জরুরি চিকিৎসা দিতে গাজার ১ হাজার নারী-শিশুকে সরিয়ে নেবে ডব্লিউএইচও
গাজা থেকে শিগগিরই এক হাজার নারী ও শিশুকে চিকিৎসা সেবার প্রয়োজনে ইউরোপে সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ( ডব্লিউএইচও) ইউরোপ শাখার প্রধান হ্যান্স ক্লুজ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান।
সাক্ষাৎকারে হ্যান্স ক্লুজ বলেন, ইসরায়েলের আগ্রাসনে গাজার অনেক নারী ও শিশু চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ইসরায়েল চিকিৎসা সেবার জন্য আগামী মাসের মধ্যে আরও এক হাজার নারী ও শিশুকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য ইউরোপে সরানোর সুযোগ দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার পাশাপাশি ইউরোপীয় দেশগুলো দ্বারা তাদেরকে সহায়তা করা হবে।
ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় স্বাস্থ্য সুবিধাগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে এবং সেখানে চিকিৎসাকর্মীদের হত্যা ও নির্যাতন করছে উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের তদন্তকারীরা দেশটির বিরুদ্ধে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের’ অভিযোগ এনেছে।
ক্লুজ বলেন, ‘আমরা সংলাপ অব্যাহত না রাখলে এটি কখনই ঘটতো না। ইউক্রেনের জন্যও একই কথা প্রযোজ্য। এখন, দখলকৃত অঞ্চল (ইউক্রেনের) দনবাসে ১৫ হাজার এইচআইভি-এইডস রোগী এইচআইভি-এইডস ওষুধ পাচ্ছেন। আমরা সর্বদা সম্ভাব্য কঠোরতম ভাষায় এ ধরনের হামলার ঘটনায় নিন্দা অব্যাহত রাখব।’
৫৫ বছর বয়সী এই বেলজিয়ান ‘স্বাস্থ্যকে রাজনীতিকরণ না করার’ গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।
ক্লুজ বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ হল শান্তি। স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে তাদের কাজ করার অনুমতি দিতে হবে।’
ক্লুজ তরুণদের স্বাস্থ্য এবং পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে চান।
উল্লেখ্য, অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ডব্লিউএইচও প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন মে মাসে বলেছিলেন, প্রায় ১০ হাজার লোককে জরুরি চিকিৎসা সেবার জন্য গাজা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে সেখানে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ডব্লিউএইচও ইউরোপ ইতোমধ্যেই গাজা থেকে চিকিৎসার জন্য ৬০০ জনকে সাতটি ইউরোপীয় দেশে সরিয়ে নিয়েছে।