মঘাতী ও গোয়েন্দা ড্রোন উন্মোচন করল আইআরজিসি
ডেস্ক রিপোর্ট, বার্তা২৪.কম
|
ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক
ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি বৃহৎ সামরিক মহড়ায় ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস গ্রাউন্ড ফোর্স নতুন আত্মঘাতী এবং গোয়েন্দা ড্রোন উন্মোচন করেছে। সোমবার থেকে ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ‘পায়াম্বার-এ-আজম (মহান নবী) ১৯’ যুদ্ধ মহড়া শুরু করেছে আইআরজিসি। মহড়ার সময় আইআরজিসি গ্রাউন্ড ফোর্স দেশীয়ভাবে তৈরি ড্রোনের একটি সিরিজ ব্যবহার করেছে। খবর তাসনিম নিউজ
আইআরজিসি এমন সময়ে এই ড্রোন উন্মোচন করল, যখন ইসরাইল এ বছরের মাঝামাঝি ইরানে বড় ধরণের হামলা চালাতে পারে বলে খবর দিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
যুদ্ধ মহড়ায় উন্মোচিত নতুন মনুষ্যবিহীন বিমানের মধ্যে রয়েছে ‘বিনা’, একটি হাইব্রিড রিকনাইসেন্স ড্রোন যার অপারেশনাল রেঞ্জ ৪০ কিলোমিটার, ‘কান্দিল ৪ এবং ৫’ রিকনাইসেন্স ড্রোন যার রেঞ্জ ১০০ কিলোমিটার এবং ফ্লাইট এন্ডুরেন্স ৫ এবং ১০ ঘন্টা, পাশাপাশি ‘আরবাইন’ ভিটিওএল (উল্লম্ব টেক-অফ এবং ল্যান্ডিং) ড্রোন, একটি মনুষ্যবিহীন বোমারু ড্রোন যা ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ৭ কেজি ওজনের বোমা বহন করতে পারে।
মহড়ায় ব্যবহৃত অন্যান্য নতুন ড্রোনগুলি হল ‘রা’দ-২’ আত্মঘাতী ড্রোন যার পাল্লা ২০ কিলোমিটার এবং ৫ কেজি ওজনের ওয়ারহেড, ‘রা’দ-৩’ আত্মঘাতী ড্রোন যার পাল্লা ১০০ কিলোমিটার এবং ১২ কেজি ওজনের ওয়ারহেড এবং ‘সায়েকহ’ আত্মঘাতী ড্রোন যার পাল্লা ২০ কিলোমিটার এবং এক কেজি ওজনের ওয়ারহেড।
আইআরজিসি ‘সাবের’ কমব্যাট মাইক্রো এরিয়াল ভেহিকেলও উন্মোচন করেছে, যা ৫ কিলোমিটারের মধ্যে বিভিন্ন এন্টি-ট্যাঙ্ক এবং এন্টি ট্যাঙ্ক পার্সোনেল অস্ত্র বহন করতে পারে। মহড়ার প্রথম পর্যায়ে, আইআরজিসি গ্রাউন্ড ফোর্স ‘রেজওয়ান’ নামে একটি নতুন লোটারিং ড্রোন উন্মোচন করেছে যার পাল্লা ২০ কিলোমিটার এবং উড়ানের ক্ষমতা ২০ মিনিট। নতুন ড্রোনগুলি আইআরজিসি গ্রাউন্ড ফোর্স ইউনিটগুলিকে পাহাড়ি অঞ্চলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে আরও কার্যকরভাবে লড়াই করতে সক্ষম করেছে।
‘কামিকাজে ড্রোন’ বা ‘আত্মঘাতী ড্রোন’ নামেও পরিচিত-এটি একটি নির্দিষ্ট ধরণের অস্ত্র যা সুনির্দিষ্ট আক্রমণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। একবার চালু হয়ে গেলে, এই সিস্টেমগুলি লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত এবং ট্র্যাক করার জন্য উন্নত অপটিক্যাল এবং তাপীয় সেন্সর ব্যবহার করে। তারা সম্ভাব্য হুমকির জন্য স্ক্যানিং করে, নির্ধারিত আকাশসীমায় টহল দেয় এবং যখন লক্ষ্যবস্তু খুঁজে পায়, তখন তারা সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ে, শত্রুদের ধ্বংস নিশ্চিত করার জন্য নিজেদের বিস্ফোরণ ঘটায়।
নজরদারি এবং আঘাত করার ক্ষমতার এই অনন্য সমন্বয় আধুনিক যুদ্ধে লোটারিং গোলাবারুদকে অত্যন্ত কার্যকর করে তোলে। এই ধরনের অস্ত্র স্থল যুদ্ধ এবং আক্রমণ-বিরোধী অভিযানেও বিশেষভাবে কার্যকর।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘নির্দিষ্ট সরকারকেন্দ্রিক’ হওয়া উচিত নয়
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নির্দিষ্ট সরকারকেন্দ্রিক হওয়া উচিত নয়। ভারত ও বাংলাদেশে যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন- তা দুই দেশের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলা উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন। যার মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ, ভারত থেকে শেখ হাসিনার বক্তব্য, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড এবং জেলেদের প্রতি দুর্ব্যবহার, সেইসাথে আদানি বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিষয়গুলো।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যমটি এক প্রতিবেদনে এই খবর জানায়।
এর আগে ওমানের রাজধানী মাস্কাটে অষ্টম ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের ফাঁকে গত রোববার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সাক্ষাৎ হয়। এর পরের দিনই দ্য হিন্দুকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারত ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এমন এক ধরনের সম্পর্কে অভ্যস্ত ছিল এবং হঠাৎ করেই খুব দ্রুত সেটি ভেঙে পড়ে। হয়তো নতুন বাস্তবতার সাথে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লেগেছে, তার সম্পর্কে বৈরি মনোভাব এবং অস্বস্তি অবশ্যই ছিল। কিন্তু আমি মনে করি ছয় মাস পরে, এটি আসলে শেষ হওয়া উচিত এবং আমাদের এমন একটি পরিবেশ দরকার যেখানে আমরা একে অপরের সাথে কাজ করতে পারি। ছয় মাস আগের তুলনায়, অবশ্যই আমরা এখন একে অপরের সাথে আরও ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারি।’
ওয়াশিংটনে ট্রাম্প-মোদির বৈঠকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারত যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল, তা নিয়ে জয়শঙ্করকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন কিনা জানতে চাইলে তৌহিদ বলেন, ‘আসলে তা নয়। আমি জিজ্ঞাসা করিনি কারণ এটি ভারতের ব্যাপার। আমি মনে করি না খুব বেশি উদ্বেগ থাকা উচিত। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া উচিত, যা ইতোমধ্যে কিছু ক্ষেত্রে ঘটছে। উদাহরণস্বরূপ, বাণিজ্যে। বাণিজ্যে স্বল্প সময়ের জন্য কিছুটা সমস্যা ছিল, কিন্তু তা আবার বেড়েছে।’
সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দু বা অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুসলিম বা সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের মতোই সমান নাগরিক। তারা সম-অধিকার এবং একই রকম সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারসম্পন্ন নাগরিক। এবং এটা বাংলাদেশ সরকারের কাজ, তারা এটা করছে, দেশের অন্য যেকোনো নাগরিকের মতোই তাদের (সংখ্যালঘুদের) সুরক্ষা দেওয়া।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে ভারতের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ‘তার (হাসিনা) বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এবং হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে আমরা ভারতকে তাকে পাঠাতে বলেছি। যতক্ষণ না ভারত সরকার এটি না করছে, আমরা আশা করব যে- তারা অন্তত তার ওপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে যাতে তিনি উস্কানিমূলক এবং মিথ্যা বিবৃতি না দিতে পারেন যা জনগণের মধ্যে ক্ষোভ জাগিয়ে তোলে, কারণ বিষয়গুলো এখনও খুব তরতাজা।’
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নিরাপত্তার বিষয়ে তৌহিদ বলেন, ‘২০২৪ সালে সীমান্তে ২৪ জনকে গুলি করা হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও এটা করা হয় না। ভারতের পক্ষ থেকে প্রায়ই বলা হয় যে যেহেতু অপরাধ আছে, তাই এটা ঘটছে। বিশ্বের প্রতিটি সীমান্তে অপরাধ আছে। কোথাও এভাবে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয় না।’
আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চুক্তির শর্তাবলী পুনর্মূল্যায়ন করা যেতে পারে। যদি উভয় পক্ষ সম্মত হয়, তাহলে বিষয়টি যৌক্তিকভাবে পুনর্বিবেচনা করা সম্ভব।’
বাংলাদেশে আটক ভারতীয় জেলেদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তৌহিদ বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই তদন্তের জন্য অনুরোধ করেছি, এবং যদি আমরা দেখতে পাই যে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর কেউ জড়িত ছিল, অথবা তারা আইন ভঙ্গ করেছে, তাহলে অবশ্যই আমরা তা বিবেচনা করব।’
প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা আছে কিনা এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখন পর্যন্ত দুই নেতা একই দিনে কোনো একটি জায়গায় ছিলেন না, তাই তাদের সাক্ষাতের কোনো সুযোগ হয়নি। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যে, উভয়পক্ষেরই সাক্ষাৎ করার ইচ্ছা এবং মুক্ত মনে ও খোলামেলাভাবে আলোচনা করার আগ্রহ আছে। তবে বৈঠকের ব্যাপারে কোনো মতৈক্য হয়নি। এটা এখনো তেমন পর্যায়ে যায়নি। কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়ে গেলে এবং সম্পূর্ণ হয়ে গেলে, আমরা কয়েক দিন আগে এই বিষয়গুলি ঠিক করি। দেখা যাক কী হয়।
লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়ায় একটি বাস খাদে পড়ে কমপক্ষে ৩১ জন নিহত এবং আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৪ শিশু রয়েছে, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া বাকিরা গুরুতর আহত অবস্থায় অস্ত্রোপচারের জন্য চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, সোমবার পশ্চিম বলিভিয়ার পোটোসি এবং ওরুরো বিভাগের সংযোগকারী মহাসড়কের পাশে একটি পাবলিক ট্রানজিট বাস খাদে পড়ে যায়। এতে কমপক্ষে ৩১ জন নিহত এবং আরও এক ডজনেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে।
বিভাগীয় পুলিশ কমান্ডের মুখপাত্র কর্নেল লিমবার্ট চোক স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ৩১ জন নিহত হয়েছেন। আমরা এখনও মৃতদেহ উদ্ধার করছি।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাসটি রাস্তা থেকে ছিটকে যাওয়ার আগে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং ৮০০ মিটার গভীর খাদে পড়ে যায়।
পাহাড়ি পথটি আকা-বাঁকা ও বাঁক পূর্ণ জানিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বাসের গতি দুর্ঘটনার একটি কারণ হতে পারে।