অস্ত্রের জন্য আবেদন করেছেন ৪২ হাজার ইসরায়েলি নারী

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর ইসরায়েলি নারীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। যে কারণে ইসরায়েলে অস্ত্রের জন্য আবেদনকারী নারীর সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি নারীদের অস্ত্রের প্রতি ঝুঁকে পড়ার সমালোচনা করেছে নারীবাদী সংগঠনগুলো।

বিজ্ঞাপন

ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, হামলার পর থেকে অস্ত্রের অনুমতির জন্য নারীদের কাছ থেকে ৪২ হাজার আবেদন জমা পড়েছে এবং যার মধ্যে ১৮ হাজার অনুমোদিত হয়েছে।

ইসরায়েলের ডানপন্থী সরকার এবং তার উগ্র ডানপন্থী নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভিরের অধীনে অস্ত্র আইন শিথিল করার কারণেই দেশটির নারীরা নিজেকে সশস্ত্র করতে উব্দুদ্ধ হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় অনুসারে, ইসরায়েল এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের ১৫ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নারী এখন একটি করে আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক লিমোর গোনেন অ্যারিয়েলের পশ্চিম তীরের একটি শুটিং রেঞ্জে অস্ত্র চালানোর ক্লাস চলাকালীন এএফপিকে বলেন, ‘আমি কখনো অস্ত্র কেনার বা পারমিট পাওয়ার কথা ভাবিনি। কিন্তু, গত ৭ অক্টোবরের পরে পরিস্থিতি বদলে গেছে।’

গোনেন আরও বলেন, ‘গত ৭ অক্টোবর আমাদের সবাইকে টার্গেট করা হয়েছিল। আমি আর বিস্মিত হতে চাই না। তাই আমি নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছি।’

ইজরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে এএফপির সমীক্ষা বলছে, গত ৭ অক্টোবরের হামলার ফলে ১,১৯৪ জন ইসরায়েলির মৃত্যু হয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক।

এরপর ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজায় অন্তত ৩৭,৪৩১ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।