যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে মিশরের পথে ব্লিনকেন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে ইসরায়েল থেকে মিশরের পথে রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।

১৫ ও ১৬ আগস্ট কাতারের রাজধানী দোহায় দু’দিনব্যাপী গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের প্রতিনিধিদের আলোচনা শেষে বিস্তারিত জানাতে ইসরায়েল যান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজোগ ও প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করেন।

বিজ্ঞাপন

যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে তেল আবিব যান তিনি। সেখানে যে আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে আলোচনা এবং পরবর্তীতে করণীয় হিসেবে মিশরে যাচ্ছেন অ্যান্টনি ব্লিনকেন। সেখানে তিনি মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এরপর কাতারের রাজধানী দোহায় যাবেন। সেখানে গিয়ে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

এরপর এ সপ্তাহে মিশরে ফের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশরের প্রতিনিধিরা দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠকে বসবেন।

ইসরায়েল ত্যাগের আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, ইসরায়েলে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার অত্যন্ত গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে সেতুবন্ধনের বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। দোহায় দুদিনব্যাপী যুদ্ধবিরতি এবং হামাস ও ইসরায়েলের বন্দি বিনিময়ের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ইসরায়েল।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে হামাসের হামলার পর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হয়। তারপর থেকে নবমবারের মতো ইসরায়েল সফর করলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।

ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজোগের সঙ্গে আলোচনার আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে আরো যুদ্ধ বিস্তৃতি নিরসনহ গাজায় যুদ্ধ বন্ধে তিনি সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ব্লিনকেন বলেন, গাজায় ১০ মাস ধরে যুদ্ধ চলমান। উভয় পক্ষের (হামাস ও ইসরায়েল) মধ্যে যে শূন্যতা বিরাজ করছে, তা কমিয়ে আনতে ১৫ আগস্ট মার্কিন যুক্তের যুদ্ধবিরতির আলোচনার ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময়ের এটাই হয়ত শেষ সুযোগ! আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষে প্রস্তাবিত চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করে উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসার জন্য এখানে (তেল আবিব) এসেছি। এখন আর কোনো পক্ষের ‘না’ বলার সুযোগ নেই। এখনই সময় কিছু করার। এখন আলোচনা থেকে বিচ্যুতির আর কোনো সুযোগই নেই।

ব্লিনক্লেন বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যাতে আর যুদ্ধের বিস্তৃতি না ঘটে, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। এ আলোচনা থেকে আর সরে যাওয়ার কোনো কোনো পথ নেই।
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশের নেতারা ইরান এবং হেজবুল্লাহর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা এখন ইসরায়েলে প্রতিশোধমূলক হামলা না করে।

অপরদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং হামাস ও ইসরায়েলের হাতে বন্দি বিনিময়ের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতার মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।