যেকোনো মূল্যে লেবাননে যুদ্ধ এড়াতে হবে: জাতিসংঘ
লেবাননে সংঘাত কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আক্রমণের তীব্রতা আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ায়। গুতেরেস অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো মূল্যে লেবাননে সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়াতে হবে। একই সঙ্গে লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে বলেও জানিয়েছেন গুতেরেস।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
এদিকে লেবাননে স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।
মঙ্গলবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, স্থল পথে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রবেশের জন্য প্রথমে সীমান্তের কাছে থাকা হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়। এসময় দেশটির সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক বিমান ও কামান হামলা চালানো হয়। এ হামলাটি সীমিত এবং নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তু লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে তারা।
এর আগে অবশ্য ইসরায়েল লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে আক্রমণ করার জন্য "সব রকমের উপায়" ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায় শিগগিরই শুরু হবে। প্রয়োজনে স্থল, আকশ ও সমুদ্র পথে আক্রমণের জন্য সব রকমের উপায় ব্যবহার করা হবে।”
অন্যদিকে হিজবুল্লাহর উপপ্রধান নাঈম কাসেম বলেন, আমরা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করব। ইসরাইল স্থলপথে হানা দেয়ার চেষ্টা করলে প্রতিরোধ বাহিনী স্থল যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, সোমবার লেবাননে হামলায় অন্তত ৯৫ জন নিহত হয়েছেন।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দুই সপ্তাহে ১ হাজারের বেশি লেবানিজ নিহত হয়েছেন। ৬ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন। তবে এরমধ্যে কতজন বেসামরিক নাগরিক তা স্পষ্ট করা হয়নি।
সরকারের তথ্যানুসারে, প্রায় ১০ লাখ মানুষ যা দেশের মোট জনসংখ্যার পাঁচ ভাগের এক ভাগ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।