ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে বন্যা হয়নি, দাবি ভারতের

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি:সংগৃহীত

ছবি:সংগৃহীত

ত্রিপুরার গোমতী নদীতে অবস্থিত ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তের জেলাগুলিতে বন্যার বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এই তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতির মাধ্যমে এই তথ্য জানায় তারা।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তবে ত্রিপুরার গোমতী নদীর উজানে ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে পূর্ব সীমান্তের জেলাগুলিতে যে বন্য হচ্ছে এটি সঠিক নয়।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর ক্যাচমেন্ট এলাকায় প্রচুর পরিমানের বৃষ্টি হওয়ার কারণে এই বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো উল্লেখ করে, ডম্বুর বাঁধটি বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে অবস্থিত। এই ১২০ কিলোমিটারের মধ্যে অমরপুর, সোনামুড়া ও সোনামুড়া-২ তে আমাদের তিনটি জলস্তর পর্যবেক্ষণ সাইট রয়েছে। আর এই বাঁধের উচ্চতা মাত্র ৩০ মিটার। যা অন্যান্য বাঁধের তুলনায় অনেক কম ‍উচ্চতা সম্পন্ন একটি। এই বাঁধ থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় সেখান থেকে বাংলাদেশও ৪০ মেগাওয়াট শক্তি ব্যবহার করে বলে জানিয়েছে দিল্লি।

এছাড়া অমরপুর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বন্যা নিয়ে তথ্য প্রেরণ করেছে বলেও জানিয়েছে তারা। একইসাথে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন নদীতে সৃষ্ট সমস্যার সমাধানের ও উভয় পক্ষের জনগণের দুর্ভোগের পরিমান কমাতে পারস্পরিক সহযোগিতা কামনা করেছে দিল্লি। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে পানি সম্পদ এবং নদীর পানি ব্যবস্থাপনার সমস্যা ও পারস্পরিক উদ্বেগ সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ২১/০৮/২০২৪ তারিখে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বাংলাদেশে সরবরাহকৃত তথ্যে ক্রমবর্ধমান প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টায়, বন্যার কারণে, বিদ্যুৎবিভ্রাট ঘটার ফলে যোগাযোগের সমস্যা দেখা দেয়। তবুও আমরা জরুরি ভিত্তিতে তথ্য পাঠানোর জন্য তৈরি অন্যান্য মাধ্যমে যোগাযোগ বজায় রাখার চেষ্টা করেছি।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন নদীতে বন্যা একটি যৌথ সমস্যা। যা উভয় পক্ষের জনগণের জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টি করে এবং এর সমাধানের জন্য ঘনিষ্ঠ পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। যেহেতু দুটি দেশের ৫৪টি অভিন্ন আন্তঃসীমান্ত নদী রয়েছে, তাই নদীর পানি-বিষয়ক সহযোগিতা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পৃক্ততার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা দ্বিপক্ষীয় পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত আলোচনার মাধ্যমে পানিসম্পদ ও নদীর পানি ব্যবস্থাপনার সমস্যা ও পারস্পরিক উদ্বেগগুলোর সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।