অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ছাদে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ, মুসলিম সিনেটরের পদত্যাগ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ায় ফিলিস্তিনপন্থীদের আন্দোলনের রেশ যেন বেড়েই চলছে। এবার দেশটির রাজধানী ক্যানবেরায়অবস্থিত সংসদ ভবনের ছাদে উঠে পড়েন ফিলিস্তিনের পক্ষ নেওয়া বিক্ষোভকারীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন ছাদে ব্যানার টাঙিয়ে দেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কালো পোশাকে চার বিক্ষোভকারী প্রায় ১ ঘণ্টা সংসদ ভবনের ছাদে অবস্থান নেন। পরে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর চেষ্টায় তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের ঝুলানো ব্যানারগুলোর একটিতে লেখা ছিল, ‘নদী থেকে সমুদ্র, ফিলিস্তিন থাকবে মুক্ত।’ খবর আল জাজিরা।

ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে ভোট দেওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সিনেটর ফাতিমা পেম্যান দেশটির ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনার রেশ ধরেই বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনের ছাদে অবস্থান নেন।

বিক্ষোভকারীদের একজন ছাদ থেকে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় ইসরায়েল সরকার গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধ করছে। অস্ট্রেলিয়া সরকার সমর্থনের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে সামিল হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগ করেন সিনেটর ফাতিমা পেম্যান।

এদিকে বিবিসির এক খবরে জানানো হয়, অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি থেকে সিনেটর ফাতিমা পেম্যান পদত্যাগ করেছেন। এর আগে সোমবার দলটি তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরখাস্ত করে। ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে সিনেটে উত্থাপিত একটি প্রস্তাবে নিজ দলের বিপক্ষে গিয়ে ভোট দেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

২৯ বছর বয়সী এই মুসলিম আইনপ্রণেতা আফগানিস্তান থেকে ১৯৯৬ সালে পরিবারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। তিনিই অস্ট্রেলিয়ার প্রথম এবং একমাত্র হিজাব পরা ফেডারেল রাজনীতিবিদ।

বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করার ঘোষণা দেওয়ার ফাতিমা পেম্যান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ফিলিস্তিনের ইস্যুটির সঙ্গে আমি আপস করতে পারিনা। আমি অন্য সহকর্মীদের থেকে ভিন্ন। আমি জানি অন্যায়ের মুখোমুখি হতে কেমন লাগে। যখন নিরপরাধ মানুষের ওপর নৃশংসতা চালাতে দেখি তখন চুপ থাকতে পারিনা।’
মিসেস পেম্যান আরও বলেন, নিজ দলের বিপক্ষে গিয়ে ভোট দেওয়ার পর অনেক সহকর্মী আমাকে সমর্থন করেছে, আবার অনেকে চাপ প্রয়োগও করেছে। এরপর থেকে মেইলে কিছু হত্যার হুমকিও পেয়েছি।’

অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজ তাকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ফাতিমা পেম্যানকে পদত্যাগ করার জন্য ভয় দেখানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘মিসেস পেম্যান একজন স্বাধীন সিনেটর হিসেবে ককাসে যোগ দিতে পারবেন।’

গাজার সংঘাত নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় একটি অস্থির রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। দেশটির সরকারও এই বিষয়টিকে সতর্কতার সাথে মোকাবেলা করার চেষ্টা করছেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায়। ইসরায়েলের দাবি, এ সময় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়েছে। এ ছাড়াও প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় নারকীয় তাণ্ডব শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, এ হামলায় উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজারের মতো মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

পাপুয়া নিউ গিনির প্রভাবশালী মন্ত্রী অস্ট্রেলিয়ায় গ্রেফতার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
প্রভাবশালী মন্ত্রী জিমি মালাডিনা

প্রভাবশালী মন্ত্রী জিমি মালাডিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির সমুদ্র সৈকতে এক নারীকে মারধর করে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে পাপুয়া নিউ গিনির প্রভাবশালী মন্ত্রী জিমি মালাডিনাকে গ্রেফতার করেছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার (৬ জুলাই) সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

রোববার (৭ জুলাই) বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিডনির বিখ্যাত বন্ডি বিচের কাছে ‘ঘরোয়া বিরোধের’ পরে পাপুয়া নিউ গিনির প্রভাবশালী পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ রোববার জানিয়েছে।

গ্রেফতারকৃত জিমি মালাডিনা পাপুয়া নিউ গিনির পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী এবং একইসঙ্গে দেশটির লাভজনক প্রাকৃতিক গ্যাস প্রকল্প নিয়ে চলমান আন্তর্জাতিক আলোচনার একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। 

পুলিশ বলেছে, মারধরের ঘটনার পর তাদের বন্ডির কাছে একটি ঠিকানায় ডাকা হয়। পরে তারা সেখানে ‘মুখের আঘাতসহ ৩১ বছর বয়সী এক নারীকে’ খুঁজে পায়। অভিযোগ করা হয়েছে, মন্ত্রী মালাডিনার সাথে ওই নারীর ‘বিবাদ’ হয়েছিল।

মালাডিনাকে আগামী বৃহস্পতিবার সিডনির একটি আদালতে হাজির করার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে আদালতের নথিতে দেখা গেছে এবং তার বিরুদ্ধে ‘প্রকৃত শারীরিক ক্ষতির জন্য হামলার’ অভিযোগ আনা হয়েছে।

৫৮ বছর বয়সী এই মন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি ‘সততা এবং স্বচ্ছতার সাথে এই পরিস্থিতি পরিচালনা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।

উল্লেখ্য, পাপুয়া নিউ গিনির প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল ভান্ডার এবং অব্যবহৃত মজুদ মূল্যবান খনিজ পদার্থপূর্ণ স্থানের সন্ধানে যুক্ত বিদেশি সংস্থাগুলোর কাছে বর্তমানে যথেষ্ট আগ্রহের বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

;

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মদিনের পার্টিতে বন্দুক হামলা, নিহত ৪



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
২১ তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গোলাগুলি

২১ তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গোলাগুলি

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকিতে একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে চারজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। শনিবার (৬ জুলাই) এ ঘটনা ঘটে। 

সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্লোরেন্স পুলিশ বিভাগ বলছে, চারজনকে ঘটনাস্থলেই মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া আহত অন্য তিনজনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও স্থিতিশীল রয়েছে। 

পুলিশ প্রধান জেফ ম্যালেরি এক প্রেস কনফারেন্সে বলেন, বন্দুক হামলার খবর পেয়ে শনিবার রাত ৩টার দিকে ওই বাড়িতে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরই তারা গোলাগুলির শব্দ শুনতে পায়। ঘটনার সময় সেখানে অনেকে জন্মদিনের পুল পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন।

এদিকে পুলিশের গাড়ি ওই বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই সন্দেহভাজন হামলাকারী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ তার পিছু নিলে ওই ব্যক্তি রাস্তা থেকে খাদে পড়ে যায়। এরপর পুলিশ তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। 

কর্মকর্তারা বলেছেন, সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি একাই হামলায় জড়িত ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে এবং ওই এলাকা নিরাপদে রয়েছে। 

;

ভারতে ভবন ধসে নিহত ৭, রাতভর অভিযান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভবটির ৩০টি অ্যাপার্টমেন্টের মধ্যে পাঁচটিতে বাসিন্দারা ছিল

ভবটির ৩০টি অ্যাপার্টমেন্টের মধ্যে পাঁচটিতে বাসিন্দারা ছিল

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের গুজরাট প্রদেশের সুরাত এলাকার  শচীন পালি গ্রামে অবস্থিত একটি ছয়তলা ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছেন। মরদেহ উদ্ধারে রাতভর অভিযান চালিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভবনটি ধসে পড়ার পরই রাতভর অভিযান চালানো হয়। পরে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে রোববার (৭ জুলাই) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ওই আবাসিক ভবটির ৩০টি অ্যাপার্টমেন্টের মধ্যে পাঁচটিতে বাসিন্দারা ছিল।

অগ্নিনির্বাপক প্রধান বাসান্ত পেরেক বলেন, রাতভর অভিযান চালিয়ে স্থানীয় সময় সকাল ৬টার দিকে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি জানান, উদ্ধার অভিযান এখনো চলমান। তবে উদ্ধারকর্মীদের ধারণা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আর কেউ নেই।  

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে এক নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে এটিকে ভেঙে ফেলা হয়।

২০১৭ সালে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। এটি ধসে পড়ার সময় সেখানে পাঁচটি পরিবার ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ভবনটি ধসে পড়ার সময় অনেকে বাইরে কাজে ছিলেন। তবে যারা মারা গেছেন, তারা ভবনটির ভেতরে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন।

;

মৌরিতানিয়ায় নৌকাডুবি, ৮৯ মরদেহ উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নৌকায় ৭০ জন যাত্রী ছিলেন

নৌকায় ৭০ জন যাত্রী ছিলেন

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার মৌরিতানিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৮৯টি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মৎস্যজীবীদের দাবি, মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে।

সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাধারণভাবে প্রতি বছর গ্রীষ্মে আফ্রিকা ছেড়ে বহু মানুষ সমুদ্রপথে ইউরোপে পাড়ি দেন। উন্নত জীবনযাত্রার আকর্ষণ ও রাজনৈতিক অস্থিরতা এড়াতেই এই যাত্রা। ডুবে যাওয়া নৌকার যাত্রীরাও ইউরোপের উদ্দেশেই পাড়ি দিয়েছিলেন। ১৭০ জন যাত্রী ছিল ওই নৌকায়। উপকূলরক্ষী বাহিনী ৮৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে।

সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাঁচ বছরের এক শিশুসহ ৯ জনকে উদ্ধার করা গেছে। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মৌরিতানিয়া প্রশাসন কোনও মন্তব্য করেনি।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর এনডিয়াগোর মৎস্যজীবী সংগঠনের সভাপতি ইয়ালি ফল অবশ্য জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা ১০৫ জন। অনেককেই কবর দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তিন দিন ধরে অনেক মরদেহ আমরা কবর দিয়েছি।

চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে নৌকাডুবির জেরে পাঁচ হাজারেরও বেশি অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে।’

;