মিয়ানমারের বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা এবং আন্তঃসাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ার কারণে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার (২১ মে) এ কথা জানিয়ে বলেছে, ‘রাখাইনের সহিসংতা নৃশংসতার দিকে চলে যেতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর রাখাইন অধ্যুষিত শহরগুলোকে জ্বালিয়ে দেওয়া এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ সকল বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করার খবর উদ্ধৃত করে এ কথা বলেছে।

গত নভেম্বরে আরাকান আর্মি (এএ) দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীকে আক্রমণ করার পর থেকে রাখাইনে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, যা ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর করা যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানও সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্রের মতো একই রকম সতর্কতা জারি করে বলেছেন, জাতিগত রাখাইন ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা চলছে এবং মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এই উত্তেজনাকে আরো প্ররোচিত করছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রাখাইন রাজ্যে এবং সারা মিয়ানমারে আন্তঃসাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর ইতিহাস ছাড়াও রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে সেনাবাহিনীর গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অন্যান্য অপরাধের ঘটনা বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মারাত্মক বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘বর্তমান বর্ধিত সহিংসতা এবং আন্তঃসাম্প্রদায়িক উত্তেজনা আরও নৃশংস ঘটনা ঘটার ঝুঁকি বাড়িয়েছে।’

মিয়ানমারের সামরিক শাসক এবং সকল সশস্ত্র গোষ্ঠীকে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা এবং নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহয়তার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মিলার।

আরাকান আর্মি হল মিয়ানমারের সীমান্ত অঞ্চলের বেশ কয়েকটি সশস্ত্র জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে একটি, যারা ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে স্বায়ত্তশাসন এবং লাভজনক সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিতে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করেছে।

আরাকান আর্মি ২০১৯ সালে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় এবং সেই সংঘর্ষে প্রায় দুই লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।

উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী ২০১৭ সালে সেখানে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু করে, যা এখন জাতিসংঘের গণহত্যা আদালতের মামলার বিষয়।