৩০ বছর পর সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষমতাসীন দল এএনসি

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

৩০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর এই প্রথম আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রস (এএনসি) জাতীয় সংসদের ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে চলেছে।

শুক্রবার (৩১ মে) সকালে নির্বাচন কমিশনের অনলাইন স্ট্রিমিং সিস্টেম ক্র্যাশ করলে ভোট গণনার তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। তখনই বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে। পরে নির্বাচন কমিশন অনলাইন স্ট্রিমিং ‘রিস্টোর’ করতে সক্ষম হয়।

বিজ্ঞাপন

বিবিসি ওয়ার্ল্ড ফাঁস হওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি খবর প্রকাশ করে। ফাঁস হওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিবিসি জানায়, আংশিক প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, ৫৭ শতাংশ ভোট গণনার মধ্যে এএনসি পেয়েছে ৪২ শতাংশ, ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (ডিএ) পেয়েছে ২৩ শতাংশ ভোট।

এছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার নেতৃত্বাধীন দল এমকে পার্টি পেয়েছে ১১ শতাংশ এবং ইকোনমিক ফ্রিডম ফাইটার্স (ইএফএফ) পার্টি পেয়েছে ১০ শতাংশ ভোট।

বিজ্ঞাপন

এ সপ্তাহের শেষে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার (২৯ মে) অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাচন কমিশন অনলাইন স্ট্রিমিং ফাঁস হওয়ার বিষয়ে ক্ষমা চায়।

অনেক ভোটার এএনসিকে দায়ী করে বলেছেন, এএনসি ৩০ বছর ক্ষমতায় থাকার ফলে দুর্নীতি চরম আকার ধারণ করেছে। এছাড়া অপরাধ এবং বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ হয়েছে।

দ্য রেসপেক্টেড কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) এবং নিউজ২৪ ওয়েবসাইট জানিয়েছে, এএনসিকে ৪২ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। অথচ ২০১৯ সালে এ দলের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫৭ শতাংশ।

খবরে জানানো হয়, কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারায় এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় জোট সরকার গঠনে বাধ্য হবে। ডিএ পার্টি উদার অর্থনৈতিক নীতিতে বিশ্বাসী। অন্যদিকে, এএফএফ ও এমকে জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী।

এবিষয়ে ডেমোক্রেসি ওয়ার্কস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক উইলিয়াম গুমেডে বলেন, এএনসি দলের প্রধান ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট সিরিল রামফোসা ফের ক্ষমতায় ফিরতে পারবেন কি না তা এখনো পরিষ্কার নয়। কারণ, ৪৫ শতাংশের কম ভোট পেলে দল থেকে তাকে পদত্যাগের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হতে পারে।

তিনি বলেন, নির্বাচনে দলের ব্যর্থতার দায় সিরিল রামফোসার ওপর বর্তাবে এবং দলের একটি অংশ তার পরিবর্তে পল মাশাহাতিলিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করতে চাপ প্রয়োগ করবে।

তিনি এটাও বলেন, ইএফএফ এবং এমকে দল এএনসির সঙ্গে যৌথভাবে জোট সরকার গঠন করার শর্ত হিসেবে সিরিল এমফোসার পদত্যাগ দাবি করবে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় জনগণের সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয় না। তারা সংসদ সদস্য নির্বাচনের জন্য ভোট দেন এবং নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা পরে সংসদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন।