রাহুলের বিরুদ্ধে ফের মানহানির মামলা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরে এবার দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মানহানির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
এই মামলায় শুক্রবার (২৬ জুলাই) উত্তর প্রদেশের সুলতানপুর আদালতে হাজিরা দেবেন লোকসভার এই বিরোধী দলীয় নেতা।
রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৮ সালে কর্নাটকে বিধানসভা ভোটের প্রচারণায় অমিত শাহকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তিনি।
উত্তর প্রদেশের বিজেপি নেতা বিজয় মিশ্র রাহুলের বিরুদ্ধে সুলতানপুর আদালতে ওই অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আদালত রাহুলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে তাকে ব্যক্তিগত হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু, রায়বরেলীর কংগ্রেস সাংসদ তা পালন না করায় ২৬ জুলাই হাজিরার শেষ সময় দিয়েছে সুলতানপুর আদালত।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারের সময়ও কর্নাটকে বিজেপির পক্ষ থেকে রাহুলের বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারণার সময় কর্নাটকের কোলারে ‘মোদি’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত বছরের ২৩ মার্চ গুজরাটের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন রাহুলকে।
গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী তথা বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদির দায়ের করা ওই ‘অপরাধমূলক মানহানি’ মামলায় দোষী রাহুলের লোকসভার সাংসদ পদও বাতিল করা হয়েছিল।
এর পর গুজরাট হাইকোর্ট সাজা বহাল রাখলেও গত বছরের ৪ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আরএস গাভাই এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের বেঞ্চ সুরাত আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়।
ফলে, জেলযাত্রা থেকে রেহাইয়ের পাশাপাশি সাংসদ পদও ফিরে পান রাহুল।