দুর্নীতির অভিযোগে ইন্দোনেশিয়ার সাবেক মন্ত্রীর ১০ বছরের কারাদণ্ড
ইন্দোনেশিয়ার সাবেক কৃষিমন্ত্রী শাহরুল ইয়াসিন লিম্পোকে দুর্নীতির জন্য ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির দুর্নীতি দমন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৩০ কোটি রুপিয়াহ (সাড়ে ১৮ হাজার ডলার) জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও চার মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের চুক্তিতে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দেশটির দুর্নীতি দমন আদালত তাকে এই কারাদণ্ড দিয়েছেন। খবর এপি।
এই মামলা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এছাড়াও উইদোদোর মন্ত্রিসভার আরও পাঁচ সদস্যকে দুর্নীতির মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অক্টোবরে তার সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সরকারকে শুদ্ধ করার প্রচেষ্টার উপর ছেদ ফেলেছে।
মন্ত্রিপরিষদের সাবেক সদস্য সাহরুল ইয়াসিন লিম্পো নিজে এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করে ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছে রাজধানী জাকার্তার আদালত।
বিচারক রিয়ান্তো অ্যাডাম পন্টোহ বলেন, 'আসামি আইনত ও নিশ্চিতভাবে দুর্নীতির দায়ে দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি ভালো উদাহরণ ছিলেন না। তিনি যা করেছেন তা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারের প্রচেষ্টার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন।’
গত অক্টোবরে লিম্পোকে গ্রেফতার করে দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশন (কেপিকে)। তিনি তার অপরাধের কথা অস্বীকার করেছেন।
ইন্দোনেশিয়ায় দুর্নীতি মহামারি আকার ধারণ করেছে। প্রায় ২৭ কোটি মানুষের দেশে কয়েকটি কার্যকর প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম দুর্নীতি নির্মূল কমিশন। এটি প্রায়ই দেশটির আইন প্রণেতাদের আক্রমণের শিকার হচ্ছে। এজন্য তারা কমিশনটির ক্ষমতা কমাতে চায়।
২০০৩ সালের শেষের দিকে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে কেপিকে স্থানীয় সদস্যদের মধ্যে প্রায় ২৫০ জন, ১৩৩ জন রিজেন্ট ও মেয়র, ১৮ জন গভর্নর, জাতীয় সংসদের ৮৩ জন সদস্য এবং ১২ জন মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে।