মার্কিন প্রশাসন ও নেতানিয়াহুর মধ্যে ফের উত্তেজনা
মার্কিন অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এবং বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিকে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) উদ্বেগজনক এবং হতাশাজনক বলে বর্ণনা করেছে হোয়াইট হাউস।
ইস্যুটি শুরু হয়েছিল যখন নেতানিয়াহু চলতি সপ্তাহের শুরুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দাবি করেন যে, ইসরায়েলের প্রধান সামরিক সমর্থক মার্কিন প্রশাসন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তার দেশের জন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদের চালান আটকে রেখেছে। এরপরেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়।
ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এই মন্তব্যগুলো গভীরভাবে হতাশাজনক এবং অবশ্যই আমাদের জন্য বিরক্তিকর। ইসরায়েলের প্রতি আমাদের যে পরিমাণ সমর্থন রয়েছে, তা অব্যাহত থাকবে।’
কিরবি বলেন, ‘খুব স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, হামাসের হুমকির বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে এই অঞ্চলের অন্য কোনো দেশ সাহায্য করছে না।’
আগের দিন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জেন-পিয়েরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সত্যিকার অর্থে জানি না নেতানিয়াহু কী বিষয়ে কথা বলছেন।’
জেন-পিয়ের বলেন, ‘ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহে কোনো বিরতি নেয়নি মার্কিন প্রশাসন।’
২,০০০ পাউন্ড বোমার একটি চালানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে পর্যালোচনা করছে ওয়াশিংটন।
নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার দ্বিগুণ ক্ষোভ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হওয়ার জন্য প্রস্তুত। তারপরও যেন ইসরায়েল আমেরিকার কাছ থেকে তার অস্তিত্বের জন্য যুদ্ধের প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ পায়।
গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি সরকার প্রধান এবং বাইডেনের প্রশাসনের মধ্যে বিরোধ এটাই প্রথম নয়। বাইডেন এর আগে দক্ষিণ গাজার রাফাহতে একটি বড় ইসরায়েলি অভিযানের কঠোর বিরোধিতা করেছিলেন।
সেখানে এক মিলিয়নেরও বেশি বেসামরিক লোক ছিল এবং বাইডেনের সতর্কতা না মানলে কিছু অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বৃহস্পতিবার (২০ জুন) লেবাননে উত্তেজনা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছেন।
হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরায়েলে কয়েক ডজন রকেট নিক্ষেপের কারণে একটি বিস্তৃত আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা বেড়েছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, ওয়াশিংটনে শীর্ষস্থানীয় ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় ব্লিঙ্কেন লেবাননে উত্তেজনা এড়াতে এবং একটি কূটনৈতিক সমাধানে পৌঁছানোর গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। যাতে ইসরায়েলি ও লেবাননের পরিবারগুলোকে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারে।’