জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় ক্যাপ্টেনসহ ৪ জওয়ান নিহত
আবারও অশান্ত হয়ে উঠেছে ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর। সোমবার (১৫ জুলাই) রাতে জম্মু-কাশ্মীরের ডোডায় জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর। এ সময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে ছিল জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশও।
এ সময় দুই পক্ষের লড়াইয়ে অনন্ত চার জন জওয়ান এবং এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। তাদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ভোরে মৃত্যু হয় এই জওয়ানদের।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) যৌথভাবে সোমবার সন্ধ্যায় ডোডা জেলার দেশা জঙ্গল এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়েই এই অভিযান চালানো হয়। ওই এলাকায় জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর ছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তল্লাশি অভিযানের সময় অতর্কিতে সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেন জওয়ানেরাও। শুরু হয় দুই পক্ষের গুলির লড়াই। ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলে এই লড়াই।
সেই সময়ই জঙ্গিদের গুলিতে চার জওয়ান আহত হন। তাদের মধ্যে একজন ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার ছিলেন বলে জানা গেছে।
ওই জঙ্গল এলাকায় চার-পাঁচ জন জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর ছিল। তাদের সন্ধানে মঙ্গলবারও (১৬ জুলাই) তল্লাশি অভিযান চলছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জম্মু-কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেই কারণে জম্মু-কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
কাঠুয়া, কুলগামসহ একাধিক এলাকায় চলতি মাসেই সেনাবাহিনীর উপর হয়েছে জঙ্গি হামলা। কখনো সেনা কনভয়ে, কখনও আবার সেনাবাহিনীগাড়ি লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে হামলা।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন বছরে জম্মুতে জঙ্গি হামলায় এই নিয়ে ৪৭ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। কাশ্মীর উপত্যকার তুলনায় হামলার সংখ্যা কম হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি।
মোদি সরকার ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ করেছিল। সাবেক জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে ভাগ করা হয়।
তারপরেই কাশ্মীরের পাশাপাশি জম্মুতেও ধারাবাহিকভাবে পাকিস্তানের জঙ্গিদের হামলার সূচনা হয়।