ইউক্রেনের ৬৮টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে রাশিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ ক্রাসনোদর অঞ্চলে এবং অধিকৃত ক্রিমিয়ার আকাশে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থেকে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত ইউক্রেনের ৬৮টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে রাশিয়া। রয়টার্সকে খবরটি নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, ড্রোনগুলোর মধ্যে ৬৬টি ক্রাসনোদারে এবং বাকি দুটি ক্রিমীয় উপদ্বীপে ভূপাতিত করা হয়।

এদিকে, গোলাবারুদ, অস্ত্র এবং অন্যান্য যুদ্ধের সরবরাহ দ্রুত ইউক্রেনে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অগ্রযাত্রা থামাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটিকে সমর্থন করার জন্য অনেক বিলম্বিত বিলে স্বাক্ষর করার পর গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।

মোট ৯৫ বিলিয়ন তহবিলের চূড়ান্ত অনুমোদিত বিলের মধ্যে কিয়েভের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। যুদ্ধক্ষেত্রে বিপর্যয়ের সম্মুখীন ইউক্রেনের জন্য কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক বিতর্কের পর এই অনুমোদন দেওয়া হলো।

জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এই সপ্তাহান্তে প্রতিনিধি পরিষদে এবং সিনেটে অনুমোদিত জাতীয় সুরক্ষা প্যাকেজ আইনে স্বাক্ষর করেছি।’

আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে শিপমেন্টগুলো শুরু হবে বলে নিশ্চিত করছেন তিনি।

বাইডেনের বক্তব্যের কয়েক মিনিট পর পেন্টাগন নতুন তহবিল ব্যবহার করে কিয়েভের জন্য ১ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে রয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা যুদ্ধাস্ত্র, আর্টিলারি রাউন্ড, হাইমার্স রকেট লঞ্চারের জন্য গোলাবারুদ, ট্যাঙ্ক-বিরোধী অস্ত্র এবং সাঁজোয়া যান।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বিল পাসের পরপরই দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বিল অনুমোদনের জন্য বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি লিখেছেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কংগ্রেস এবং সমস্ত আমেরিকানদের কাছে কৃতজ্ঞ।’

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বুধবার নিশ্চিত করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভের দীর্ঘস্থায়ী অনুরোধ পূরণ করে মার্চের সহায়তা প্যাকেজের অংশ হিসাবে ইউক্রেনে গোপনে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে।

পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের অনুরোধে তাদের অপারেশনাল নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য শুরুতে এটি ঘোষণা করিনি।’ তিনি বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্রগুলো চলতি মাসে ইউক্রেন হাতে পেয়েছে।’

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে আরও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।

   

রাফাহ ছেড়ে পালিয়েছে ৮০ হাজার মানুষ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তাকারী জাতিসংঘ সংস্থা বৃহস্পতিবার (৯ মে) জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজা নগরীর দক্ষিণে সামরিক অভিযান জোরদার করার পর থেকে গত তিন দিনে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ রাফাহ ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানিয়েছে এএফপি।

পরিবারগুলোর অসহনীয় ক্ষতি সম্পর্কে সতর্ক করে ইউএনআরডব্লিউএ এক্স-এ জানিয়েছে, গত ৬ মে ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক অভিযান জোরদার হওয়ার পর থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে রাফাহ ছেড়ে অন্যত্র পালিয়েছে এই ৮০ হাজার মানুষ।

এদিকে, ফিলিস্তিনি অবরুদ্ধ গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালে তৃতীয় গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এতে ৪৯ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।

বুধবার (৮ মে) দেশটির সরকারি মিডিয়া অফিস এ তথ্য জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সংবাদমাধ্যম আনাদুলু আজান্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আল-শিফা হাসপাতালে সন্ধান পাওয়া গণকবর থেকে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। আরও অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে সাতটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে।

মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, আল-শিফা হাসপাতালে তিনটি গণকবর, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে তিনটি এবং উত্তর গাজার কামেল আদওয়ান হাসপাতালে একটি গণকবর পাওয়া গেছে।

এতে আরও বলা হয়, সাতটি গণকবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫২০টি মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বর হামলা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে হামাস।

ইসরায়েলি নৃশংস হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৪ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৭৮ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক।

;

তিনটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতি বিদ্রোহীরা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এডেন উপসাগরে দুটি এবং ভারত মহাসাগরে একটি জাহাজে হামলার দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।

ইরান-সংযুক্ত এই গ্রুপটির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বৃহস্পতিবার (৯ মে) বলেছেন, এডেন উপসাগরে এমএসসি ডিয়েগো এবং এমএসসি জিনাকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথ মেরিটাইম ইনফরমেশন সেন্টার জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলেও তাতে জাহাজ দুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং ক্রুরা নিরাপদ ছিল।

মধ্যপ্রাচ্যে শিপিংয়ে হুথি হামলার প্রতিক্রিয়া জানানো দেশগুলোর একটি জোট এই মেরিটাইম ইনফরমেশন সেন্টার আরও বলেছে, জাহাজগুলো সম্ভবত ইসরায়েলি সংশ্লিষ্টতার কারণে হুতিদের লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল।

দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পানামার পতাকাবাহী কন্টেইনার জাহাজ দুটির মালিকানা জেনেভাভিত্তিক একটি কোম্পানির।

হুতিরা ভারত মহাসাগরে তাদের তৃতীয় হামলায় কন্টেইনার জাহাজ এমএসসি ভিটোরিয়াকে লক্ষ্যবস্তু করার দাবি করেছে।

উল্লেখ্য, সারি এই মাসের শুরুর দিকে সতর্ক করে দিয়েছিল যে, তারা ইসরায়েলের বন্দরগামী জাহাজগুলোতে হামলা চালাবে। তিনি ঘোষণা করেছিল যে, এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা যেকোনো এলাকায় পৌঁছাতে পারি।’

প্রসঙ্গত, হুতিরা নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর, বাব আল-মান্দাব প্রণালী এবং এডেন উপসাগরের গুরুত্বপূর্ণ শিপিং চ্যানেলগুলোতে জাহাজের উপর বারবার ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে।

গোষ্ঠীটি বলেছে, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি এবং ইসরায়েলকে যুদ্ধ থেকে ফেরাতেই এ পথ বেছে নিয়েছে তারা।

;

‘অস্তিত্বের হুমকিতে পড়লে পরমাণু নীতি পরিবর্তন করতে পারে ইরান’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার (৯ মে) হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইসরায়েল যদি ইরানকে অস্তিত্বের হুমকিতে ফেলে তাহলে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে মনোনিবেশ করতে পারে তেহরান।

আল জাজিরা জানিয়েছে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা কামাল খাররাজি বলেছেন, ‘আমাদের পারমাণবিক বোমা তৈরির কোনো সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু, ইরানের অস্তিত্ব যদি হুমকির মুখে পড়ে তাহলে আমাদের সামরিক রীতি পরিবর্তন করা ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না।’

তিনি ইরানের স্টুডেন্ট নিউজ নেটওয়ার্ককে বলেছেন, ‘আমাদের পারমাণবিক স্থাপনায় ইহুদিবাদী শাসকদের দ্বারা আক্রমণের ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিরোধের ধরন তখন পরিবর্তিত হবে।

কামাল খাররাজির এই মন্তব্যে পরে ইরান দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি বলে যা দাবি করে আসছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে মত বিশ্লেষকদের।

উল্লেখ্য, খামেনি ২০০০ সালের গোড়ার দিকে একটি ফতোয়া বা ধর্মীয় আদেশে পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশ নিষিদ্ধ করেছিলেন।

কিন্তু ২০২১ সালে ইরানের তৎকালীন গোয়েন্দা মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘পশ্চিমা চাপ ইসলামী প্রজাতন্ত্রকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে প্ররোচিত করতে পারে।’

এরই মধ্যে ইরান ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিশুদ্ধতা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, যেখানে অস্ত্র-গ্রেড ইউরেনিয়াম প্রায় ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ হয়েছে।

আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সরকারি হিসাব অনুসারে, ইরানের হাতে থাতে পারমাণবিক উপাদান আরও সমৃদ্ধ হলে, এটি দুটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য যথেষ্ট হবে।

প্রসঙ্গত, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাস কম্পাউন্ডে সন্দেহভাজন ইসরায়েলি হামলার পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ছায়াযুদ্ধ খোলামেলা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

ওই হামলায় ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) সাত সদস্য নিহত হয়।

জবাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রায় ৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে প্রতিশোধ নেয় ইরান।

অন্যদিকে, ২০১৭ সাল থেকে সিরিয়ায় ইরান এবং লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুক্ত লক্ষ্যবস্তুতে নিয়মিত আক্রমণ চালাচ্ছে ইসরায়েল।

গত অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ হামলার তীব্রতা আরো বেড়েছে।

;

পশ্চিমা শক্তি বিশ্বজুড়ে সংঘাত সৃষ্টি করছে : পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিমা শক্তিকে বিশ্বব্যাপী সংঘাতের ঝুঁকির জন্য অভিযুক্ত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

আল জাজিরা জানিয়েছে, পশ্চিমা শক্তিকে ‘উগ্র’ বলেও আখ্যায়িত করেছেন তিনি।

পুতিন সতর্ক করে বলেছেন, পরমাণু যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে মস্কো।

রাশিয়ার বিজয় দিবসে মস্কোর রেড স্কয়ারে বৃহস্পতিবার (৯ মে) হাজার হাজার সেনার আনুষ্ঠানিক পোশাকে সজ্জিত হওয়ার আগে একটি প্রতিবাদী বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘পশ্চিমা শক্তি নাৎসিবাদকে পরাজিত করার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকা ভুলে গেছে এবং এখন তারা বিশ্বজুড়ে সংঘাত সৃষ্টি করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি এই ধরনের উচ্চাকাঙ্ক্ষার বাড়াবাড়ি কোন দিকে নিয়ে যায়। বৈশ্বিক সংঘর্ষ ঠেকাতে সবকিছু করবে রাশিয়া। তবে একই সঙ্গে আমরা কাউকে আমাদের হুমকি দেওয়ার অনুমতি দেব না। আমাদের কৌশলগত বাহিনী সর্বদা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।’

রাশিয়ার সেনাদের ইউক্রেনে অগ্রসর হওয়ার এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করার পর তিনি পঞ্চম মেয়াদে শপথ নেওয়ার ঠিক পরেই বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে পুতিনের এই ভাষণ আসলো।

এর দুই দিন আগে অনুষ্ঠিত একটি জমকালো অনুষ্ঠানে তিনি রাশিয়ানদের বিজয় এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

এদিকে, ৭১ বছর বয়সি এই নেতা চলতি সপ্তাহের শুরুতে রাশিয়ার নৌবাহিনী এবং সামরিক বাহিনীকে পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।

;