যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বাজেয়াপ্তের আদেশে স্বাক্ষর করলেন পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার (২৩ মে) মার্কিন সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে একটি আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জবাবে তিনি এমন পদক্ষেপ নিলেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

ওই ফরমানে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বেআইনিভাবে মস্কোর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করায় নিজ কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং বিভিন্ন সংস্থার আদালতে আইনি প্রতিকার চাওয়ার অধিকার থাকবে রাশিয়ার।

এক্ষেত্রে রাশিয়া সরকারের একটি বিশেষ কমিশন মার্কিন সম্পদ বা সম্পত্তি শনাক্ত করবে।

এসবের মধ্যে রাশিয়ায় থাকা যুক্তরাষ্ট্রের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ, সিকিউরিটিজ, রাশিয়ার প্রতিষ্ঠানে থাকা শেয়ার এবং সম্পত্তি রয়েছে।

এসব মার্কিন সম্পদ রাশিয়ার ক্ষতিপূরণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

এ ফরমান বাস্তবায়নের সুবিধার্থে রাশিয়ার আইনে সংশোধনী আনার জন্য সরকারকে চার মাস সময় দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, বড় অংকের ঘুষ নেওয়ার সন্দেহে সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফের উপ-প্রধান লেফটেন্যান্ট-জেনারেল ভাদিম শামারিনকে আটক করেছে রাশিয়া।

আল জাজিরা জানিয়েছে, এ নিয়ে এক মাসে চতুর্থ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করলো মস্কো প্রশাসন।

একটি সামরিক আদালত বুধবার (২২ মে) আদেশ দেন যে, জেনারেল শামারিন, যিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান যোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রধানের পদে রয়েছেন, ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে তাকে দুই মাসের জন্য কারাগারে পাঠানো হবে।

সামরিক চুক্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি বন্ধ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে অন্যান্য শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের পর শামারিনকে আটক করা হলো।

এই মাসের শুরুতে ইউক্রেন আক্রমণের সাবেক শীর্ষ কমান্ডার মেজর-জেনারেল ইভান পপভ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মী অধিদপ্তরের প্রধান লেফটেন্যান্ট-জেনারেল ইউরি কুজনেটসভকে ঘুষের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

   

জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বললো পেন্টাগন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর গত মাসে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে তার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় বলে সেসময় জানিয়েছিল দেশটি।

তবে এবার আজিজের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মুখ খুলেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। এই নিষেধাজ্ঞা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তা পুনঃনিশ্চিত করেছে বলে উল্লেখ করেছে দপ্তরটি।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার।

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে পেন্টাগনের মুখপাত্র বলেন, 'ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িত থাকার দায়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট জেনারেল (আজিজ) আহমেদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। গত মে মাসে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।'

এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেটিকে পুনঃনিশ্চিত করছে এবং দুর্নীতি রোধে (বাংলাদেশে) যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলোকে সমর্থন করে (পেন্টাগন) বলেও উল্লেখ করেন মুখপাত্র।

এ সময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। অবাধ এবং মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, সামুদ্রিক এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোতে দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ ও মুল্যবোধের ভিত্তিতে সেখানে অংশীদারিত্ব বিরাজমান রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্নীতির সঙ্গে ব্যাপকভাবে জড়িত থাকার দায়ে তার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে জেনারেল আজিজ আহমেদের পরিবারের সদস্যদেরও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।

;

ইইউ’র ৮১ সংবাদমাধ্যমে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৮১টি গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার ব্লক করার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। চার রুশ সংবাদমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার পাল্টা জবাব হিসেবে মঙ্গলবার (২৫ জুন) তাদের ৮১টি সংবাদমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার ঘোষনা দিয়েছে মস্কো।

বুধবার (২৬ জুন) এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের শুরু থেকেই অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহসহ ইউক্রেনকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশিরভাগ দেশ। পাশাপাশি অর্থনীতি ও গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো নানা কৌশলে রাশিয়াকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে পশ্চিমা দেশগুলো। এরই অংশ হিসেবে গত মাসে রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তারা।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানিকভাবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে’ এমন সংবাদমাধ্যমগুলোতে রুশ জনগণের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছে। তবে রুশ গণমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে রুশ নিষেধাজ্ঞাগুলোও ‘সংশোধন’ করা হবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।

;

সংবিধান হাতে নিয়ে শপথ নিলেন রাহুল গান্ধী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের লোকসভা অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের শপথ পাঠ চলছে। মঙ্গলবার সংসদে শপথ পাঠ করেন রাহুল গান্ধী। হাতে সংবিধানের একটি কপি নিয়ে শপথ নেন এই কংগ্রেস নেতা। শপথ পাঠের পর জয় সংবিধান বলেও স্লোগান দিতে দেখা যায় তাকে।

তবে শুধু সংসদেই নয় ভোটের প্রচার পর্ব থেকেই সংবিধানের কপি হাতে বিজেপির বিরুদ্ধে ঝোড়ো প্রচার করেছেন রাহুল গান্ধী। এছাড়া ভোটের পরও তার দলসহ ইন্ডিয়াজোটের ব্যাপক সাফল্যের পর কংগ্রেসের এমপি রাহুল বলেন, দেশ এই নির্বাচনে সংবিধানের পক্ষে রায় দিয়েছে। এরপর, সোমবার সংসদে সদস্য পদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের শপথের সময়ও দেখা যায় রাহুলরা সংবিধানের কপি হাতে তুলে তা দেখাচ্ছেন।

এবার উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি ও কেরালার ওয়েনাড থেকে জয়ী হন রাহুল গান্ধী। তবে ওয়েনাড থেকে নয়, রায়বরেলীর সংসদ সদস্য হিসেবেই সংসদে শপথ নিয়েছেন রাহুল গান্ধী। ওয়েনাড রাহুল গান্ধী ছেড়ে দেওয়ায় সেখানকার উপনির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লড়বেন। রায়বরেলীতে এবার রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছেন রাহুল। এই আসনে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য ছিলেন সোনিয়া। তারও আগে রায়বরেলী থেকে কংগ্রেসের সংসদ সদস্য ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।

;

কেনিয়ার সংসদ ভবনে বিক্ষোকারীদের আগুন, গুলিতে নিহত অন্তত ১০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: কেনিয়ায় পার্লামেন্টের ভেতর বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডব

ছবি: কেনিয়ায় পার্লামেন্টের ভেতর বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডব

  • Font increase
  • Font Decrease

কেনিয়ায় কর বৃদ্ধি বিষয়ক আইন পাস নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষোভ এতটাই শক্তি ধারণ করে যে অসংখ্য বিক্ষোভকারী দেশটির সংসদের ভেতর ঢুকে পড়েছেন। বিক্ষোভকারীরা সংসদে ঢুকে পড়ার পর এমপিরা বেজমেন্টে গিয়ে লুকান। বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক উপস্থিতি এবং পুলিশের গোলাগুলির কারণে তারা সেখান থেকে বের হতে পারছেন না।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা সংসদে আগুন দিয়েছেন। এতে ভবনটির একটি অংশ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেসব বিক্ষোভকারী সংসদে ঢুকে পড়তে সমর্থ হয়েছেন তাদের বের করে দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু ইতিমধ্যেই সংসদের ভেতর থাকা চেয়ার টেবিল ভেঙে ফেলেছেন তারা।

বিক্ষোভ দমনে সরাসরি গুলি ছুড়েছে পুলিশ। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এক প্যারামেডিক। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

বিবিসি তাদের সর্বশেষ আপডেটে জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা এখনো সংসদের ভেতর অবস্থান করছেন।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, কর বৃদ্ধি আইন পাসের বিরোধীতা করে আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) সারাদিন সংসদের বাইরে অবস্থান নেন সাধারণ মানুষ। এ সময় তাদের সরিয়ে দিতে অসংখ্য কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা একটা সময় রাজধানী নাইরোবিতে অবস্থিত সংসদে ঢুকে পড়তে সমর্থ হন।

গত সপ্তাহে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ-সমাবেশ দেশটির সরকারকে বেকায়দায় ফেলেছে। কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো গত সপ্তাহের শেষের দিকে বলেছিলেন, তিনি বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলতে প্রস্তুত।

কিন্তু মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেলের দিকে নাইরোবিতে উত্তেজনা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হাজার হাজার মানুষ পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের পাশাপাশি ব্যারিকেড ভেঙে সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেসময় আইনপ্রণেতারা কর বৃদ্ধির প্রস্তাবের একটি বিতর্ক করছিলেন। সংসদ অধিবেশন চলাকালীন বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনে হামলার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ সংসদ ভবনের বাইরে জনতার ওপর গুলি চালায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় কেনিয়ার মানবাধিকার কমিশন (কেএইচআরসি) বলেছে, ‘‘পুলিশ চারজন বিক্ষোভকারীকে গুলি করেছে এবং একজনকে হত্যা করেছে।’’

কিন্তু ইতোমধ্যে জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকটে জর্জরিত দেশটির নাগরিক নতুন এই কর বৃদ্ধি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন। বিক্ষোভকারীরা দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন।

পূর্ব আফ্রিকার সবচেয়ে উন্নয়নশীল অর্থনীতির একটি দেশ কেনিয়া। দেশটির ৫ কোটি ২০ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশই দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করেন।

;