গাজায় পোলিও ভ্যাকসিনেশনে সন্তুষ্ট জাতিসংঘ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকার শিশুদের পোলিও ভ্যাকসিনেশনে সন্তোষ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এ সাফল্যের পর গাজা উপত্যকায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএএইচও) আহ্বানে রোববার থেকে মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর- ৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ৩ দিন মানবিক যুদ্ধবিরতি পালন করে ইসরায়েল।

বিজ্ঞাপন

এই মানবিক যুদ্ধবিরতিতে মোট ৬ লাখ ৪০ হাজার শিশুকে ১৩ লাখ পোলিও ডোজ খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ১ লাখ ৮৭ হাজার শিশুকে ভ্যাকসিন খাওয়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে। ১০ বছরের নিচে শিশুদের পোলিও ভ্যাকসিন খাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্যের বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করে।

বিজ্ঞাপন

খবরে বলা হয়, পোলিও ভ্যাকসিনেশনের প্রথম ধাপের সফলতার পর জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি ত্রাণ ও শরণার্থী সহায়তা সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, ৩ দিনের মানবিক যুদ্ধবিরতিতে ১ লাখ ৮৭ হাজার শিশুকে পোলিও ভ্যাকসিন খাওয়ানো হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে গাজা উপত্যকার বাকি অংশে পোলিও ভ্যাকসিন খাওয়ানো হবে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থার (গ্লোবাল রিলিফ এজেন্সি- জিআরএ) প্রধান ফিলিপ্পি লাজরানি বুধবার মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে পোলিও ভ্যাকসিনেশনের প্রথম ধাপের সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘দারুন অগ্রগতি! মধ্য গাজার অনেক শিশু পোলিও রোগের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন পেয়েছে’!

এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘পোলিও ভ্যাকসিনেশনের অবসরে গাজার মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পেরেছেন। তবে এবার জরুরিভাবে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি বিনিময় হওয়া দরকার’।

এছাড়া মানবিক ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা এবং ওষুধও সরবরাহের স্বাভাবিক গতি আসা দরকার বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সিওজিএটি সংস্থাটি জানায়, গাজায় ২ লাখ ৮২ হাজার ১শ ২৬ ডোজ পোলিও ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে। এ ভ্যাকসিন ২৮ লাখ ২১ হাজার ২শ ৬০ জনগোষ্ঠীর জন্য যথেষ্ট।

সংস্থাটি আরো জানায়, গাজা উপত্যকায় মোট ৫৫ লাখ ৪ হাজার ৫শ ১৬ পোলিও ভ্যাকসিন প্রবেশ করেছে। এটি ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৭শ ৩৬ জন জনসংখ্যার জন্য যথেষ্ট। এ ভ্যাকসিন বিভিন্ন রোগের জন্য দেওয়া হবে। গাজার মোট জনসংখ্যা ২৩ লাখ।