ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দিচ্ছে ওয়াশিংটন
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইউক্রেনে আরেকটি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসন ও সামরিক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, পশ্চিমা অংশীদারদের সঙ্গে কূটনৈতিক বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ সপ্তাহের শুরুতে আরো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত মঙ্গলবার (১১ জুন) আবেদন করার পর এমন উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের সিদ্ধান্তের খবর আসলো।
জেলেনস্কি সম্প্রতি পূর্ব খারকিভ অঞ্চলকে রক্ষা করার জন্য আরো অনেক প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সেখানে রাশিয়া সম্প্রতি নতুন করে আগ্রাসন চালাচ্ছে।
গত মঙ্গলবার বার্লিনে এক পুনর্গঠন সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার সবচেয়ে বড় কৌশলগত সুবিধা হল আকাশে তাদের আধিপত্য। রাশিয়া বিমানের সাহায্যে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র এবং বোমা হামলা চালাচ্ছে। আর এটি তাদের সেনাদের স্থলভাগে অগ্রসর হতে সাহায্য করছে।’
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার আরও বলেছেন, শীতকাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত জ্বালানি স্থাপনায় রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার অর্ধেক ধ্বংস হয়ে গেছে।
বার্লিনের সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার ফলে ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের নয় গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ধ্বংস হয়েছে। গত শীতে দেশটির বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ১৮ গিগাওয়াট। বর্তমানে ওই এর অর্ধেকও বিদ্যমান নেই।’
অন্যদিকে, রাশিয়াকে চাপে রাখতে ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল ন্যাটোতে যোগদানের পর মঙ্গলবার এই পশ্চিমা সামরিক জোটের জন্য প্রথম যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে ফিনল্যান্ড।
রয়টার্স জানিয়েছে, ফিনল্যান্ড দক্ষিণ-পূর্ব রোমানিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিতে সাতটি এফ-১৮ যুদ্ধবিমান প্রেরণ করেছে, যেখানে তারা রোমানিয়া এবং ব্রিটিশ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষা মিশন পরিচালনা করবে।
ফিনল্যান্ডের বিমান বাহিনীর একজন কমান্ডার বলেছেন, ‘এই মিশনটি ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে একীভূতকরণকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।’