লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর তার উত্তরসূরি বাছাইয়ে দেশটিতে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শুক্রবার (২৮ জুন) এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে শেষ মুহূর্তে বুধবার (২৬ জুন) প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজিজাদেহ হাশেমি।

ইরানের প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়া ছয়জনের পাঁচজনই রক্ষণশীল, একজন সংস্কারপন্থী। এ ছয়জন হলেন-মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ, আমির-হোসেইন গাজিজাদেহ হাশেমি, সাঈদ জালিলি, মাসুদ পেজেশকিয়ান, মোস্তফা পুরমোহাম্মদি এবং আলিরেজা জাকানি।

৬২ বছর বয়সি মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ ইরানের একজন পরিচিত রক্ষণশীল নেতা। তিনি ২০২০ সাল থেকে দেশটির পার্লামেন্টে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছেন।

ইরানের উত্তর–পূর্বের নগরী মাশহাদের কাছে ১৯৬১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন গালিবাফ। রাজধানী তেহরানের মেয়রের দায়িত্ব পালনসহ তিনি সরকারি নানা পদে ছিলেন।

এর আগে ২০০৫, ২০১৩ ও ২০১৭ সালেও গালিবাফ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন। তবে শেষবার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে তিনি রাইসিকে সমর্থন দেন।

রাজনীতিতে আসার আগে গালিবাফ ইরানের অভিজাত বাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৭ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তাকে রেভল্যুশনারি গার্ডের বিমানবাহিনীর প্রধান করেছিলেন। আর ২০০০ সালে পুলিশপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

বাঘের গালিবাফের নাম ইরানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১৯৯৯ সালের ছাত্র আন্দোলন কঠোর হাতে দমনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।

৫৩ বছর বয়সি আমির–হোসেইন গাজিজাদেহ হাশেমি চরম রক্ষণশীল একজন নেতা। চিকিৎসক গাজিজাদেহ হাশেমি রাইসি সরকারের একজন কট্টর সমর্থক।

১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন গাজিজাদেহ হাশেমি। ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মার্টায়ার্স ফাউন্ডেশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

ইতিপূর্বে মাশহাদ আসন থেকে টানা চারবার পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন গাজিজাদেহ হাশেমি।

২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গাজিজাদেহ হাশেমি ৩ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন।

গতকাল এক বিবৃতিতে গাজিজাদেহ হাশেমি প্রেসিডেন্ট পদ থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন।


গাজিজাদেহ হাশেমি ছাড়া আরও একজন কট্টর রক্ষণশীল প্রার্থী হলেন ৫৮ বছরের সাঈদ জালিলি। ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে তেহরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইরানের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন তিনি।

জালিলি ঘোর পশ্চিমাবিরোধী। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তিরও তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন তিনি।

১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাশহাদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন জালিলি। খামেনি তাকে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছিলেন।

জালিলি ইরান-ইরাক যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। সামরিক বাহিনীতে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি একটি পা হারান।

২০১৩ সালে জালিলি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেন। ২০১৭ সালে রাইসিকে সমর্থন দিয়ে প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।

এবারের প্রার্থীদের মধ্যে পেজেশকিয়ানই সবচেয়ে বয়স্ক এবং একমাত্র সংস্কারপন্থী প্রার্থী। ১৯৫৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া পেজেশকিয়ান একজন হার্ট সার্জন। ২০০৮ সাল থেকে টানা উত্তর–পশ্চিমের নগরী তাবরিজ থেকে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন তিনি।

পেজেশকিয়ান বরাবর ইরানের বর্তমান শাসকদের সমালোচনা করে এসেছেন। ইরানের সাবেক সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামির সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি।

যে বছর (২০২১ সাল) রাইসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন, সে বছর পেজেশকিয়ান অন্য সংস্কারপন্থী ও মধ্যপন্থী প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছিলেন।

২০২২ সালে তেহরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনার পর ইরানজুড়ে যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল সে সময় রাইসি সরকারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন পেজেশকিয়ান।

৬৪ বছর বয়সি মোস্তফা পুরমোহাম্মদি এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা একমাত্র ধর্মীয় নেতা। রক্ষণশীল ও অভিজ্ঞ এ রাজনীতিক ১৯৫৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর কুমনগরে জন্মগ্রহণ করেন।

পুরমোহাম্মদি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও ছিলেন।

কট্টর রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন পুরমোহাম্মদি। আবার মধ্যপন্থী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির আমলে বিচারমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।

৫৮ বছর বয়সি আলিরেজা জাকানি কট্টর রক্ষণশীল রাজনীতিক। ২০২১ সালের আগস্ট থেকে তেহরানের মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

১৯৬৫ সালের ২ এপ্রিল রাজধানী তেহরানে জন্ম নেওয়া জাকানি ইরাক-ইরান যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। ২০২১ সালে তিনি রাইসির প্রতি সমর্থন জানিয়ে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এর আগে ২০১৩ ও ২০১৭ সালে এ পদে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছিলেন তিনি।

জাকানি চার দফায় আইনসভার সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে তিনবার তেহরান ও একবার কুম থেকে নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু চুক্তির কড়া সমালোচনা করেন।

হিজবুল্লাহ এখন থেকে সন্ত্রাসী সংগঠন নয়: আরব লীগ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ

লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

আরব লীগের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকা থেকে বাদ পড়েছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নাম।

শনিবার (২৯ জুন) টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে আরব লীগের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হোসসাম জাকি বলেছেন, হিজবুল্লাহ এখন থেকে আর সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। বৈরুতে সফর শেষ করার পরদিন মিশরীয় আল-কাহেরা নিউজ চ্যানেলে এ কথা বলেন তিনি।

বার্তা সংস্থা আনাদুলু বলছে, জাকি বলেন, ‘আরব লীগের পূর্ববর্তী সিদ্ধান্তগুলোতে হিজবুল্লাহকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল এবং হিজবুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। তবে হিজবুল্লাহ এখন থেকে আর সন্ত্রাসী সংগঠন নয়।’ 

আরব লীগের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, ‘লীগের সদস্য রাষ্ট্রগুলো সম্মত হয়েছে যে, হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আর বিবেচনা করা উচিত নয়। আরব লীগের সদস্য রাষ্ট্র ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের শর্তগুলোও পূরণ করা হয়েছে।’ 

এর আগে, ২০১৬ সালের ১১ মার্চ হিজবুল্লাহকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে আরব লীগ। ইসরায়েলের ইহুদিবাদী শাসকের মিত্র পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর চাপের ফলে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইসরায়েলের ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর মোকাবিলায় এবং গাজায় গণহত্যা বন্ধে ফিলিস্তিনেদের পাশে দাঁড়িয়ে হিজবুল্লাহ যেভাবে লড়ে যাচ্ছে, তা আরব দেশগুলোর জনগণের মাঝে ব্যাপক ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। এটিই হয়তো আরব লীগের দেশগুলোকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকা থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

;

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে বাদ পড়তে পারেন বাইডেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জো বাইডেন

জো বাইডেন

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হারার পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে বাড়ছে উত্তেজনা। ডেমোক্রেটিক পার্টির গঠনতন্ত্র ও মার্কিন আইন অনুসারে বাইডেন নিজেই নির্বাচনের লড়াই থেকে সরে যেতে পারেন অথবা তার দল চাইলে তাকে সরিয়ে দিতে পারে বলে উঠছে গুঞ্জন।

 বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এর পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেমোক্রেটিক পার্টিতে নির্বাচনের দৌড় থেকে বাইডেনকে সরানোর ব্যবস্থা আছে। 

ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো ও ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির সদস্য অ্যালাইন কামার্ক বলেন, ডেমোক্রেটিক পার্টির কাছে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বাইডেনের কোনো বিকল্প নাম নেই। বাইডেন কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ বছর পার্টির তরফ থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েছেন। 

অ্যালাইন কামার্কের মতে, চলতি গ্রীষ্মের শেষ দিক পর্যন্তও যেহেতু বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত করা হবে না। তাই এখনো তার জায়গায় পরিবর্তন আনার সময় ও সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। যেমন, বাইডেন পার্টির তরফ থেকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হওয়ার আগে নিজে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তার প্রার্থিতাকে অন্যরা চ্যালেঞ্জ করতে পারেন, অথবা আগামী আগস্টে শিকাগোতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ডেমোক্রেটিক সম্মেলনের সময় নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারেন। 

আর বাইডেন যদি নিজেকে সরিয়ে নেন বা অন্য কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হয় যেখানে বাইডেন আর এই নির্বাচনে লড়বেন না- সেক্ষেত্রে তার বিকল্প হিসেবে হাজির হতে পারেন ডেমোক্রেটিক পার্টির বেশ কয়েকজন নেতা। তাদের মধ্যে প্রথমেই থাকবেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তবে হ্যারিসও মার্কিন জনগণের মধ্যে খুব একটা জনপ্রিয় নন। 

কমলা হ্যারিস ছাড়া বাইডেনের বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া হতে পারে মিশিগান অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার। কমলা হ্যারিসের মতো গ্রেচেনও একজন নারী। তবে তার জনপ্রিয়তাও খুব একটা বেশি নয়। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পরিবহনমন্ত্রী পিট বুটিগিগও বাইডেনের বিকল্প হতে পারে। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের সময় বুটিগিগ আইওয়া ও নিউ হ্যাম্পশায়ার থেকে জিতেছিলেন। 

বাইডেনের আরেক বিকল্প হতে পারেন পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জশ শ্যাপিরো। তবে বিশ্লেষকদের মতে, তুলনামূলক কমবয়সী জশ শ্যাপিরোকে শিগগির নির্বাচনের বিকল্প বলে ভাবা হচ্ছে না। তাকে মোটাদাগে ২০২৮ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এছাড়া কলোরাডোর গভর্নর ও সাবেক কংগ্রেসম্যান জ্যারেড পোলিসও বাইডেনের বিকল্প হতে পারেন। এমনকি তিনি একাধিকবার জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচনে লড়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন। 

তবে বাইডেনের বিকল্প হিসেবে সবচেয়ে বেশিবার যার নাম উচ্চারিত হয়েছে তিনি হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গেভিন নিউসম। তবে তার নীতি অনেকটাই বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টি ঘেঁষা। তাই বিশ্লেষকেরা মনে করেন, গেভিন নিউসমকে মনোনীত করার অর্থ, একজন রিপাবলিকান ঘেঁষা ব্যক্তিকেই মনোনীত করা। 

এর বাইরে, জর্জিয়ার সিনেটর রাফায়েল ওয়ারনক, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামা, মিনোসোটার সিনেটর অ্যামি ক্লোবুচার এবং কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশার বাইডেনের জায়গা নিতে পারেন। 

;

নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১৮



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় প্রাণঘাতী বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন।

রোববার (৩০ জুন) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্ব বোর্নো প্রদেশে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে অন্তত ১৮ জন নিহত ও আরও ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর মধ্যে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে সন্দেহভাজন বোমা হামলায় ছয়জন নিহত এবং অন্যদের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার একের পর এক বিস্ফোরণে ১৮ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে, যার মধ্যে শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক এবং গর্ভবতী নারীও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। তবে নাইজেরিয়ার ভ্যানগার্ড এবং দিস ডে সংবাদপত্র জানিয়েছে, বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে। তবে এখনও কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি।

বোর্নো প্রদেশের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, সন্দেহভাজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা গোওজা শহরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠান এবং হাসপাতালে হামলা চালায়। মূলত এই প্রদেশটি গত ১৫ বছর ধরে জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারামের বিদ্রোহের কেন্দ্রে রয়েছে।

এই সংঘাত ও সহিংসতায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ২০১৪ সালে বোর্নো প্রদেশের চিবোক শহর থেকে ২৭০ জনেরও বেশি স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে বোকো হারাম আন্তর্জাতিক কুখ্যাতি অর্জন করেছিল। 

;

চার জাহাজে হামলার দাবি হুতিদের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লোহিত সাগরে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী একটি জাহাজে হামলার দাবি করেছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি বিদ্রোহীরা।

রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার (২৮ জুন) এক টেলিভিশন বিবৃতিতে এ দাবি করেন হুতির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি।

এ ছাড়া ভূমধ্যসাগরে দুটিসহ মোট ৪টি জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠীটি।

হুতিরা বলেছে, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বাণিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করছে তারা।

একটি সামুদ্রিক সংস্থা বলেছে, লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটিকে লক্ষ্য করে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে হুতিরা।

ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, গোষ্ঠীটি তেলবাহী ট্যাংকার ডেলোনিক্সে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং সেটি সরাসরি আঘাত হেনেছে।

ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস এর আগে বলেছিল, জাহাজটিকে ইয়েমেনি বন্দর হোদেইদাহ থেকে ১৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তর-পশ্চিমে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। তবে জাহাজটিতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

সারি আরো বলেন, লোহিত সাগরে আইওনিস জাহাজের পাশাপাশি ওয়ালের তেলবাহী ট্যাংকার এবং ভূমধ্যসাগরে জোহানেস মায়েরস্ক জাহাজে হামলা করেছিল হুতিরা।

এই অঞ্চলে হুতিদের হামলার কারণে গত নভেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল ব্যাহত হয়েছে। অনেক জাহাজ লোহিত সাগরে হয়ে সুয়েজ খালের দিকে না গিয়ে আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে দীর্ঘ পথ ঘুরতে বাধ্য হয়েছে।

;