জার্মানির সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হচ্ছে আজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নাগরিকত্ব আইনটি কার্যকর হচ্ছে আজ

নাগরিকত্ব আইনটি কার্যকর হচ্ছে আজ

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ রেখে জার্মানির সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনটি কার্যকর হচ্ছে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন)। এর ফলে আরো বেশি মানুষ জার্মানির নাগরিকত্ব অর্জনের সুযোগ পাবেন। আইনটির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর উপর দৃষ্টি দিয়েছে ইনফোমাইগ্রেন্টস।

জার্মানির বার্তাসংস্থা ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেডারেল সরকারের তথ্য অনুযায়ী, জার্মানিতে নাগরিকত্ব অর্জনের হার ইউরোপীয় ইউনিয়নের গড়ের অর্ধেক।

জার্মানির মোট জনসংখ্যার অন্তত ১৪ শতাংশ অর্থাৎ এক কোটি ২০ লাখ মানুষের কাছে দেশটির নাগরিকত্ব নেই৷ অন্তত ৫.৩ শতাংশ মানুষ গত ১০ বছর ধরে জার্মানিতে বসবাস করছে। 

জার্মান পার্লামেন্ট বুন্ডেসটাগে সংস্কার প্রস্তাব পাস হওয়ার প্রায় সাত মাস পর ২৭ জুন থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে আইনটি। এ আইন কার্যকর হলে আট বছরের পরিবর্তে পাঁচ বছর পার হলেই জার্মান নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করতে পারবেন অভিবাসীরা।

জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, মূলত পাঁচটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে আইনটি৷ এগুলোর মধ্যে আছে, নাগরিকত্ব অর্জনের প্রক্রিয়া গতিশীল করা, দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ রাখা, বিশেষ যোগ্যতাকে স্বীকৃতি দেয়া, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব সহজ করা, ‘অতিথি কর্মীদের’ প্রজন্মকে লাইফটাইম, অ্যাচিভমেন্ট বা আজীবন সম্মাননা দেয়া এবং বেশি সংখ্যক অভিবাসীর জার্মান নাগরিক হওয়ার সুযোগ।

আইনটি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জার্মানিতে বসবাসরত বিদেশিরা আট বছরের পরিবর্তে পাঁচ বছর পরই নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করতে পারবেন।

জার্মান নাগরিকের সঙ্গে কারো বিয়ে হলে, চার বছর পরই তিনি নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদনের সুযোগ পাবেন।

আবেদনকারীদের মধ্যে যারা জার্মান সমাজের মানিয়ে নেয়ার (ইন্টিগ্রেশন) ক্ষেত্রে ‘বিশেষ সাফল্য' দেখাতে পারবেন, তারা তিন বছর পরই নাগরিকত্ব চাইতে পারবেন। বিশেষ সাফল্যের মধ্যে রয়েছে: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভালো ফল করা, কর্মক্ষেত্রে নিজেকে প্রমাণ করা, ভাষাগত দক্ষতা এবং স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে পারদর্শিতা।

জার্মান ফেডারেল পরিসংখ্যান অফিস জানিয়েছে, ২০২২ সালে জার্মানির মোট জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ মানুষের অভিবাসন সম্পর্কিত ইতিহাস রয়েছে।

জার্মানির পাসপোর্ট পেতে বা নাগরিক হতে হলে আগের মতো নিজ দেশের নাগরিকত্ব ছাড়তে হবে না কোনো বিদেশিকে। ২৭ জুন থেকে কার্যকর হচ্ছে এই সুবিধাটিও।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জার্মানির নাগরিকত্ব অর্জনের সময় কোনো শর্ত পূরণ ছাড়াই আবেদনকারী তার আগের নাগরিকত্ব ধরে রাখতে পারবেন। ফলে জার্মানির পাসপোর্ট নিতে গিয়ে নিজ দেশের পাসপোর্ট ছাড়ার আক্ষেপও আর থাকবে না।

তবে আবেদনকারীর নিজ দেশ দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখার সুযোগ দেয় কিনা বা এ বিষয়ে জার্মান সরকারের সঙ্গে অন্য কোনো দেশের কোনো চুক্তি আছে কিনা বিষয়টি তার ওপরও নির্ভর করবে।

নবজাতকদের বিশেষ সুবিধা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভবিষ্যতে জার্মানিতে বিদেশি পিতা-মাতার ঘরে জন্ম নেয়া শিশু ‘নিঃশর্তভাবে জার্মান নাগরিকত্ব পাবে।

এমনকি জার্মান বংশোদ্ভূত শিশুরাও এখন তাদের পিতা-মাতার নাগরিকত্ব ধরে রাখতে পারে, যদি তাদের মধ্যে একজন নিয়মিতভাবে অন্তত (আট বছর থেকে কমিয়ে) পাঁচ বছর জার্মানিতে বাস করেন৷

অতিথি কর্মী প্রজন্মের সদস্যরা ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারলেই জার্মান নাগরিকত্ব পাবেন৷ জার্মান ন্যাচারালাইজেশন প্রক্রিয়ার পরীক্ষা দেয়ারও প্রয়োজন হবে না তাদের৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের প্রমাণ করতে হবে যে তারা ‘নিত্যদিনের জীবনে’ জার্মান ভাষায় কথা বলতে পারেন।

অতিথি কর্মীদের প্রতি বিশেষ সম্মান জানাতেই তাদের জন্য এই সহজ ব্যবস্থা নিয়েছে জার্মানি৷

১৯৫০-এর দশকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে জার্মানিকে পুনর্গঠনে সহায়তা দিতে অনেক তুর্কি নাগরিক আসেন জার্মানিতে৷ তাদেরকে জার্মান ভাষায় ‘গাস্টআরবাইটার' বা ‘অতিথি কর্মী' বলা হয়৷ এতদিন তাদের কেউ জার্মান নাগরিক হতে চাইলে ছাড়তে হতো তুরস্কের নাগরিকত্ব৷

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, জার্মান নাগরিকত্বের জন্য আবেদনকারী কোনো বিদেশির অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার রেকর্ড থাকলে তার আবেদন গৃহীত হবে না। তবে ছোটখাটো অপরাধ আমলে নেবে না কর্তৃপক্ষ। কোনো অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় কেউ যদি সর্বোচ্চ ৯০ দিনের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে থাকেন, তবে সাজাভোগের পর তিনি বা তারা নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদনের যোগ্য হবেন।

তবে একটি ব্যতিক্রম থাকছে। যদি একজন অভিবাসী ‘ইহুদিবিদ্বেষী, বর্ণবাদী বা অন্যান্য অমানবিক কাজের' জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়, সাজার মেয়াদ যা-ই হোক না কেন, তাকে আর নাগরিকত্ব দেয়া হবে না।

নাগরিকত্ব পেতে হলে বিদেশিদের অবশ্যই নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের ভরণ-পোষণের সামর্থ্য থাকতে হবে। কারণ, জার্মান সোশ্যাল কোডের দ্বিতীয় ও দ্বাদশ ধারা (এসজি টু ও টুয়েলভ) অনুযায়ী, তাদের সরকারি কল্যাণ ভাতায় যুক্ত করা হবে না।

আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে যাদের আশ্রয় আবেদন বাতিল হয়েছে, কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, অর্থাৎ ডুলডুং প্রক্রিয়ায় জার্মানিতে দীর্ঘসময় থাকতে পারছেন, তারা নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য হবেন না।

মাইগ্রেশন মিডিয়া সার্ভিসের একটি সমীক্ষা বলছে, জার্মানির ৫০টি বড় শহরে বর্তমানে অন্তত দুই লাখ চার হাজার আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে। সংখ্যাটি ২০২৩ সালে জার্মানিতে মোট নাগরিকত্ব অর্জনের চেয়েও বেশি৷ জার্মানির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হামবুর্গে ২৫ হাজার ৬০০ মানুষ নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করেছেন।

গত বছর নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদনের সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় অন্তত ১৯ ভাগ বেড়েছিল। আর সংখ্যাটি ২০২০ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

ক্ষমতাসীন জোট সরকারের এমন উদ্যোগের কারণে আগামীতে নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদনের সংখ্যা আরো বাড়বে বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, নাগরিকত্বের আবেদন বেড়ে যাওয়ার কারণে চাপের মুখে পড়তে পারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো৷ তাই পুরো প্রক্রিয়াটিকে ডিজিটালাইজড করার বিষয়ে মনোযোগী হয়েছে সরকার৷

মাইগ্রেশন মিডিয়া সার্ভিসের সমীক্ষা বলছে, জার্মানির প্রায় প্রতিটি শহরে নাগরিকত্বের আবেদনে এগিয়ে আছে সিরীয়রা। এরপর আছে ইরাকি ও তুরস্কের নাগরিকেরা। গত বছরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এই দৌড়ে ইরানি ও আফগানিদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।

উল্লেখ্য, চলতি জুনে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে ভালো ফল করেছে জার্মানির রক্ষণশীল বিরোধী দল সিডিইউ/সিএসইউ। দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে কট্টর ডানপন্থি এএফডি। কিন্তু জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারভুক্ত দলগুলোর অবস্থানি তলানিতে। ফলে এই আইনি সংস্কারের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় রয়েছে।

এই গ্রীষ্মের শেষে কিংবা আগামী বছরের শরতে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হবে সাধারণ নির্বাচন৷ বর্তমানে জার্মান রাজনীতিতে বেশ চাঙা রয়েছে বিরোধী দল সিডিইউ/সিএসইউ৷ তারা যদি আগামীতে ক্ষমতায় আসে তাহলে নাগরিকত্বের আইনের এসব সংস্কার বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে৷

চার জাহাজে হামলার দাবি হুতিদের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লোহিত সাগরে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী একটি জাহাজে হামলার দাবি করেছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি বিদ্রোহীরা।

রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার (২৮ জুন) এক টেলিভিশন বিবৃতিতে এ দাবি করেন হুতির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি।

এ ছাড়া ভূমধ্যসাগরে দুটিসহ মোট ৪টি জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠীটি।

হুতিরা বলেছে, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বাণিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করছে তারা।

একটি সামুদ্রিক সংস্থা বলেছে, লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটিকে লক্ষ্য করে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে হুতিরা।

ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, গোষ্ঠীটি তেলবাহী ট্যাংকার ডেলোনিক্সে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং সেটি সরাসরি আঘাত হেনেছে।

ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস এর আগে বলেছিল, জাহাজটিকে ইয়েমেনি বন্দর হোদেইদাহ থেকে ১৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তর-পশ্চিমে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। তবে জাহাজটিতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

সারি আরো বলেন, লোহিত সাগরে আইওনিস জাহাজের পাশাপাশি ওয়ালের তেলবাহী ট্যাংকার এবং ভূমধ্যসাগরে জোহানেস মায়েরস্ক জাহাজে হামলা করেছিল হুতিরা।

এই অঞ্চলে হুতিদের হামলার কারণে গত নভেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল ব্যাহত হয়েছে। অনেক জাহাজ লোহিত সাগরে হয়ে সুয়েজ খালের দিকে না গিয়ে আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে দীর্ঘ পথ ঘুরতে বাধ্য হয়েছে।

;

নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চান ৬৬ শতাংশ ইসরায়েলি : জরিপ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ সময়ে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নিশ্চিহ্ন কিংবা তাদের হাতে আটক জিম্মিদের উদ্ধার কোনো লক্ষ্যই অর্জন করতে পারেনি দেশটি।

আল জাজিরা জানিয়েছে, এ অবস্থায় ইসরায়েলের সরকার প্রধান নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে।

নতুন এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ইসরায়েলি চান, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পুনরায় নির্বাচন করা উচিত নয়, বরং তার রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া উচিত।

ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ পরিচালিত এই জরিপে মাত্র ২৭ শতাংশ উত্তরদাতা তাকে ইসরায়েলের পরবর্তী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখতে চান। সেখানে ৬৬ শতাংশ মনে করেন তার পদত্যাগ করা উচিত।

এমনকি নেতানিয়াহুর ডানপন্থী ধর্মীয় ব্লকের দলগুলোর ভোটারদের মধ্যে, মাত্র ৫৩ শতাংশ চান, তার আবার নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত।

জরিপে প্রায় ৮৫ শতাংশ উত্তরদাতা চেয়েছিলেন, ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলে অনুপ্রবেশের ব্যর্থতার তদন্তে একটি কমিশন গঠন করা হোক।

এদিকে, হামাসের ওই হামলার পর থেকেই ফিলিস্তিনের উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৭৬৫ জনের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

গাজায় হামলার পর থেকেই নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন ইসরায়েলিরা।

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ পরিচালনা ও যুদ্ধবিরতি দিয়ে বন্দী আলোচনার জন্য বিরোধী দল, নিজের জোটের কট্টর ডানপন্থী সদস্য এবং ইসরায়েলি জনগণের কাছ থেকে তীব্র সমালোচনা সহ্য করে আসছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।

;

১২ জুলাই পর্যন্ত কারাগারেই থাকতে হবে কেজরিওয়ালকে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আরো ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকতে হবে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। এমনটাই রায় দিয়েছেন দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত।

সিবিআইয়ের আবেদন শনিবার (২৯ জুন) মঞ্জুর করেছেন বিচারক। ওই আবেদনে কেজরিওয়ালকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা-সিবিআই।

উল্লেখ্য, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। বর্তমানে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই।

তিন দিন আগে গত ২৬ জুন একই মামলায় আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধানকে আদালতে গিয়ে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারা তাকে তিনদিনের হেফাজতেও নিয়েছিল।

সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শনিবার কেজেওেয়ালকে আদালতে হাজির করানো হয়। তখর আরও ১৪ দিন তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

তাই আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তিহার জেলেই থাকতে হবে। হেফাজতের মেয়াদ শেষ হলে ওই দিন দুপুর ২টা নাগাদ জেল থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আবার কেজরিওয়ালকে আদালতে হাজির করানো হবে।

শনিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক সুনেনা শর্মার বিশেষ বেঞ্চে কেজরিওয়ালের মামলাটি উঠে। সিবিআই জানায়, তদন্তের অগ্রগতি এবং প্রকৃত ন্যায় বিচারের স্বার্থে কেজরিওয়ালের আরো কিছু দিন হেফাজতে থাকা প্রয়োজন।

কেন্দ্রীয় এই সংস্থা আরো জানায়, তিন দিন তাদের হেফাজতে থাকাকালীন কেজরিওয়ালের তদন্তে সহযোগিতা করেননি, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। এমনকি, তিনি প্রমাণের বিরোধিতাও করেছেন।

শুনানির পরে রায় দান স্থগিত রেখেছিল আদালত। এরপর শনিবার বিকালে রায় ঘোষণা করা হয়।

;

ইসরায়েলে ২ হাজার পাউন্ডের ১৪ হাজার বোমা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলে বিপুল সংখ্যক অস্ত্রশস্ত্র পাঠিয়েছে, যার মধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি বিধ্বংসী ২ হাজার পাউন্ডের বোমা এবং হাজার হাজার হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো অস্ত্রের এই তালিকা সম্পর্কে নাম প্রকাশ না করার সূত্রে অবহিত করেছেন দুই মার্কিন কর্মকর্তা।

দুই মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, গত অক্টোবরে যুদ্ধের শুরুর দিকে এবং সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র কমপক্ষে ২ হাজার পাউন্ড ওজনের ১৪ হাজার বোমা, ৫০০ পাউন্ডের ৬,৫০০ বোমা, ৩ হাজার হেলফায়ার এয়ার-টু-গ্রাউন্ড ক্ষেপণাস্ত্র এবং এক হাজার বস্টার ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে।

এদিকে বিশ্লেষকরা বলেছেন, এতে করে বোঝা যাচ্ছে যে, আন্তর্জাতিক আহ্বান এবং অস্ত্রের চালান থামানোর সাম্প্রতিক প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও ইসরায়েলকে যুদ্ধের রসদ নিয়মিতভাবেই সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিশ্লেষকরা আরও বলেছেন, মার্কিন অস্ত্র চালানের বিষয়বস্তু গাজায় আট মাসের সামরিক অভিযানে ব্যবহৃত সরবরাহ পুনরায় পূরণ করতে ইসরায়েলের যা যা প্রয়োজন, তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অস্ত্র বিশেষজ্ঞ টম কারাকো বলেছেন, ‘মার্কিন অস্ত্র চালানের তালিকাটি স্পষ্টভাবে ইসরায়েলি মিত্রদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি উল্লেখযোগ্য সমর্থন প্রতিফলিত করে। তালিকাভুক্ত অস্ত্রশস্ত্রগুলো হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বা হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘর্ষে ব্যবহার করবে ইসরায়েল।’

তবে, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি হোয়াইট হাউস। ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের দূতাবাসও তাৎক্ষণিক মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধের জবাব দেয়নি।

;