মুখে অস্ত্রের চালান বন্ধের হুমকি দিলেও বাইডেন করছেন উল্টো!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় বড় ধরনের অভিযান চালালে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ইসরায়েলকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিতে যাচ্ছে।

বুধবার (১৫ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলকে নতুন করে আরও ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিতে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বকে দেখাতে এবং দেশটির সাধারণ জনগণের চাপ সামলাতে বাইডেন প্রশাসন মুখে অস্ত্রের চালান বন্ধের হুমকি দিলেও বাস্তবে তা হচ্ছে উল্টো।

গত সপ্তাহে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে বলেছিলেন, তারা যদি রাফাতে হামলা চালায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলে বোমার চালান স্থগিত করে দেবে। এর এক সপ্তাহ পরেই এ তথ্য সামনে আসলো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসন অনানুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসেকে এই অস্ত্র প্যাকেজের বিষয়টি জানিয়েছে। ইসরাইলকে এ সহায়তা দেওয়ার জন্য মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।

কংগ্রেসের এক সহকারী বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নির্মাতাদের কাছ থেকে কেনা এই অস্ত্রের মূল্য প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নতুন করে অস্ত্রসহায়তা দেওয়ার যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে প্রায় ৭০ কোটি ডলারের ট্যাংকের গোলা, ৫০ কোটি ডলারের কৌশলগত সামরিক যান ও ৬ কোটি ডলারের মর্টারের গোলা।

তবে কত দ্রুত এসব অস্ত্রশস্ত্র ও গোলা পাঠানো হবে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

ফিলিস্তিনের গাজার ঘনবসতিপূর্ণ রাফা শহরে ইসরায়েলের সর্বাত্মক স্থল অভিযান শুরুর সম্ভাবনার প্রেক্ষাপটে দেশটিতে চলতি মাসে অস্ত্রের এক চালান পাঠানোর বিষয়টি স্থগিত করে মার্কিন প্রশাসন। এরই মধ্যে দেশটিকে আবার বিপুল পরিমাণে অস্ত্র ও গোলা পাঠানো নিয়ে ওই তথ্য বেরিয়ে এল। স্থগিত করা চালানের মধ্যে রয়েছে ২,০০০ পাউন্ড পর্যন্ত ওজনের ৩ হাজার ৫০০ বোমা।

   

যুক্তরাষ্ট্রের গাজা পরিকল্পনা মানবে ইসরায়েল, চুক্তি চূড়ান্তের আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দেওয়া ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির রূপরেখা’ ত্রুটিপূর্ণ হলেও ইসরায়েল সেটি মেনেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর উপদেষ্টা ওফির ফক।

রোববার (২ জুন) ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষৎরে ফক নিশ্চিত করে বলেন, ‘বাইডেনের প্রস্তাবমতো আমরা একটি চুক্তিতে রাজি হয়েছি। চুক্তিটি ভাল নয়। এটি ত্রুটিপূর্ণ। তবে আমরা সব জিম্মির মুক্তি চাই।’

বাইডেনের গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির রূপরেখার খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আরও কাজ করতে হবে বলে জানান ফক। 

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের হাতে থাকা সব জিম্মির মুক্তি এবং প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে হামাসকে ধ্বংস করার শর্ত থেকে ইসরায়েল সরে আসেনি।

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে মধ্যস্থতাকারীরা হামাস ও ইসরায়েল উভয় পক্ষকেই বাইডেনের প্রস্তাবিত রূপরেখা মেনে নেওয়া এবং বন্দিমুক্তির বিষয়ে একমত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। যাতে গাজাবাসী এবং জিম্মিদের পরিবারগুলোও তাৎক্ষণিকভাবে স্বস্তি পায়।

তবে ইসরায়েল বলছে, হামাস গাজার ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত যুদ্ধ শেষ হবে না। ইসরায়েলের এই অবস্থানের কারণে বাইডেনের গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।

বাইডেন শুক্রবার (৩১ মে) ইসরায়েল সরকারের দেওয়া একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি সামনে এনেছেন, যার রূপরেখা প্রণয়ন করেছেন তিনি-ই। এ পরিকল্পনায় ৩টি স্তর বা পর্যায় রয়েছে।

প্রথম স্তরে গাজায় ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার কথা বলা হয়েছে। এ পর্বে রাফাসহ গাজার অন্যান্য জনবহুল এলাকাগুলো থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে এবং ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি কয়েক শ’ ফিলিস্তিনির মুক্তির বিনিময়ে হামাস তাদের কব্জায় থাকা কয়েকজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে।

তাছাড়া, এ ছয় সপ্তাহে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করবে শতাধিক ত্রাণবাহী ট্রাক। হামাস, ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা ও প্রতিরক্ষাবাহিনী এ পর্যায়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা চালাবে। এ আলোচনা ৬ সপ্তাহের মধ্যে শেষ না হলে পরিকল্পনার প্রথম পর্ব বা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়বে।

স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য হামাস এবং ইসরায়েলের ঐকমত্যের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে গাজায় শান্তি পরিকল্পনার প্রথম স্তর।তারপর শুরু হবে ২য় স্তর।

দ্বিতীয় পর্বে জিম্মিদের সবাইকে মুক্তি দেবে হামাস এবং এর বিনিময়ে গাজার অধিবাসীরা পাবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি। তৃতীয় পর্যায়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ভবন-রাস্তাঘাট নির্মাণ, অর্থাৎ পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে।

গত কয়েকমাস ধরে বাইডেন কয়েকটি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। সেই প্রস্তাবগুলোও ছিল মূলত একইরকম। এমনকী গত শুক্রবার তিনি যে প্রস্তাবের রূপরেখা প্রণয়ন করেছেন সেটিও প্রায় একইরকম। কিন্তু সব প্রস্তাবই ভেস্তে গেছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে বাইডেন বলেছিলেন, মার্চের পবিত্র রমজান মাসে ইসরায়েল লড়াই বন্ধে রাজি হয়েছে। কিন্তু সেই মাসে ইসরায়েলকে কোনও যুদ্ধবিরতি করতে দেখা যায়নি।

;

এনএলডির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা টিন ও মারা গেছেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা টিন ও (৯৭) মারা গেছেন। শনিবার (১ জুন) তিনি ইয়াঙ্গুনে একটি হাসপাতালে মারা যান বলে জানিয়েছেন দাতব্যকর্মী মোহ খান

মোহ খান বলেন, বুধবার থেকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ছিলেন টিন ও। কি কারণে তিনি মারা গেছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। কারাবন্দি অং সান সুচির সঙ্গে তিনি এনএলডি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মিয়ানমারের দাতব্য কর্মীরা তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজন করেন।

বার্তাসংস্থা এপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনা শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে ব্যর্থ হওয়ার পর অং সান সুচিকে তিনি ১৯৮৮ সালে এনএলডি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন। ওই সময়ে তিনি দলটির ভাইস চেয়ারম্যান হন। পরে দলের চেয়ারম্যান হন। পরের বছরই তাদের বিরুদ্ধে সেনা সরকার যখন দমনপীড়ন চালায়, তখন টিন ও’কে রাখা হং গৃহবন্দি। একই পরিণতি হয় অং সান সুচির।

সুচির মতোই তিনিও ২১ বছরের মধ্যে ১৪ বছর গৃহবন্দি অথবা জেলে ছিলেন। এরপর ২০১০ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। দলটি ১৯৯০ এর নির্বাচনে বিজয়ী হয়, কিন্তু সামরিক জান্তা সেই ফলকে বাতিল করে দেয়। যখন দলটিকে পুরোপুরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে দেয়া হয়, তখন টিন ও এর সিনিয়র নেতা এবং উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাকে জনসভায়ও দেখা যেতে থাকে। ২০১৫ সালের নির্বাচনে সুচির প্রচারণায় সহায়তা করেন তিনি। ওই নির্বাচনে দল ভূমিধস জয় পায়।

;

ট্রাম্পের জেল চান পর্ন তারকা স্টর্মি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তার জেল দাবি করেছেন সাবেক পর্ন তারকা স্টর্মি ডানিয়েলস (৪৫)।

এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে স্টর্মি ডানিয়েলস সতর্ক করে বলেন, এই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী পরিপূর্ণভাবে এবং আক্ষরিক অর্থে বাস্তবতার বাইরে। 

সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্টর্মি ডানিয়েলসের অভিযোগ তার সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। তারপর ২০১৬ সালে প্রথম তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন। সে সময় স্টর্মি ডানিয়েলস যাতে এই সম্পর্ক নিয়ে মুখ না খোলেন সে জন্য তাকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ অভিযোগের সঙ্গে মোট ৩৪টি অভিযোগেই ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। স্টর্মি ডানিয়েলস বলেছেন, আমি মনে করি ট্রাম্পকে জেল দেয়া উচিত। কিছু কমিউনিটি সার্ভিসে কাজ করতে দেয়া উচিত।

নিউ ইয়র্কের আদালত তার সাক্ষ্যকে বিশ্বাস করে ট্রাম্পকে দ্রুততার সঙ্গে অভিযুক্ত করেছে, এটা দেখে স্টর্মি ডানিয়েলস বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি মনে করেন, এ জন্য ট্রাম্পের সমর্থকদের কাছ থেকে তিনি হত্যার হুমকি থেকে মুক্তি নাও পেতে পারেন। ট্রাম্পের সে সময়কার আইনজীবী মাইকেল কোহেন তাকে অর্থ দিয়েছেন, এ নিয়ে যখন থেকে তিনি মুখ খুলেছেন, তখন থেকেই এমন হুমকি পাচ্ছেন ডানিয়েলস।

তিনি বলেছেন, আদালতে আমি পুরো সময়ই সত্য কথা বলেছি। বিষয়টি শেষ হয়ে যায়নি। আমার জীবন থেকে এটা কখনোই সরে যাবে না। ট্রাম্প হয়তো দোষী হয়েছেন। কিন্তু এই লিগ্যাসি নিয়েই আমাকে বেঁচে থাকতে হবে।

;

ভারতে হিটস্ট্রোকে ৩৩ পোলিং কর্মীর মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে শনিবার (১ জুন) ভোটের শেষ দিনে মাত্র একটি রাজ্যেই হিটস্ট্রোকে কমপক্ষে ৩৩ জন পোলিং কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এই পরিসংখ্যানে নিরাপত্তারক্ষী এবং স্যানিটেশন কর্মীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের রাজ্যের প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা নভদীপ রিনওয়া রোববার (২ জুন) বলেন, শনিবার নির্বাচনের সপ্তম ও শেষ দিনে গরমের কারণে ৩৩ জন পুলিং কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, ভারতের অনেক জায়গায় তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছাড়িয়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহে একদিনে অনেক পোলিং কর্মীর মৃত্যু একটি ভয়াবহ ঘটনা। 
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে তাপমাত্রা ৪৬.৯ ডিগ্রি (১১৬ ফারেনহাইট) সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

রিনওয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিহতদের পরিবারকে ১৫ লক্ষ রুপি (১৮,০০০ ডলার) আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।’  

;