গাজায় ‘বিপর্যয়কর ক্ষুধা’র ঝুঁকিতে ৮ হাজার শিশু: ডব্লিউএইচও
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নির্মম হামলায় মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে গাজা। গত আট মাস ধরে চলমান এই হামলা এখনো অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পাশাপাশি তীব্র খাদ্যসংকট ও মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে অবরুদ্ধ গাজায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেইসুস সতর্ক করে বলেছেন, গাজায় ‘বিপর্যয়কর ক্ষুধা’ ও ‘দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি’ তৈরি হয়েছে। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এ অঞ্চলে খাদ্য সরবরাহ থাকলেও যাদের প্রয়োজন তারা পর্যাপ্ত এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার পাচ্ছে না।
- বিশ্বে ভয়াবহ শাস্তির শিকার ৪০ কোটি শিশু: ইউনিসেফ
- ইসরায়েলে হামলা বাড়নোর প্রতিশ্রুতি হিজবুল্লাহ’র
- জাতিসংয়ের কালো তালিকায় ইসরায়েলের সেনবাহিনী ও হামাস
তিনি বলেন, গাজায় চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৬৯৪ শিশু নিহত হয়েছে। ১৭ হাজারেরও বেশি শিশু তাদের বা-মাকে হারিয়েছে। পর্যাপ্ত খাদ্য এবং অপুষ্টিতে ভুগছে পাঁচ বছরের কম বয়সী আরও ৮ হাজারের বেশি শিশু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ তথ্য প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
গাজার একজন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানায়, গাজার খাদ্য ঘাটতি এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে, বেশিরভাগ খাদ্যপণ্য এখন ফুরিয়ে গেছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৭ হাজার ২০২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৮৫ হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৯ জনে।