৩ দেশের ৪ জাহাজে হুতিদের হামলা
ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের চারটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী ইরানপন্থি হুতিরা। লোহিত সাগর, আরর সাগর, ভূমধ্যসাগর ও ভারত মহাসাগরে এসব হামলা সংগঠিত হয়েছে বলে দাবি করেছে হুতি।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সামরিক বিভাগের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, প্রথম অভিযান চালানো হয়েছে আরব সাগরে। সেখানে ইসরায়েলি জাহাজ এমএসসি ইউনিফিককে টার্গেট করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে জাহাজে হামলা করা হয় এবং ক্ষেপণাস্ত্রটি সরাসরি জাহাজে আঘাত হেনেছে।
তিনি জানান, দ্বিতীয় অভিযানে লোহিত সাগরে মার্কিন তেলবাহী ট্যাংকার ডেলোনিক্সকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো জাহাজটিতে হামলা হলো।
তৃতীয় ও চতুর্থ হামলা হয়েছে ভারত মহাসাগর ও ভূমধ্যসাগরে। তৃতীয় হামলাটি যুক্তরাজ্যের জাহাজ অ্যানভিল পয়েন্টে হয়েছে। আর চতুর্থ হামলাটি লাকি সেইলর নামে একটি জাহাজে করা হয়েছে বলে জানান হুতিদের সামরিক বিভাগের মুখপাত্র।
তবে হুতিরা চারটি জাহাজে হামলা চালানোর দাবি করলেও স্বাধীনভাবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতি সমর্থনের অংশ হিসেবে গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর, বাব আল-মান্দাব প্রণালি এবং এডেন উপসাগরে ইসরায়েল ও পশ্চিমাদের জাহাজে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে আসছে হুতিরা। হুতিদের দাবি, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধ হলেই এসব জাহাজে আক্রমণ বন্ধ করবে তারা। হুতিদের হামলার ভয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথ এড়িয়ে এখন ভিন্ন পথে গন্তব্যে যাচ্ছে জাহাজগুলো। এর ফলে এসব জাহাজ কোম্পানির পরিবহন ব্যয় বাড়ছে।
অন্যদিকে, হুতিদের দমাতে কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে লোহিত সাগরে একটি নৌ-টহল দল গঠন করে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ইয়েমেনের ভেতরে ইরানপন্থী এই গোষ্ঠীটির বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা পর্যন্ত চালিয়েছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। তবে এতকিছু করেও এখন পর্যন্ত ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের থামাতে পারেনি পশ্চিমারা।