পাপুয়া নিউ গিনির তিন গ্রামে হামলা, ১৬ শিশুসহ নিহত ২৬

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ওশেনিয়া মহাদেশের দ্বীপ রাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনির তিনটি গ্রামে হিংস্রাত্মক হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬ জনই শিশু।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

আঙ্গোরাম থানার কমান্ডার ইন্সপেক্টর পিটার মান্ডি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, পূর্ব সেপিকের আঙ্গোরাম জেলার তামারা, তাম্বারি এবং আংরুমারার সেপিক নদী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এতে ভয়ে অনেক মানুষ তাদের নিজ বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। অনেকেই এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, হত্যার আগে অনেক নারী ও মেয়েদেরকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ৩০ সদস্যের যুবকদের একটি গ্যাংয় দ্বারা এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি পরিচালিত হয়। এই গ্যাংয়ের সদস্যেরা নিজেদেরকে "আমি পাত্তা দিই না" বলে পরিচয় দিয়ে থাকে।

বিজ্ঞাপন

গত বুধবার (১৭ জুলাই) বন্দুক, ছুরি এবং তারের ক্যাটাপল্ট নিয়ে গ্যাংটি আংরুমারা গ্রামে আক্রমণ করে। এসময় ওই গ্রামের বেশকিছু বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয় এবং একজন বৃদ্ধসহ ৫ বছরের এক শিশুকে হত্যা করে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। 

পর দিন তারা তাম্বারি গ্রামে আক্রমণ করে অনেক নারী ও যুবতী মেয়েদের ধর্ষণ করার পর ছুরি দিয়ে তাদের পেট কেটে দেয়। শুধু তাই নয় ছুরি দিয়ে ছোট বাচ্চাদেরও পেট কেটে দেওয়া হয়। এই হামলায় আংরুমারায় তিনজন এবং তাম্বরীতে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৬ জন শিশু- কথাগুলো বলছিলেন আঙ্গোরাম থানার কমান্ডার ইন্সপেক্টর পিটার মান্ডি।

তবে তৃতীয় গ্রামে তারা কবে আক্রমণ করেছিল তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

বুধবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, ‘আমি পাপুয়া নিউ গিনিতে মারাত্মক সহিংসতার ঘটনায় আতঙ্কিত, আপাতদৃষ্টিতে জমি এবং হ্রদের মালিকানা এবং ব্যবহারকারীর অধিকার নিয়ে বিরোধের ফলে এই সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে।’

পিএনজি কর্তৃপক্ষ নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজে সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে এবং মৃতের সংখ্যা ৫০ জনেরও বেশি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তুর্ক। এছাড়া গত ১৬ এবং ১৮ জুলাই ইস্ট সেপিক প্রদেশে যে হামলা হয়েছে, তাতে অগ্নিসংযোগের পরে ২০০ জনেরও বেশি লোককে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছিল।