চীনের দুই সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে দল থেকে বহিষ্কার
সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফু এবং তার পূর্বসূরি ওয়েই ফেংহেকে দুর্নীতির অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বহিষ্কার করেছে চীন।
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভির বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, এর মাধ্যমে সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি আভিযান বেগবান আরো করলো বেইজিং।
উল্লেখ্য, প্রায় দুই মাস উধাও করে রাখার পরে গত বছরের অক্টোবরে লি’কে কোনো রকম ব্যাখ্যা ছাড়াই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
লি’র রহস্যজনক অন্তর্ধান এবং ক্ষমতাচ্যুত হওয়া বিষয়টি তখন সবার মাঝে তীব্র জল্পনার উদ্রেক করেছিল।
বেইজিংয়ের বৃহস্পতিবারের ঘোষণার মাধ্যমে চীনা কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো নিশ্চিত করলো যে, তার নাটকীয় অন্তর্ধানের নেপথ্যে ছিল দুর্নীতির অভিযোগ।
সিসিটিভি অনুসারে, লি’র পূর্বসূরি ওয়েই ফেংহেকেও বৃহস্পতিবার কমিউনিস্ট পার্টি থেকে দুর্নীতির অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে।
লি এবং ওয়েই-উভয়ই চীনের সশস্ত্র বাহিনী পরিচালনাকারী সংস্থা সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের (সিএমসি) সাবেক সদস্য ছিলেন।
সিসিটিভি জানিয়েছে, বেইজিংয়ে একটি নিরাপত্তা ফোরামে শেষবার জনসমক্ষে দেখা যাওয়ার দুই দিন পর গত বছরের ৩১ আগস্ট দলীয় শৃঙ্খলা ও আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য লি-কে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ তদন্তের অধীনে রাখা হয়েছিল।
সিএমসি-এর কমিশন ফর ডিসিপ্লিন ইন্সপেকশনের তদন্তে দেখা গেছে যে, লি দলীয়ং শৃঙ্খলা গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করেছেন, তদন্ত প্রতিহত করেছেন, নিজের এবং অন্যদের জন্য ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়েছেন এবং ঘুষের মাধ্যমে বিশাল অর্থ হস্তগত করেছেন।
সিসিটিভির রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, দলের এবং সামরিক বাহিনীর একজন সিনিয়র নেতা হিসাবে লি শাংফু তার মূল লক্ষ্যের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
লি’র বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্টের সারমর্মে বলা হয়েছে, ‘লি-র অসদাচরণের প্রকৃতি অত্যন্ত গুরুতর, এর প্রভাব এবং ফলাফলও অত্যন্ত ক্ষতিকারক।’