রাইসিকে কেন ভয় পেত ইসরায়েল

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের সবচেয়ে ‘বড় শত্রু’ ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ইরানের পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে অনেকেই তাকে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উত্তরসূরি বলে মনে করতেন। এমনকি খামেনির চেয়েও রাইসিকেই বেশি ভয় পেতেন ইসরায়েলের নেতারা।

দীর্ঘদিনের বোঝাপড়ার কারণে রাইসিকে খামেনির উত্তরসূরি মনে করা হতো। আর এটাই ইসরায়েলের নেতাদের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ৮৫ বছর বয়সী খামেনি প্রায় অসুস্থ থাকছেন, তাই রাইসির মতো একজন কট্টর নেতা ইরানের পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা হলে, ইসরায়েলকে এক দণ্ডও শান্তিতে থাকতে দিতেন না।

বিজ্ঞাপন

এর নমুনাও কয়েক সপ্তাহ আগে দেখেছে ইসরায়েল। দাপটের সাথে ইসরায়েলে ড্রোন হামলা চালায় ইরান। এছাড়াও অনবরত হুঁশিয়ারি দেওয়া রাইসিকে খামেনির চেয়েও বেশি ভয় পেতেন ইসরায়েলের নেতারা।

২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ইরানের নীতি আইন আরও কঠোর করেন রাইসি। এর ফলে দেশটিতে সরকারবিরোধী অভিযানে বন্ধে আরও কঠোর হয় দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি জোরালো আলোচনা চালিয়েছেন রাইসি। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির তত্ত্বাবধানে দীর্ঘ দিন ধরে বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে ১৯৮৮ সালে ইরান-ইরাক যুদ্ধ শেষে বহু রাজনৈতিক বন্দির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন রাইসি। রাইসি শত শত রাজনৈতিক কারাবন্দিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় ‘বুচার অব তেহরান’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছিলেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন তিনি।

জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সমালোচনাও কুড়িয়েছিলেন রাইসি। ২০০৬ সাল থেকে অ্যাসেম্বলি অব এক্সপার্টের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এই অ্যাসেম্বলি অব এক্সপার্ট সর্বোচ্চ নেতা নিয়োগ এবং পরামর্শ দেওয়া কাজ করে থাকে।