ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদের আশা ত্যাগ করতে হবে : পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার (১৪ জুন) বলেছেন, ইউক্রেন তার চারটি অঞ্চল ছেড়ে দিলে এবং তার ন্যাটো সদস্যপদের আশা ত্যাগ করলেই কেবলমাত্র যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত রয়েছে মস্কো।
ইউক্রেন এবং তার মিত্রদের দ্বারা আয়োজিত সুইজারল্যান্ডে একটি শীর্ষ শান্তি সম্মেলনের প্রাক্কালে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু করা পূর্ণ মাত্রার সামরিক আক্রমণ বন্ধ করার ক্ষেত্রে তার শর্তগুলোর জানান দিলেন পুতিন।
রয়টার্স জানিয়েছে, মস্কোতে রুশ কূটনীতিকদের উদ্দেশে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে পুতিন বলেন, ‘দোনেস্ক পিপলস রিপাবলিক, লুগানস্ক পিপলস রিপাবলিক, খেরসন এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চল থেকে ইউক্রেনের সেনাদের সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করতে হবে।’
এগুলোর কোনোটির ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ না থাকা সত্ত্বেও ২০২২ সালে চারটি অঞ্চলকে সংযুক্ত করার ঘোষণা দেয় রাশিয়া।
পুতিন বলেন, ‘যখন কিয়েভ বলবে যে, তারা এটি করতে প্রস্তুত ও সত্যিই সেনা প্রত্যাহার করা শুরু করবে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোতে যোগদানের পরিকল্পনা ত্যাগ করবে, তখন আমরা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে আলোচনা শুরু করবো।’
সামরিক বিশ্লেষকরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, রাশিয়ার আক্রমণের মূল লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি হতে পারে ইউক্রেনের দক্ষিণ উপকূল বরাবর রাশিয়া এবং ক্রিমিয়া উপদ্বীপের মধ্যে একটি স্থল সেতু নির্মাণ করা।
কিন্তু পুতিন এবং রাশিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তারা এই বলে তাদের আক্রমণকে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন যে, তারা কিয়েভের নব্য-নাৎসি শাসন থেকে ইউক্রেনের পূর্বে বসবাসরত জাতিগত রাশিয়ান এবং রাশিয়ান ভাষাভাষীদের রক্ষার চেষ্টা করছেন।
ইউক্রেন এবং পশ্চিমারা এই অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপকে নগ্ন সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন বলে দাবি করেছে।
রাশিয়া ২০১৪ সালে একতরফাভাবে ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে সংযুক্ত করে।
ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়া ক্রিমিয়াসহ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ভূখণ্ড থেকে পুরোপুরি প্রত্যাহার করলেই তারা শান্তি বজায় রাখবে।