পারমাণবিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে ইরান
ইরান তার পারমাণবিক সক্ষমতা আরও বাড়াচ্ছে বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সংস্থাটি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
তবে দেশটির ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার মাত্রা যেমন ভয়াবহ বলে ধারণা করা হচ্ছিল, তার চেয়ে কম বলে জানিয়েছে আইএইএ।
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএইএর বিবৃতিতে ইরানের পক্ষ থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা না পাওয়ার সমালোচনা করে এক সপ্তাহ আগে পরিচালনা পর্ষদে একটি প্রস্তাবও পাস হয়। তবে ওই প্রস্তাব পাসের পরও বন্ধ নেই ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম।
নতুন বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে আরও বেশি ক্যাসকেড মজুত করছে তেহরান। বিষয়টি তেহরানের কাছ থেকেই আইএইএ জানতে পেরেছে।
তবে একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে ইরান মাঝারি ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছে। গত সপ্তাহে আইএইএর পরিচালনা পর্ষদে ‘ইরান যথেষ্ট সহযোগিতা করছে না’ মর্মে প্রস্তাব উত্থাপন করে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি।’
এতে বলা হয়, ইরান ইউরেনিয়াম পরিশোধনের মাত্রা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে গেছে, যা দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব। তবে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে চীন ও রাশিয়া। ক্যাসকেড হচ্ছে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে ব্যবহৃত সেন্ট্রিফিউজসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি বলেছে, এ ধরনের প্রতীকী প্রস্তাব উত্থাপনের উদ্দেশ্য হচ্ছে ইরানের ওপর কূটনৈতিক চাপ জোরদার করা। এভাবে একসময় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদেও প্রস্তাবটি তোলার সুযোগ তৈরি হবে।
আইএইএর পরিচালনা পর্ষদে ৩৫টি দেশের প্রতিনিধি রয়েছেন। তারা বলেছেন, ২০২২ সালের নভেম্বরের পর প্রথমবারের মতো এ ধরনের প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে। ইরান এই প্রস্তাবের সমালোচনা করে বলেছে, প্রস্তাবটি মোটেও বিবেচনাপ্রসূত নয়। এটি যে তড়িঘড়ি করে উত্থাপন করা হয়েছে, তা স্পষ্ট।
এর আগেও আইএইএর গভর্নর বোর্ডে এ ধরনের প্রস্তাব পাস হয়েছে। তারপর দেখা গেছে, ইরান তাদের পারমাণবিক স্থাপনা থেকে নজরদারি ক্যামেরা এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সরিয়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম বাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, আইএইএর প্রতিবেদন থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বাড়াচ্ছে এবং এর মধ্যে শান্তিপূর্ণ কোনো উদ্দেশ্য নেই।