সংসদে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ: পাকিস্তানে ৫ কর্মকর্তা বরখাস্ত

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সংসদ এলাকায় নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে ৫ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির সংসদের স্পিকার।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিওনিউজ, দ্য নিউজ ও দ্য ডন এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করে।

বিজ্ঞাপন

খবরে বলা হয়, সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে পিটিআই-এর ১২ জন নেতাসহ বেশ কয়েকজনকে ইসলামাবাদের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। এর মধ্যে সংসদ এলাকা থেকেও কয়েকজন সংসদ সদস্য আটক করে নিয়ে যায়।

নিয়ম অনুযায়ী, সংসদ এলাকা থেকে সংসদ সদস্যদের আটক বা গ্রেফতার করার আগে সংসদের স্পিকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু সোমবার সংসদের ভেতরে অবস্থান করা এমন কী সংসদের এলাকার মসজিদ থেকেও কাউকে কাউকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

এর আগে সোমবার পিটিআই দলের নেতারা দলটির প্রধান ইমরান খানকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার আলটিমেটাম দেন। এরপরই আটক অভিযান শুরু করে পাকিস্তানের পুলিশ।

এদিকে, মঙ্গলবার সংসদে অধিবেশন চলাকালে পিটিআই দলের সংসদ সদস্য আলী মুহাম্মদ খান সংসদ এলাকা থেকে সংসদ সদস্যদের আটকের বিষয়ে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এ সময় সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি স্পিকারের উদ্দেশে বলেন, আপনার সহকর্মী সহিবজাদা (হামিদ রেজা), শাফকাত (আওয়ান), আমির দোগার, শেখ ওয়াকার (আকরাম) এবং মৌলানা নাসিম সোমবার রাতে সংসদে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখান থেকেও তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমন কী মৌলানা নাসিম মসজিদে থাকাবস্থাতেও পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে গেছে।

এর জবাবে স্পিকার আইয়াজ সাদিক সংসদ এলাকার যেসব গেট দিয়ে চলে যাওয়ার পথ আছে, সেগুলো গেটগুলোর ভিডিও ফুটেজ চান।

তিনি বলেন, যদি আমাদের কোনো সহকর্মীর ক্ষেত্রে এ ঘটনা ঘটানো হয়, তাহলে অবশ্যই এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

এরপর বুধবার স্পিকার সংসদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান মুহাম্মদ ইশফাক আশরাফসহ আরো ৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। তাদের বিরুদ্ধে সংসদ এলাকায় নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার কারণ দর্শানোর নোটিশও জারি করেন।

এছাড়াও সংসদ এলাকা থেকে কোনো সংসদ সদস্যকে আটক বা গ্রেফতারের আগে স্পিকারের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তার অনুমতি  না নিয়ে সংসদ এলাকা থেকে সংসদ সদস্যদের আটক করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে আইজিপি (ইনস্পেক্টর জেনারেল অব পুলিশ)-এর প্রতি সমন জারি করেন।

সেইসঙ্গে ইসলামাবাদের সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব পুলিশ (এসএসপি)-এর প্রতিও সমন জারি করা হয়।