তেল আবিবে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের তেল আবিবের রাজপথে নতুন সরকার নির্বাচন প্রক্রিয়া চালু, জিম্মিদের মুক্তি ও গাজায় অব্যাহত যুদ্ধবিরোধী বিভিন্ন দাবি নিয়ে রাজপথের বিক্ষোভে অংশ নেন বিক্ষোভকারীরা।

স্থানীয় সময় শনিবার (২৩ জুন) বিক্ষোভকারীরা দেশটির জাতীয় পতাকা হাতে বিক্ষোভে অংশ নেন। এ সময় তারা দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলে নতুন নির্বাচন এবং গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা শুরুর আট মাস পেরিয়ে গেছে। এর পর থেকে প্রতি সপ্তাহান্তে ইসরায়েলের শহরগুলোয় বিক্ষোভ হয়ে আসছে। অনেক বিক্ষোভকারী ‘ক্রাইম মিনিস্টার’ ও ‘যুদ্ধ বন্ধ করুন’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করেন।  

শনিবারের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ৬৬ বছর বয়সী সাই এরেল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি আমার নাতি–নাতনির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাই আমি বিক্ষোভে যোগ দিয়েছি। এখন আমরা যদি বের হয়ে না আসি আর ভয়ংকর এই সরকারের কবল থেকে পরিত্রাণ না পাই, তাহলে তাদের (শিশুদের) কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না।’

ইসরায়েলি আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে ক্ষোভ জানিয়ে এরেল বলেন, ‘নেসেটে (ইসরায়েলি পার্লামেন্ট) সব ইঁদুর বসে আছে। আমি তাদের মধ্যে কাউকে কিন্ডারগার্টেনের পাহারাদার হতে দিতে পারি না।’

সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারী সংগঠন ‘হোফশি ইসরায়েল’ বলছে, দেড় লাখের বেশি মানুষ গতকালের বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর এটা ইসরায়েলে হওয়া বড় বিক্ষোভগুলোর একটি।

তেল আবিবের গণতন্ত্র চত্বরে বিক্ষোভকারীদের অনেকে মাটিতে শুয়ে পড়েন। এর আগে সেখানকার মাটি লাল রং করা হয়। বিক্ষোভকারীরা বলেন, নেতানিয়াহুর হাতে ইসরায়েলের গণতন্ত্র এভাবেই হত্যার শিকার হয়েছে।

জমায়েতে যোগ দেন ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ শিন বেত নিরাপত্তা সংস্থার সাবেক প্রধান ইউভাল দিসকিন। এ সময় তিনি বলেন, নেতানিয়াহু দেশের সবচেয়ে বাজে প্রধানমন্ত্রী।

৫০ বছর বয়সী ইয়োরাম বলেন, প্রতি সপ্তাহান্তে বিক্ষোভে আসেন তিনি। নেতানিয়াহুর কারণে ইসরায়েলে নির্বাচন দরকার।

ইয়োরাম আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, বর্তমান সরকারের পতন ঘটবে। আর আমরা যদি ২০২৬ সালের নির্বাচনের তারিখের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকি, তাহলে সেটা আর গণতান্ত্রিক কোনো নির্বাচন হবে না।’

এদিকে শনিবার রাতে তেল আবিবের রাজপথে আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল করেন হামাসের হাতে জিম্মি ব্যক্তিদের হাজারো স্বজন ও সমর্থক।

শেষ হলো বাইডেন-ট্রাম্প বিতর্ক, গুরুত্ব পেল যেসব বিষয়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
টেলিভিশন বিতর্কে বাইডেন–ট্রাম্প

টেলিভিশন বিতর্কে বাইডেন–ট্রাম্প

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ আর নানা নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাইডেন ও ট্রাম্পের প্রথম টেলিভিশন বিতর্ক।

বিতর্কের আয়োজন করে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন ও এবিসি। তাদের আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে অভিবাসন, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার, গর্ভপাতের অধিকার, চাকরি, মুদ্রাস্ফীতি,ইউক্রেন যুদ্ধ ও দুই নেতার বয়স।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে আমেরিকার জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় বর্তমান ও সাবেক প্রেসিডেন্টের মধ্যে এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এ বিতর্কের শুরুতে করমর্দন করতে দেখা যায়নি বাইডেন ও ট্রাম্পকে। 

৯০ মিনিটের এই বিতর্ক সভায় কোনও দর্শকের উপস্থিতি ছিল না। বিতর্কে ট্রাম্প বক্তব্য দিয়েছেন ৪০ মিনিট ১২ সেকেন্ড। আর বাইডেন বলেছেন ৩৫ মিনিট ৪১ সেকেন্ড। এতে অংশ নিয়ে বর্তমান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন ইস্যুতে একে অপরকে দুষলেন।

গাজা যুদ্ধ প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন, হামাসই যুদ্ধ শেষ করতে চায় না। এসময় হামাসকে নির্মূল করার বিষয়ে জোর দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অপর দিকে ট্রাম্প বলেন, ইসরায়েলের এ যুদ্ধ শেষ করা উচিত। বাইডেন একজন ফিলিস্তিনি হয়ে উঠেছেন। 

গর্ভপাতের বিষয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প জানান, তিনি নির্বাচিত হলে গর্ভপাতের চিকিৎসা বন্ধ করবেন না। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, গর্ভপাতরোধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকা একটি ভয়াবহ ব্যাপার। 

অভিবাসন সংকট নিয়ে বাইডেন বলেন, এখন ৪০ শতাংশ মানুষ অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে। এটা ট্রাম্পের সময়ের চেয়ে ভালো। 

এর জবাবে ট্রাম্প সীমান্ত নিয়ে বাইডেনের নীতির সমালোচনা করেন। তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রে কয়েদি, মানসিক রোগী, সন্ত্রাসীরা অবৈধভাবে প্রবেশ করছে। 

বিতর্কে উঠে আসে আফগানিস্তান প্রসঙ্গও। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু আমরা মর্যাদার সাথে, শক্তির সঙ্গে বের হয়ে যাচ্ছিলাম।’ 

বাইডেন মধ্যপ্রাচ্য এবং আফগানিস্তানে তার পররাষ্ট্র নীতির পক্ষে বক্তব্য রাখেন। 

ইউক্রেনের বিষয়ে বাইডেন বলেন,  ‘ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমিরপুতিনকে যা ইচ্ছা করতে বলেছেন। পুতিন ভেবেছিলেন পাঁচ দিনের মধ্যে কিয়েভকে নিয়ে যাবেন।’

এসময় ট্রাম্প বলেন, ‘আমি কখনোই তা বলিনি।’

ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্প বলেন, ইউরোপিয়ান দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে কম খরচ করেছেন।
 
২০২১ সালে ক্যাপিটল হিলে হামলার বিষয়ে বাইডেন বলেন, ট্রাম্পের উস্কানিতেই সেদিন এ হামলা চালানো হয়।  ওই দিনের হামলাকারীদের জেল হওয়া উচিত। 

ট্রাম্প বলেছেন যে, বাইডেন এ ঘটনায় অনেক নির্দোষ মানুষের জীবন ধ্বংস করেছেন।

মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘বাইডেন মুদ্রাস্ফীতি ঘটাচ্ছেন। আমি তাঁকে মুদ্রাস্ফীতি ছাড়াই দেশ দিয়েছি।’ 

এর জবাবে বাইডেন বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি না থাকার কারণ হলো অর্থনীতি গতিশীল ছিল না। আমি চাকরির সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি।’ 

পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় ট্রাম্পের অভিযুক্ত হওয়ার বিষয়টিও বিতর্কে তুলে আনেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘এখানে শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি আছে যে একজন সাব্যস্ত অপরাধী। তাঁকে আমি এখন দেখছি।’

বিতর্কে উঠে আসে বাইডেনের বয়সের বিষয়টিও। এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আমার ক্যারিয়ারের অর্ধেক সময় সবচেয়ে কমবয়সী হওয়ার কারণে সমালোচিত হয়েছি। এখন বেশি বয়সের কারণে সমালোচিত হচ্ছে। সে (ট্রাম্প) দায়িত্ব ছাড়ার পর আমি কি অর্জন করেছি তার সব কিছু দেখুন।’

বয়স নিয়ে প্রশ্ন করলে ট্রাম্প বলেন, ‘২৫,৩০ বছর আগে যেমন ছিলাম এখন আমি তেমন ভালো অবস্থাতেই আছি। আমার মনে হয়, আমি একটু হালকা।’  

বিতর্কের শেষ দিকে বাইডেন জানান, তিনি আমেরিকানদের জন্য কর কমাতে চান। সেইসঙ্গে মুদ্রাস্ফীতির লাগামও টানতে চান।এসময় ইনসুলিনের দাম কমানো ও সুলভ মূল্যে চাইল্ডকেয়ার সংক্রান্ত সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।  

বিতর্কের একেবারে শেষে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ‘আমরা নরকে বাস করছি।’ 

এরপর ‘আমরা আমেরিকাকে আবারও মহান করে তুলব’ বলে নিজের বক্তব্য শেষ করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। 

উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে নানা সংকটের মধ্যেই আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এরই মধ্যে মার্কিন রাজনীতি নিয়ে মানুষ বিভক্ত হয়ে পড়েছে। অনেক মার্কিন ভোটারের আশঙ্কা-নির্বাচনের পর সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এদিকে নোবেলজয়ী ১৬ অর্থনীতিবিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার প্রেসিডেন্ট হলে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

;

রাইসির মৃত্যুর পর ইরানে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আজ ভোট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: রয়টার্স

ছবি: রয়টার্স

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর ফের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন দেশটির জনগণ। শুক্রবার (২৮ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে, চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। খবর এনডিটিভি।

নির্বাচনের একদিন আগে আমির হোসেন হাশেমি ও আলি রেজা জাকিনি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় লড়াই হবে বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সাবেক প্রধান ও বর্তমান স্পিকার বাঘের কালিবাফ, পারমাণবিক মধ্যস্ততাকারী দলের প্রধান সাইদ জালিলি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তফা পুর মোহাম্মদি ও সংস্কারপন্থী নেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান– এ চার নেতার মধ্যে।

এদের মধ্যে বাঘের কালিবাফ ও সাইদ জালিলি সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের অভিভাবক পরিষদের মুখপাত্র বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন, বিশ্বের ৯৫টি দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। ঐসব দেশে অবস্থানকারী ইরানি নাগরিকেরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

এছাড়া, দেশের অভ্যন্তরে ৫৯ হাজার ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন ভোটারেরা।

;

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিতর্কে প্লেকার্ড হাতে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
জর্জিয়ার আটলান্টায় ফিলিস্তিনিপন্থীদের বিক্ষোভ, ছবি/রয়টার্স

জর্জিয়ার আটলান্টায় ফিলিস্তিনিপন্থীদের বিক্ষোভ, ছবি/রয়টার্স

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন প্লেকার্ড হাতে জর্জিয়ার আটলান্টায় সমাবেশ করেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ২০২৪ সালের প্রথম রাষ্ট্রপতি বিতর্ক অনুষ্ঠনের আগে এ জায়গায় জড়ো হয় বিক্ষোভকারী।

ছবিতে জর্জিয়ার আটলান্টায় ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভ

ট্রাম্পকে ফেসিস্ট এবং জো বাইডেনকে গণহত্যাকারী লেখা প্লেকার্ড, ছবি/রয়টার্স

জর্জিয়ার আটলান্টায় ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে দাঁড়িয়েছে এক যুবক, ছবি/রয়টার্স

শিশু হত্যাকারীদের ভোট দিবেন না লেখা প্লেকার্ড হাতে এক নারী, ছবি/রয়টার্স

গাজায় যুদ্ধ বিরতি চেয়ে করুণীর অবস্থান, ছবি/রয়টার্স

;

বিশ্বে বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় আরও দুই ধাপ পেছাল ঢাকা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বে বসবাসের যোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান গত বছরের তুলনায় আরও দুই ধাপ পিছিয়েছে। বিশ্বের ১৭৩টি শহরের মধ্যে ১৬৮তম অবস্থানে আছে ঢাকা। আগের বছর ঢাকার অবস্থান ছিল ১৬৬তম।

ইকোনমিস্টের প্রতিষ্ঠান ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) গতকাল বুধবার প্রকাশিত বার্ষিক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর ঢাকায় মানুষের জীবন-যাপনের মানের কোনও উন্নতি ঘটেনি। পাকিস্তানের করাচির একধাপ ওপরে এবং জিম্বাবুয়ের হারারে শহরের একধাপ নিচে ঢাকার অবস্থান।

প্রত্যেক বছর বাসযোগ্যতার বিচারে বিশ্বের বড় শহরগুলোর তালিকা প্রকাশ করে ইআইইউ। স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো- এই পাঁচ সূচকের ওপর ভিত্তি করে বাসযোগ্য শহরের তালিকা তৈরি করা হয়।

তালিকায় সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরের তালিকায় সবার ওপরে আছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। এর পর শীর্ষ পাঁচে যথাক্রমে আছে কোপেনহেগেন, জুরিখ, মেলবোর্ন ও ক্যালগেরি।

আর সবার শেষে আছে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক। নিচ থেকে শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো- ত্রিপলি, আলজিয়ার্স, লাগোস ও করাচী।

আইইউয়ের এই তালিকায় এ বছর ১৬৮তম স্থানে থাকা ঢাকার অবনতির প্রধান কারণ ছিল শিক্ষার সহজলভ্যতা ও গুণগত মানের পতন। এ বছর স্থিতিশীলতায় ৫০, স্বাস্থ্যসেবায় ৪১ দশমিক ৭, সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৪০ দশমিক ৫, শিক্ষায় ৬৬ দশমিক ৭ এবং অবকাঠামোতে ২৬ দশমিক ৮ পয়েন্ট পেয়েছে ঢাকা।

;