অজান্তেই পেটে যাচ্ছে প্লাস্টিক



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease
প্লাস্টিকের ছোট ছোট অংশ প্রতিদিন আমাদের পেটে ঢুকছে৷ জানতেও পারছি না আমরা৷ গায়ে মাখার ক্রিম থেকে খাবার, প্লাস্টিক সর্বত্র৷ ৫ মিলিমিটারের চেয়েও ছোট প্লাস্টিকের অংশকে বলা হয় মাইক্রোপ্লাস্টিক৷ ছোট ছোট এই প্লাস্টিকের অংশ গিয়ে মিশছে সমুদ্রে৷ ঢুকে পড়ছে আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য সামগ্রীতে৷ শুধু তাই নয়, বাতাসেও ছড়িয়ে রয়েছে মাইক্রোপ্লাস্টিক৷ টুথপেস্ট থেকে ক্রিম, মাছ থেকে জল সর্বত্র মাইক্রোপ্লাস্টিক৷ বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, কোনো কোনো কসমেটিকে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়৷ কখনো কখনো যার পরিমাণ প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের সমপরিমাণ বা তার চেয়েও বেশি৷ কিন্তু আপাত চোখে কসমেটিকে প্লাস্টিক দেখা যায় না৷ তা লুকিয়ে থাকে ক্রিম বা টুথপেস্টের মধ্যে৷ ব্যবহার করলে কিছু অংশ ঢুকে যায় দেহের ভিতর৷ বাকি অংশ চলে যায় ড্রেনে৷ড্রেনের জলে মিশে যাওয়া প্লাস্টিক পৌঁছে যায় সমুদ্রে৷ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সমুদ্রে গিয়ে মেশা প্লাস্টিক ঢুকে যায় জলজ উদ্ভিদে৷ মাছ সেই উদ্ভিদ খায়৷ ফলে তাদের শরীরেও পৌঁছে যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক৷ ২০১৭ সালের একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, ইন্দোনেশিয়া এবং ক্যালিফোর্নিয়ার বাজারের ২৫ শতাংশ মাছের শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিকের অংশ রয়েছে৷ এমনকি লবণেও রয়েছে প্লাস্টিক। ২০১৭ সালে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনে একটি যৌথ গবেষণা হয়েছিল৷ তার রিপোর্টে বলা হয়, শুধু মাছ নয়, সমুদ্র উপকূল থেকে সংগৃহীত নুনের মধ্যেও মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে৷ তার কারণও আছে৷ প্রতি বছর প্রায় ১২ মিলিয়ন প্লাস্টিক আবর্জনা সমুদ্রে গিয়ে মেশে৷ ফলে উপকূলবর্তী নুনেও তার অংশবিশেষ মিশে যায়৷ সম্প্রতি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন জানিয়েছে, মধুতে প্রচুর মাইক্রোপ্লাস্টিক আছে৷ এ কারণে মধু নিষিদ্ধ করারও একটি পরিকল্পনা হয়েছে৷ কিন্তু মধুতে কীভাবে মাইক্রোপ্লাস্টিক মিশছে, সে বিষয়ে এখনো পরীক্ষানিরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়নি৷ সুতি নয়, কিন্তু সিন্থেটিক জামায় প্রচুর মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে৷ কাপড় ধোয়ার সময় সেই প্লাস্টিক জামা থেকে বেরিয়ে ড্রেনের পানিতে গিয়ে মেশে৷ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ৬ কিলোগ্রাম সিন্থেটিক জামা কাচলে তার থেকে ৭ লক্ষ প্লাস্টিক ফাইবার নির্গত হয়৷ ড্রেনের জলের মাধ্যমে তা গিয়ে পৌঁছায় সমুদ্রে৷ বস্তুত, সমুদ্রের জলে প্লাস্টিকের মোট পরিমাণের এক তৃতীয়াংশই জামা কাপড়ের মাইক্রোপ্লাস্টিক৷ গাড়ির চাকা থেকেও প্রচুর মাইক্রোপ্লাস্টিক পরিবেশে গিয়ে মেশে৷ রবারের সঙ্গে সিন্থেটিক পলিমার মিশিয়ে তৈরি হয় গাড়ির টায়ার৷ রাস্তার সঙ্গে টায়ারের ঘর্ষণে সেই সিন্থেটিক পলিমার থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক রাস্তায় গিয়ে মেশে৷ কখনো বা বাতাসেও মিশে যায়৷ নরওয়ে এবং সুইডেনের বিভিন্ন পরীক্ষায় ধরা পড়েছে, সমুদ্র থেকে পাওয়া মাইক্রোপ্লাস্টিকের একটা বড় অংশ গাড়ির চাকার পলিমার৷ কলের পানিতেও মিশে থাকছে প্লাস্টিক৷ বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশ থেকে কলের জল সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, অন্তত ৮০ শতাংশ নমুনাতেই মাইক্রোপ্লাস্টিক আছে৷ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কলের পানিতেই প্লাস্টিক থাকলে যে কোনো খাবারেই তা সহজে মিশে যেতে পারে৷ কলের পানিতেই যদি প্লাস্টিক থাকে, বিয়ারেও যে থাকবে, তা তো স্বাভাবিক! ২০১৪ সালের একটি পরীক্ষা থেকে জানা গেছে, ২৪টি জার্মান বিয়ারে প্লাস্টিক মিশে আছে৷ যদিও জার্মানির পরিবেশ সংক্রান্ত দফতর জানিয়েছে, এ বিষয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন আছে৷
   

ফের সোমালি জলদস্যুদের আক্রমণ, কবলে 'এমভি ব্যাসিলিস্ক' জাহাজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত মহাসাগরে আবারও জাহাজ জিম্মি করেছে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। 'এমভি ব্যাসিলিস্ক' নামের ওই জাহাজটি লাইবেরিয়ার পতকাবাহী ছিল।

সোমালিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যম ডেইলি সোমালিয়া'র এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই জাহাজটি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম থেকে দুবাইয়ের জাবাল আল আলি বন্দরে যাচ্ছিল। তবে কেপ ভার্দের পোর্টো গ্রান্ডে যাত্রাবিরতি করে।

যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন (ইউকেএমটিও) জাহাজ ছিনতাই হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুর পূর্বে লোয়ার সাবেলে অঞ্চলের মার্কা জেলার ৪২০ নাটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পূর্বের উপকূলে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

দুটি ছোট জলযানে করে আসা কয়েকজন হামলাকারী জাহাজে উঠে পড়ে। এরপর তারা জাহাজের অপারেশন রুমের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। জাহাজের ১৭ জন ক্রু সদস্যকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পথে কয়লা নিয়ে যাওয়ার সময় সোমালিয়া উপকূল থেকে প্রায় ৬০০ নাটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। প্রায় ৩৩ দিন পর এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি এর ২৩ নাবিকসহ মুক্তি পায়।

;

স্পেনের দ্বীপ ম্যালোর্কায় রেস্তোরাঁর ছাদ ধসে নিহত ৪, আহত ২১



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্পেনের জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ ম্যালোর্কায় বৃহস্পতিবার (২৩ মে) একটি রেস্তোরাঁর ছাদ ধসে ৪ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় উদ্ধারকর্মীদের বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

দেশটির ইমারজেন্সি সার্ভিসের মুখপাত্র জানান, সেখানে দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত এবং অন্তত ২১ জন আহত হয়েছে। তিনি আরও জানান, হতাহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিক রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করা দেশটির ইমারজেন্সি সার্ভিসের এক বার্তায় বলা হয়েছে, আহতদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং ৯ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খবরে আরও বলা হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপের রাজধানী পালমা ডি ম্যালোর্কার দক্ষিণে পালমা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ইমারজেন্সি সার্ভিসের বার্তায় আরও বলা হয়, উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে ধ্বংসস্তুপের নিচে আরও আটকে থাকা লোকদের খুঁজে বের করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে ছাদ ধসের সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।

এক্স-এ পোস্ট করা বার্তায় স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেছেন, তিনি গুরুত্ব সহকারে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন।

তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষকে সহায়তায় কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনীয় সাহায্য পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছে।

স্পেনের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর এক কোটি ৪০ লাখেরও বেশি পর্যটক এই দ্বীপপুঞ্জ পরিদর্শন করেন।

এর আগে ২০০৯ সালে পালমা ডি ম্যালোর্কাতে একটি তিনতলা ভবন ধসে দুই জার্মান ও তিন কলম্বিয়ার নাগরিকসহ সাতজন নিহত হয়েছিল।

;

৪৫ হাজার রোহিঙ্গা রাখাইন ছেড়ে পালিয়েছেন: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে জানিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে প্রায় ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে গেছেন।

এছাড়া অনেকেই হত্যার শিকার হয়েছেন। অনেকের বাড়িঘর, সম্পদ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মে) জেনেভায় জাতিসংঘের সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মুখপাত্র এলিজাবেথ থ্রোসেল সাংবাদিকদের উদ্দেশে এ মন্তব্য করেন।

থ্রোসেল বলেন, সম্প্রতি বুথিডং ও মৌডং শহরে আরাকান আর্মি (এএ) এবং সেনাবাহিনীর লড়াইয়ে ১০ হাজার নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

এছাড়া অন্তত ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নাফ নদী এলাকায় পালিয়ে গেছেন।

২০২১ সালের নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি শেষে রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালাতে শুরু করে। এর ফলে তাদের মধ্যে ফের সংঘাত শুরু হয়।

এ বিষয়ে আরাকান আর্মি জানায়, রাখাইন রাজ্যে নৃগোষ্ঠী রাখাইনদের আরো স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে তারা যুদ্ধ করছে। এই রাজ্যে প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু মুসলিমদেরও বসবাস।

২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে সামরিক জান্তা হত্যাযজ্ঞ শুরু করার পর হাজার হাজার রোহিঙ্গা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। বিষয়টি এখন জাতিসংঘ গণহত্যা হিসেবে বিবেচনা করে।

সংবাদ সম্মেলনে এলিজাবেথ থ্রোসেল বলেন, এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে পালিয়ে গেছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান ভোলকার তুর্ক বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, বিশ্বের প্রতি সংহতি জানিয়ে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে তাদের যেন যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হয়।

থ্রোসেল সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, রাখাইনে স্পষ্টত এখন চরমমাত্রায় সহিংসতা বিরাজ করছে। তিনি এ সময় উল্লেখ করে বলেন, মংডৌ শহরে জান্তা বাহিনীর একটি আউটপোস্ট রয়েছে। সেখানে আরাকান আর্মি ও জান্তা বাহিনীর মধ্যে লড়াই চলছে। এ এলাকায় ব্যাপকসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাস।

এই অবস্থার প্রেক্ষিতে থ্রোসেল সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সেখানকার নাগরিকেরা এখন লড়াইয়ের ভুক্তভোগী। এতে তারা মারা যাচ্ছেন। তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস ও লুটপাট হচ্ছে অথচ তাদের নিরাপত্তার দিকটি উপেক্ষিত রয়েছে। তারা আবার তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাবার মুখোমুখি রয়েছেন। খবর- মালয়মেইল

;

রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘের নীতিমালা লঙ্ঘন করে ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের সঙ্গে জড়িত উত্তর কোরিয়ার কোম্পানি, জাহাজ এবং ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে পৃথক নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া।

প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং চীনের নেতারা সিউলে মিলিত হওয়ার কয়েকদিন আগে শুক্রবার (২৪ মে) এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসলো।

আল জাজিরা জানিয়েছে, সম্প্রতি পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে রাশিয়ায় হাজার হাজার কন্টেইনার যুদ্ধাস্ত্র পাঠানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন যে, পিয়ংইয়ংয়ের সাম্প্রতিক সময়ে যেসব অস্ত্রের পরীক্ষার চালিয়েছে, সেগুলোই ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য মস্কোতে পাঠানো হয়েছে।

জাপানের শীর্ষ সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিমাসা হায়াশি শুক্রবার বলেছেন, মস্কো-পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে কথিত চুক্তির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে টোকিও।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণকে সমর্থন করার জন্য রাশিয়া-উত্তর কোরিয়া সামরিক সহায়তার সঙ্গে জড়িত ১১টি গোষ্ঠী এবং এক ব্যক্তির সম্পদ জব্দ করতে যুক্তরাষ্ট্রের মতো মিত্রদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা নীতিমালার লঙ্ঘন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা নীতিমালা অনুযায়ী উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পিয়ংইয়য়ের অস্ত্র সম্পর্কিত চুক্তি এবং অস্ত্র স্থানান্তর স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ।’

এদিকে জাপানের আসাহি সংবাদপত্র জানিয়েছে, নয়টি গোষ্ঠী ও ব্যক্তি এবং সাইপ্রাসে অবস্থিত অন্য দুটি সংস্থা উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্র পরিবহনে সহায়তা করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত আগস্টে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট অনুরূপ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
তখন তারা বলেছিল, ইউক্রেনে ভারী অস্ত্র হারাচ্ছে রাশিয়া। তাই মস্কোর প্রতি পিয়ংইয়ংসহ তার কয়েকটি মিত্র সহায়তার হাত বাড়িয়েছে।

;