নাসরুল্লাহর মৃত্যুর খবরে নিরাপদ স্থানে খামেনি

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি

লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কোনো এক গোপন স্থানে নিরাপদে রাখা হয়েছে তাকে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ইরানের একটি বিমান লেবানন বা সিরিয়ার উদ্দেশে উড়েছিল। কিন্তু তারা জানতে পারে লেবাননের বিমানবন্দর ইসরাইলি সেনারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এটা জানার পরই ইরাকের আকাশসীমা থেকে বিমানটি ইরানে ফিরে গেছে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। তারা দাবি করেছে, এই হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। এরপরই ইরানি সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার খবর জানা গেল।

বিজ্ঞাপন

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, হাসান নাসরাল্লাহ আর বিশ্বে সন্ত্রাস করতে সক্ষম হবেন না। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসান নাসরাল্লাহ ছাড়াও নিহত হয়েছেন হিজবুল্লাহর দক্ষিণ ফ্রন্টের কমান্ডার।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর সদর দফতর লক্ষ্য করে চালানো এ হামলায় সংগঠনটির প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর নিহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শুক্রবারের ব্যাপক বোমা হামলার পর নাসরুল্লাহর ভাগ্য সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ প্রধান বেঁচে আছেন এবং ভালো আছেন।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, অফিসিয়াল পেজে আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনি হিজবুল্লাহকে সমর্থন দিতে এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে আঞ্চলিক বাহিনীগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এতে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি হাসান নাসরাল্লাহর নাম মোটেও উল্লেখ করেননি। তবে ‘লেবাননের প্রতিরোধহীন জনতা’কে হত্যা করার জন্য প্রথমেই তিনি নিন্দা জানিয়েছেন।

বলেছেন, এতে ইসরায়েলের নেতাদের অদূরদর্শিতা ও মূর্খতার নীতি প্রমাণিত হয়েছে। ইসরায়েলের ক্রিমিনালদের অবশ্যই জানতে হবে যে, লেবাননে হিজবুল্লাহর শক্তঘাঁটিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করার জন্য তারা খুবই ছোট। হিজবুল্লাহকে আঞ্চলিক সব প্রতিরোধ বাহিনী সমর্থন করে এবং তাদের পাশে আছে। তিনি লেবাননের জনগণ এবং হিজবুল্লাহর পাশে দাঁড়াতে সব মুসলিমের প্রতি আহ্বান জানান। নিষ্পেষণকারী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাদেরকে সমর্থন দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।