ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে রাশিয়ার আরেক জেনারেল আটক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বড় অংকের ঘুষ নেওয়ার সন্দেহে সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফের উপ-প্রধান লেফটেন্যান্ট-জেনারেল ভাদিম শামারিনকে আটক করেছে রাশিয়া।

আল জাজিরা জানিয়েছে, এ নিয়ে এক মাসে চতুর্থ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করলো মস্কো প্রশাসন।

একটি সামরিক আদালত বুধবার (২২ মে) আদেশ দেন যে, জেনারেল শামারিন, যিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান যোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রধানের পদে রয়েছেন, ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে তাকে দুই মাসের জন্য কারাগারে পাঠানো হবে।

সামরিক চুক্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি বন্ধ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে অন্যান্য শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের পর শামারিনকে আটক করা হলো।

এই মাসের শুরুতে ইউক্রেন আক্রমণের সাবেক শীর্ষ কমান্ডার মেজর-জেনারেল ইভান পপভ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মী অধিদপ্তরের প্রধান লেফটেন্যান্ট-জেনারেল ইউরি কুজনেটসভকে ঘুষের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

গত এপ্রিলে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী তৈমুর ইভানভকেও ঘুষের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

এরপর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শোইগুকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করেন। তার স্থলাভিষিক্ত হন অর্থনীতিবিদ আন্দ্রেই বেলোসভ।

ইউক্রেনের যুদ্ধের শুরুতে কিয়েভ দখল করতে রাশিয়ার ব্যর্থতার জন্য শোইগুকে ব্যাপকভাবে দায়ী করা হয়েছিল এবং ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান প্রয়াত ইয়েভজেনি প্রিগোজিন তাকে অযোগ্যতা এবং দুর্নীতির জন্য অভিযুক্ত করেছিলেন।

শামারিন জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভের একজন ডেপুটি এবং জেনারেল স্টাফের প্রধান।

তবে, গেরাসিমভের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি, যদিও তিনি মাঝে মাঝেই ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর কর্মক্ষমতা নিয়ে কঠোর সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই একটি চলমান প্রচেষ্টা। এটা কোনো প্রচারণা নয়। এটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কার্যক্রমের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।’

   

জাতিসংঘ সম্পর্কে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ গুতেরেসের 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আন্তোনিও গুতেরেস

আন্তোনিও গুতেরেস

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা ইস্যুতে জাতিসংঘ সম্পর্কে মিথ্যে ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। নাম উল্লেখ না করলেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধেই যে তিনি অভিযোগ তুলেছেন তা স্পষ্ট।

সোমবার (২৪ জুন) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গুতেরেস নিজে এই অভিযোগ তুলেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইসরায়েলের নাম উল্লেখ না করে মহাসচিব বলেন, একটি মহল সম্প্রতি গুজব ছড়াচ্ছে যে (গাজায় হামাস-ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে) আমি কখনও হামাসের প্রতি ক্ষোভ বা নিন্দা জানাইনি। এমনকি আমাকে হামাসের সমর্থক বলে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তব সত্য হলো, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত আমি কমপক্ষে ১০২ বার প্রকাশ্যে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে হামাসের নিন্দা জানিয়েছি। ৫১ বার জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে এবং বাকি ৫১ বার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।’

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের জাতিসংঘ দূত গিলাদ এরদান সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে হামাসের প্রতি জাতিসংঘের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিলেন।

এরদান বলেছিলেন, ‘গুতেরেসের একমাত্র লক্ষ্য হলো হামাসকে টিকে থাকতে সাহায্য করা। সেক্রেটারি-জেনারেল জাতিসংঘের মান মেনে চলতে অস্বীকার করেন এবং সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার বিকৃত ব্যাখ্যা দেন, যা আমরা নিন্দনীয় মনে করি। মহাসচিব সন্ত্রাসীদের একজন পৃষ্ঠপোষক এবং তার আজকেই পদত্যাগ করা উচিত।’

এরদানের এমন বক্তব্যের পর এবার আত্মপক্ষকে সমর্থন করে ইসরায়েলের গুজবকে উড়িয়ে দিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের অভিযোগ, ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত কর্মীরা এই যুদ্ধের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট; কিন্তু জাতিসংঘ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অন্যদিকে জাতিসংঘের বক্তব্য, ইসরায়েল তার অভিযোগের পক্ষে প্রয়োজনীয় প্রমাণ দেখাতে না পেরে এসব গুজব ছড়াচ্ছে।

;

যুক্তরাজ্যে ২ সন্তানকে হত্যা করল মা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
এলিজাবেথ ও ইথান

এলিজাবেথ ও ইথান

  • Font increase
  • Font Decrease

সাত বছর বয়সী মেয়ে এলিজাবেথ এবং ১১ বছরের ছেলে ইথানকে হত্যা করে মা ভেরোনিক জন। হত্যার বিষয়টি নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়ে পুলিশকে জানিয়েছে ভেরোনিক।

হত্যার কারণ হিসেবে ভেরোনিক বলে, ‘আমি আমার বাচ্চাদের ভীষণ ভালোবাসি। আমি চাইনি বাচ্চারা আমার স্বামীর কাছে থাকুক।’

৯৯৯ এ ডায়াল করে অপারেটরকে জানায়, ‘আমি আমার দুটি বাচ্চাকে হত্যা করেছি।’

স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রায়াল-অফ-ফ্যাক্টস শুনানিতে প্রসিকিউটর পিটার গ্রিভস-স্মিথ বলেন, ভেরোনিক জন তার স্বামী নাথান জনকেও কাঠের টুকরো দিয়ে আঘাত করে বলে জানায়। নিজ স্বীকারোক্তিতে সে জানায়, ছেলে ইথানকে ২০ বারেরও বেশি  ছুরিকাঘাত করে সে এবং মেয়ে মাথায় আঘাত পায়।

নটিংহাম ক্রাউন কোর্টকে জানানো তথ্যমতে, দাম্পত্য কলহের জের ধরে সন্তানদের হত্যা করে মা ভেরোনিক জন।

;

গাজার ৭৫% আবাদি জমি ধ্বংস করেছে ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গাজা যুদ্ধের ধ্বংস-তাণ্ডব

গাজা যুদ্ধের ধ্বংস-তাণ্ডব

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরো-মেডিটেরেনিয়ান হিউম্যান রাইটসের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, গাজার অন্তত ৭৫ ভাগ আবাদি জমি ধ্বংস করেছে ইসরায়েল।

সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবাধিকার সংস্থা ইউরো-মেডিটেরেনিয়ানের তথ্যমতে, এসব জমির কিছু অংশ কথিত বাফার জোন হিসেবে অধিগ্রহণ করেছে। আর কিছু অংশ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে।

ইউরো-মেড বলেছে, গাজার ফিলিস্তিনি জনগণ যাতে দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে মৃত্যুবরণ করে মূলত সেই লক্ষ্যে কাজ করছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। স্থানীয়ভাবে খাদ্য উৎপাদনের সমস্ত ব্যবস্থা ধ্বংস করার পর ইসরায়েল গাজায় কোনো ধরনের খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা রাখেনি। এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে যে সমস্ত ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর চেষ্টা হচ্ছে, তাতে বাধা সৃষ্টি করছে বর্বর দখলদার সেনারা।

ইউরো-মেড আরও জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি কৃষকদের উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে হত্যা করার ডকুমেন্ট রয়েছে তাদের হাতে। যেসব কৃষককে হত্যা করা হয়েছে তারা তাদের ক্ষেতে কাজ করছিলেন অথবা ফসলের ক্ষেতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

তাদের কাছে এমন সব ডকুমেন্ট রয়েছে যাতে, দেখা যায় ইহুদিবাদী সেনারা কৃষি খামার, গ্রিনহাউজ, পানির কূপ, পুকুর এবং অন্যান্য কৃষি সরঞ্জাম ধ্বংস করছে বলে জানায় ইউরো মেড।



;

গণমাধ্যমকর্মীদের ভয় দেখানোর যে কোনো প্রচেষ্টায় আপত্তি যুক্তরাষ্ট্রের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার/ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কার্যকর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বজায় রাখতে এবং সরকারের স্বচ্ছতা প্রচারে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকাকে যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, সাংবাদিকদের তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করতে বাধা দেওয়ার জন্য তাদের হয়রানি বা ভয় দেখানোর যে কোনো প্রচেষ্টায় আমরা আপত্তি জানাই।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিয়ে অনুসন্ধানমূলক ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাইলে ম্যাথিউ মিলার এসব কথা বলেন।

ব্রিফিংয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর দুর্নীতি প্রতিবেদন প্রকাশ করায় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে হুমকিমূলক বিবৃতি জারি করেছে। যদিও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ব্যাপক দুর্নীতির তুলনায় এসব খবর গণমাধ্যমে খুব কমই প্রকাশিত হচ্ছে।নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় ওসব দুর্নীতির খবর প্রায়শই উপেক্ষা করতে হয় বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোকে। এর আগে একটি শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশ্যে বলেছিলেন যে তারা পরিচিত দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারছে না। আপনি জানেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচক অনুযায়ী ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেবে?

জবাবে মিলার বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারের স্বচ্ছতা প্রচারে একটি মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকাকে আমরা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাধা দেওয়া বা ভয় দেখানোর যে কোনো প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি রয়েছে।

এদিকে পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ কিছু কর্মকর্তার দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদনের পর সংবাদ প্রকাশে সতর্ক থাকার বিষয়ে বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএসএ)। এগুলোকে আংশিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন-বিপিএসএ। আহ্বান জানানো হয় রিপোর্ট প্রকাশে আরও সতর্ক হওয়ার।

;