জিম্মিদের উদ্ধারে ছদ্মবেশে গাজায় ঢুকেছিল ইসরায়েলের গোয়েন্দারা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরটি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বেশ ভেতরে গাজার মাঝখানে অবস্থিত। ইসরায়েলি জিম্মিদের খুঁজে বের করতে এই শিবিরের কাছেই ছদ্মবেশে অবস্থান নিয়েছিল ইসরায়েলের গোয়েন্দারা।

নিজেদের মেধা এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ে সফলাতাও পেয়েছেন তারা। এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট।

ওয়াশিংটন পোস্টের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিবিরের অনেকগুলো বাজারের মধ্যে একটিতে ২৬ বছর বয়সি ইসরায়েলি নারী নোয়া আরগামানিকে জিম্মি করে রেখেছিল হামাস।

তখন আরগামানি এবং অন্য তিন জিম্মিতে উদ্ধার করতে একটি সাহসী অভিযান পরিচালনা করতে ওই ক্যাম্পে অনুপ্রবেশ করে ইসরায়েলি কমান্ডোরা।

উদ্ধারের দিন সকাল ১১টায় ইসরায়েলি সেনারা যে অ্যাপার্টমেন্টে আরগামানিকে আটকে রাখা হয়েছিল সেখানে ঢুকে ঘোষণা করে যে, ‘আপনাকে উদ্ধার করা হচ্ছে!’ ওই উদ্ধার অভিযানে আলমোগ মেইর জান, আন্দ্রে কোজলভ, এবং শ্লোমি জিভকে মুক্ত করা হয়।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে পরিকল্পনা করে ছক এঁকে হাজার হাজার সেনা ও উন্নত প্রযুক্তিগত সহায়তার সমন্বয়ে ওই অভিযান সম্পন্ন করে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের গোয়েন্দারা যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় জিম্মিদের সনাক্ত করতে ডিজিটাল ডেটা, ড্রোন ফুটেজ এবং যোগাযোগ ইন্টারসেপ্ট বিশ্লেষণ করে ওই অভিযানে সফলতা লাভ করে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নুসেইরাতে জিম্মিদের অবস্থান নিশ্চিত করার পর ইসরায়েলি বাহিনী উদ্ধারের মহড়ার জন্য ভবনগুলোর বিশদ মক-আপ নির্মাণ করে।

প্রতিবেদন অনুসারে, এই প্রস্তুতিটি ১৯৭৬ সালের বিখ্যাত অপারেশন এন্টেবে’র অনুকরণে করা হয়। অভিযানের দিবালোকের সময় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও ইসরায়েলের সামরিক কৌশলবিদরা এটিকে চমকে দেওয়ার সেরা সুযোগ বলে মনে করেছেন।

আইডিএফ চিফ অফ স্টাফ হার্জি হালেভি এবং অন্যান্য শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা একটি কমান্ড রুম থেকে ওই অভিযান পর্যবেক্ষণ করেন।

একটি বেসামরিক বাণিজ্যিক গাড়ির অনুকরনের একটি ট্রাক এবং আসবাবপত্র বোঝাই একটি সাদা মার্সিডিজসহ যানবাহনে ছদ্মবেশে বিশেষ বাহিনী লক্ষ্যবস্তুর কাছে পৌঁছে গিয়েছিল সেদিন।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রক্ষীদের বুঝতে না দিয়ে আরগামানিকে উদ্ধারে প্রাথমিক সাফল্য পাওয়া সত্ত্বেও অন্যান্য জিম্মিদের উদ্ধারের সময় জটিলতা দেখা দেয়। কারণ, তখন গোলাগুলি শুরু হয় এবং গোপন অভিযানটি একটি পূর্ণাঙ্গ সংঘর্ষে রূপ নেয়।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ওই গোলাগুলির সময় ক্রসফায়ারে বেসামরিক নাগরিকসহ ২৭০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন।

উদ্ধারকৃত জিম্মিদের শেষ পর্যন্ত নিরাপদে নিয়ে যাওয়া হয় এবং মিশনের সাফল্যকে স্বাগত জানায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

ওই অভিযানের মাধ্যমে হামাসের হাতে আটক ২৫১ জনের মধ্যে ৭ বন্দিকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয় ইসরায়েলি বাহিনী।

গাজায় এখনো ১১৬ জন জিম্মি রয়েছে, যাদের মধ্যে ৪১ জন মারা গেছে বলে বিশ্বাস করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।

গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার ফলে ১,১৭৯ ইসরায়েলির মৃত্যু হয় এবং ২৫২ জনকে জিম্মি করা হয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এরপর ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় গাজার ৩৭,২৩২ জনের বেশি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগ বেসামরিক নাগরিক।

   

জার্মানিতে ২.৮ বিলিয়ন ডলারের কোকেন উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জার্মানিতে ৩৫.৫ টন কোকেন উদ্ধার করেছেন দেশটির তদন্তকারীরা। এই জব্দকৃত কোকেনের মূল্য প্রায় ২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে জার্মান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এর মধ্যে হামবুর্গে ২৪.৫ টন ও ডাচ বন্দর রটারডামে আরো আট টন এবং ইকুয়েডরের গুয়াকিলে তিন টন কোকেন জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুন) জার্মাম পুলিশ ও প্রসিকিউটরদের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।

গত বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরে ৯টি শিপিং কনটেইনারের বৈধ পণ্যের মধ্যে এই মাদক পাওয়া গেছে। এই অবৈধ বাণিজ্যের বিষয়ে জার্মান তদন্তকারীদের সতর্ক করেছিল কলম্বিয়ান কর্তৃপক্ষ।

ইউরোপোলের সঙ্গে কাজ করা ওপি প্লেক্সাস নামে পরিচিত একটি দল আটজন প্রধান সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করেছে। তাদের মধ্যে দুইজন জার্মান, দুইজন তুর্কি এবং অন্যরা আজারবাইজান, বুলগেরিয়া, মরক্কো ও ইউক্রেনের।

জার্মানির ডুসেলডর্ফ শহরের শুল্ক তদন্ত কর্তৃপক্ষের প্রধান টিনো ইঙ্গেলম্যান বলেছেন, জার্মানিতে জব্দ করা কোকেনের পরিমাণ প্রতিবছরই বাড়ছে। ২০২৩ সালে মোট প্রায় ৪৩ টন কোকেন জব্দ করা হয়েছিল।

;

চীনে বন্যা-ভূমিধসে নিহত ৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়াংডংয়ের মেইঝৌ শহরে ব্যাপক বর্ষণ, বন্যা ও ভূমিধসে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
সোমবার (১৭ জুন) চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এছাড়া বন্যা-ভূমিধসের ফলে জঞ্জাল ও ধংস্তূপের তলায় আটকা পড়েছেন অন্তত ১৩ জন মানুষ। তাদের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ঘনবসতিপূর্ণ গুয়াংডং প্রদেশে রোববার থেকে শুরু হয় বর্ষণ।

জঞ্জাল সরানো, নিখোঁজদের সন্ধান ও আটকে পড়াদের উদ্ধারে চীনের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর মেইঝৌ শহরে ১০ হাজার উদ্ধারকর্মী পাঠিয়েছে।

গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চরম প্রতিকূল আবহাওয়া সহ্য করছেন চীনের লোকজন। ব্যাপক তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলো, অন্যদিকে টানা বর্ষণ ও তার জেরে সৃষ্ট বন্যা-ভূমিধসে নাকাল হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলীয় বিভিন্ন প্রদেশ।

;

ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে নিহত ১১



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভূমধ্যসাগরের দক্ষিণ ইতালি উপকূলে দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুই ঘটনায় ৬০ জনের বেশি মানুষ এখনো নিখোঁজ।

জার্মান দাতব্য সংস্থা রিসকিউশিপ জানিয়েছে, সোমবার (১৭ জুন) ল্যাম্পেডুসা দ্বীপের কাছে তারা একটি ডুবন্ত কাঠের নৌকা থেকে ৫১ জনকে উদ্ধার করেছেন। এ সময় নৌকার নিচের ডেকে ১০ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।

সংস্থাটি বলছে, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সোমবার সকালে ইতালীয় কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের তীরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে মৃতদের ল্যাম্পেডুসা দ্বীপে নেয়া হয়েছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, নৌকাটি লিবিয়া থেকে যাত্রা করেছিল। এতে সিরিয়া, মিসর, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অভিবাসীরা ছিলেন। তবে কোন দেশের কত যাত্রী ছিলেন, তা জানানো হয়নি।

একই দিনে পৃথক আরেক নৌকাডুবির ঘটনায় ৬০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৬ জনের মতো শিশু রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দক্ষিণ ইতালির ক্যালাব্রিয়ার উপকূল থেকে প্রায় ১২৫ মাইল দূরে এই ঘটনা ঘটে। মেডেসিনস সানস ফ্রন্টিয়েরস (এমএসএফ) নামে একটি সংগঠন এই তথ্য জানিয়েছে।

এই ঘটনায় ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে তাদের সবাইকে তীরে নেয়ার পর একজন মারা যান বলে জানিয়েছে ইতালীয় কোস্টগার্ড।

ভূমধ্যসাগর বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী মাইগ্রেশন রুট হিসেবে পরিচিত। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, ২০১৪ সাল থেকে এই রুটে ২৩ হাজার ৫০০ জনের বেশি অভিবাসী মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

;

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন মোদি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মালদ্বীপের ভারতীয় হাই কমিশন এক এক্সবার্তায় নিশ্চিত করেছে এ তথ্য। এই অভিনন্দন বার্তা দুই দেশের অতীতের তিক্ততাকে পাশ কাটিয়ে ভালো সম্পর্কের আভাস দিচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা সেই বার্তায় ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মালদ্বীপের সম্মানিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুকে উষ্ণ অভিনন্দনবার্তা দিয়েছেন। বার্তায় তিনি কোরবানির ত্যাগ, সহানুভূতি এবং ভাতৃত্বের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গড়ে তুলতে এসব ইতিবাচক দিক খুবই জরুরি। ভারতেও যে এই উৎসব যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে উদযাপিত হয়, তা ও উল্লেখ করেছেন তিনি।’

প্রসঙ্গত, মালদ্বীপে একসময় ভারতের সেনা ঘাঁটি ছিল। ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ভারতকে মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানান চীনপন্থী মুইজ্জু।

তারপর চলতি বছরের শুরুর দিকে মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের ছবি প্রকাশের পর টানাপোড়েন শুরু হয় ভারত এবং মালদ্বীপের মধ্যে। অনলাইনে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন ভারত ও মালদ্বীপের নেটিজেনরা। ভারতের নেটিজেনরা দেশীয় পর্যটকদের মালদ্বীপ বয়কটের ডাক দেন।

পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্যে কটুক্তির অভিযোগে নিজ মন্ত্রিসভার তিন সদস্যকে বরখাস্ত করেন মুইজ্জু। সম্প্রতি ১৮ তম নির্বাচনে বিজয় উপলক্ষ্যে নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দনও জানিয়েছে মুইজ্জু।

;