ক্যারিবীয় অঞ্চলে হারিকেন বেরিলের সতর্কতা জারি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হারিকেন বেরিল আরো শক্তিশালী হওয়ায় ক্যারিবিয়ানের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা শনিবার (২৯ জুন) থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

হারিকেন বেরিল-এর বিষয়ে আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, এটি দ্রুত একটি বড় ঝড়ে পরিণত হবে।

ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানিয়েছে, বেরিল বর্তমানে বার্বাডোসের প্রায় ৭২০ মাইল পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থান করছে।
রবিবার থেকে সোমবার দিনের শেষে উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছানোর সময় এটি একটি বড়ো ধরনের বিপজ্জনক হারিকেনে রূপ নেবে।

এনএইচসি তার সর্বশেষ সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, হারিকেনটির তান্ডব সহ্য করতে হবে বার্বাডোসকে। এছাড়াও সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস এবং গ্রেনাডা-সব জায়গায় হারিকেনটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

এদিকে, ভয়াবহ ঝড় আঘাত হানার আশঙ্কায় বার্বাডিয়ান রাজধানী ব্রিজটাউনের গাড়িগুলোকে গ্যাস স্টেশনগুলোতে লাইন দিতে দেখা গেছে।

এ ছাড়া সুপার মার্কেট এবং মুদির দোকানে খাবার, পানি ও অন্যান্য সামগ্রীর জন্যে ভিড় করছেন ক্রেতারা।

ধারনা করা হচ্ছে এটি ক্যাটাগরি-৩ হারিকেনে রূপ নেবে এবং ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১১১ মাইল।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আটলান্টিক হারিকেন মৌসুমের শুরুতেই এই ধরনের শক্তিশালী ঝড় তৈরি হওয়া অত্যন্ত ব্যতিক্রম। আটলান্টিক হারিকেন মৌসুম জুনের শুরু থেকে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত চলে।

তবে ইউএস ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) মে মাসের শেষের দিকে বলেছিল, এই বছরটি একটি ব্যতিক্রমী হারিকেনের মৌসুম হতে পারে, যার মধ্যে সাতটি ক্যাটাগরি-৩ বা তার বেশি শক্তিশালী ঝড় হবে।

সংস্থাটি অসময়ের এই হারিকেনের জন্য প্রশান্ত মহাসাগরের লা নিনা প্রভাবের কথা উল্লেখ করেছে।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হারিকেনসহ চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলো ঘন ঘন ঘটছে এবং এসব আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠছে।

মিয়ানমারের কোচিন প্রদেশে বন্যায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, মিয়ানমারের কোচিন প্রদেশে প্রবল বন্যায় হাজার হাজার মানুষ পান্দিবন্দি রয়েছেন

ছবি: সংগৃহীত, মিয়ানমারের কোচিন প্রদেশে প্রবল বন্যায় হাজার হাজার মানুষ পান্দিবন্দি রয়েছেন

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের উত্তরের প্রদেশ কোচিনে প্রবল বন্যায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছেন। বন্যার পানি কোথাও কোথাও মানুষের গলা সমান হওয়ায় উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার করতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

কোথাও কোথাও কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই এবং সেইসঙ্গে টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) গালফ টুডে এ খবর জানিয়ে বলেছে, অনেক মানুষ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িঘরে গিয়েও নিরাপদ স্থানে যেতে পারছেন না। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বন্যার পানি দ্রুত হারে বাড়ছে।

এদিকে, মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানানো হয়, ইরাবতী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, বন্যার পানিতে কোথাও কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও কোথাও গলাসমান পানি অতিক্রম করে মাথায় বোঝা নিয়ে মানুষজন নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন।

এ বিষয়ে কোচিন প্রদেশের মিটকিনা এলাকার বাসিন্দারা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রোববার থেকে অনেক মানুষ তাদের ঘরবাড়িতে আটকা পড়েছেন। অনেক স্থানেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। সেইসঙ্গে টেলিফোন নেটওয়ার্কও নেই। ফলে তারা অন্যান্যদের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছেন না। তারা আরো জানিয়েছেন, শহরে জ্বালানির ঘাটতি হয়েছে। এছাড়া মোটর বোটে করে কোথাও যেতে পারছেন না।

মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্যার পানি আরো কিছুটা বেড়েছে। জুলাইয়ের প্রথম ১০ দিনের ভেতর কোচিন প্রদেশের মান্দালয়ের নদী ইরাবতীর পানি ৬ ফুট থেকে ১০ ফুট (১.৮ মিটার থেকে ৩ মিটার) পর্যন্ত বাড়তে পারে। গত অক্টোবর থেকে কোচিন শহরে ভারী বৃষ্টি, একের পর এক ভূমিধসের ঘটনা ঘটে চলেছে।

;

ভারতে নিষিদ্ধ হলো ৬৬ লাখ হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভারতে রয়েছেন ৫৫ কোটিরও বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী

ভারতে রয়েছেন ৫৫ কোটিরও বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতীয় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশটির ৬৬ লাখ ২০ হাজার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে মেটার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান হোয়াটসঅ্যাপ। এদের মধ্যে কোনো রিপোর্ট ছাড়াই প্রায় ১২ লাখ ৫৫ হাজার অ্যাকাউন্ট সক্রিয়ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

চলতি বছরের শুধু মে মাসেই এসব অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।

সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইন মেনে এই প্ল্যাটফর্মের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড এবং ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ভারত হলো হোয়াটসঅ্যাপের সবচেয়ে বড় বাজার। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে ৫৫ কোটির বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী রয়েছেন। ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী প্রতি মাসে সামাজিক মাধ্যমকে একটি মাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হয়।

হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, তাদের মূল লক্ষ্য ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে ক্ষতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত বার্তা আদান-প্রদান কমানো। এই লক্ষ্যে তারা তাদের কাজ চালিয়ে যাবে বলেও জানিয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।

এর আগেও বিভিন্ন অভিযোগে লাখ লাখ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। তার মধ্যে গত জানুয়ারি মাসে ৬৭ লাখ ২৮ হাজার, ফেব্রুয়ারি মাসে ৭৬ লাখ ২৮ হাজার, মার্চ মাসে ৮০ লাখ এবং এপ্রিল মাসে ৭১ লাখের বেশি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

;

এরদোয়ানের মন্ত্রিসভায় রদবদল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
এরদোয়ানের মন্ত্রিসভা

এরদোয়ানের মন্ত্রিসভা

  • Font increase
  • Font Decrease

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে এরদোয়ান দুজন মন্ত্রী নিয়োগের পর এই রদবদল ঘোষণা করা হয়। 

সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান মঙ্গলবার বিকেলের দিকে হতে পারে। একই সময়ে একটি মন্ত্রিসভার বৈঠকও অনুষ্ঠিত হবে।

তুর্কি সরকারি গেজেট অনুসারে, মুরাত কুরুমকে পরিবেশ, নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি মেহমেত ওজাসেকির স্থলাভিষিক্ত হবেন। মেহমেত সম্প্রতি স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে এই পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে অধ্যাপক কামাল মেমিওলুকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি ইস্তাম্বুল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান হিসেবে এতদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।

মেহমেতের পদত্যাগের ঘোষণার পরপরই মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘোষণা করা হয়। অবশ্য মেহমেতের আগে পরিবেশ, নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুরাত কুরুম। তিনি ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি সাম্প্রতিক পৌরসভা নির্বাচনে ইস্তাম্বুলের মেয়র পদে ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির প্রার্থীও ছিলেন।

;

ট্রাম্পের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের রায়, বাইডেনের সতর্কবার্তা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ট্রাম্প মহাখুশি, অসন্তোষ বাইডেনের

ট্রাম্প মহাখুশি, অসন্তোষ বাইডেনের

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে নেওয়া কিছু পদক্ষেপের জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে রেহাই পাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১ জুলাই) মার্কিন সুপ্রিমকোর্ট এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম সাবেক কোনো প্রেসিডেন্টকে অপরাধের অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেওয়ার প্রশ্নে সিদ্ধান্ত দিলেন সুপ্রিমকোর্ট।

আদালতের রায়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মহাখুশি হলেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সুপ্রিমকোর্টের ৯ সদস্যের বেঞ্চের ৬ জনই ট্রাম্পের দায়মুক্তির পক্ষে ছিলেন; বিপক্ষে ছিলেন তিনজন। পরে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। সেই অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংবিধানের অধীন ট্রাম্প যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, সেগুলোয় দায়মুক্তি পাবেন। তবে ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের জন্য দায়মুক্তি পাবেন না তিনি।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গত নির্বাচনের ফল পাল্টে দেয়ার চেষ্টার পাশাপাশি কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গা, পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ রাখার জন্য ঘুষ দেয়া, কর ফাঁকি এবং রাষ্ট্রের গোপন নথি সরানোর অভিযোগে কয়েকটি মামলা চলছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে তাকে হারিয়ে জয় পান জো বাইডেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা একটি মামলায় সরকারি কৌঁসুলিরা অভিযোগ এনেছেন, ওই নির্বাচনের ফল বদলাতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প। পরে ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে হামলার পেছনেও উসকানি দিয়েছিলেন তিনি।

সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২০ সালের নির্বাচনে কারচুপির ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিচার বিভাগকে যে নির্দেশ ট্রাম্প দিয়েছিলেন, তা প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দাপ্তরিক কাজের মধ্যে পড়ে। এছাড়া জো বাইডেনের জয়কে স্বীকৃতি না দিতে তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাও তার সাংবিধানিক ক্ষমতার আওতায় ছিল। পরে ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলের দিকে যাত্রা করতে সমর্থকদের দেওয়া ট্রাম্পের নির্দেশও এখতিয়ারের মধ্যে ছিল তার।

এর আগে, ৬ জানুয়ারির ঘটনা থেকে সুরক্ষা পেতে নিম্ন আদালতে আবেদন করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ওই আবেদন খারিজ হয়। সোমবার সুপ্রিমকোর্টের সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে নিম্ন আদালতের সেই আদেশ বাতিল হয়ে গেল। একই সঙ্গে মামলাটি আরও পর্যালোচনার জন্য নিম্ন আদালতে পাঠানো হবে বলে সিদ্ধান্তে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস।

আদালতের এই রায়ের বাইডেনের প্রচারশিবিরের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, আদালতের এ সিদ্ধান্তের ফলে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যা ঘটেছিল, তা বদলে যাবে না।

বাইডেন এ প্রসঙ্গে সতর্ক করে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করেছে, যা মার্কিন প্রেসিডেন্টদের রাজায় পরিণত করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘আদালতের এই রায়ের অর্থ হলো ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফলকে পাল্টে দেয়ার চেষ্টায় ট্রাম্পের যে ভূমিকা তার জন্য ৫ নভেম্বরের আগে তার বিচারকাজ হবে না। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা রাজায় পরিণত হতে পারেন। তবে আমেরিকায় কোনো রাজা থাকবে না, এই নীতিতে আমাদের দেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আমরা প্রত্যেকেই আইনের চোখে সমান, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নই। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও নয়। কিন্তু আজকে আদালত যা করেছে তা একটি বিপজ্জনক নজির। কারণ এমন সিদ্ধান্তে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা আর আইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।’

আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প। সর্বোচ্চ আদালতের এ সিদ্ধান্তের ফলে এটা স্পষ্ট যে নভেম্বরের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও ক্যাপিটলে হামলাসংক্রান্ত মামলার তেমন অগ্রগতি হবে না। আর তিনি যদি আবার ক্ষমতায় আসেন, তাহলে এ মামলায় বিচার বন্ধের চেষ্টা করতে পারেন, এমনকি নিজেকে ক্ষমা করেও দিতে পারেন।

সুপ্রিমকোর্টের সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, আমাদের গণতন্ত্র ও সংবিধানের জন্য এটা একটা বড় জয়। একজন আমেরিকান হিসেবে আমি গর্বিত। 

;