থাইল্যান্ডে আজ থেকে শুরু হলো শীতকাল!
অনেকেই হয়তো শিরোনাম শুনেই একটু চমকে উঠবেন। এ যেন ব্যাঙের সর্দির মতো ঘটনা। শুধু থাইল্যান্ড নয়, যারা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় নিয়মিত ভ্রমণ করেন তারা সকলেই জানেন এখানে মূলত দুটি ঋতু। গ্রীষ্ম এবং বর্ষা। তাহলে শীত আবার কবে থেকে এবং আজকে থেকেইবা কিভাবে!
গত শনিবার (২৬ অক্টোবর) দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) থেকে থাইল্যান্ডে শীত পড়া শুরু করবে। সত্যি সত্যি আজ সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। কিছুটা মেঘলা। বৃষ্টির মতো ভাব। তবে শীত আছে কিনা সেটা ভিন্ন প্রশ্ন।
মূলত দাফতরিক অর্থে থাইল্যান্ডে শীতকাল রয়েছে। সেটা প্রায় ৪ মাসের মতো। অক্টোবরের শেষ থেকে ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ। কিন্তু বাংলাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়া বা দুনিয়ার অন্য শীত প্রধান অঞ্চলের মতো এখানে শীত নয়।
মেঘে ঢাকা সকালে পথে বের হলেও তাপমাত্রার কোন তারতম্য অনুভব হলো না। অবশ্যই জুন বা জুলাইয়ের মতো না। গরম কিছুটা কম বলা যায়। তবে শীত বলা যাবে না।
গত দুই বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা যায় থাইল্যান্ডে মূলত শীত পড়ে দুই থেকে তিন দিন। সেটা জানুয়ারির প্রথম কয়েক দিন। এই শীত শুধু রাতে অনুভূত হয়। দিনের বেলায় যথারীতি গরম আর আবহাওয়া কিছুটা মেঘলা থাকে ব্যাংককে।
অবশ্য উত্তর থাইল্যান্ডের পাহাড়ি অঞ্চলে, চিয়াং মাই, চিয়াং রাইতে শীতের প্রকোপ থাকে।
থাইল্যান্ডের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, এবারের শীতে ব্যাংককের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ১৬ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ব্যাংককের পার্শ্ববর্তী প্রদেশগুলোতে ১৪ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অধিদফতরের মহাপরিচালক সুকানিয়ানি ইয়াউইনচান বলেন, ২৯ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া শীতকাল চলবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত। উত্তর থাইল্যান্ডে এসময় গড় তাপমাত্রা থাকবে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ধারনা করা হচ্ছে ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হবে। এটা হবে উত্তর এবং উত্তর পূর্ব থাইল্যান্ডের পাহাড়ি অঞ্চলে।
এসময় দক্ষিণে শীত কম থাকবে। দক্ষিণের পাহাড়ি অঞ্চলেই কিছুটা শীত অনুভব হবে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে। এসময় গালফ অব থাইল্যান্ডে পানির স্রোতের উচ্চতা ২ থেকে ৩ মিটার বাড়বে এবং আন্দামান সাগরে বাড়বে ২ মিটার পর্যন্ত।
তবে শীত থাকুক আর না থাকুক থাইল্যান্ডে এই সময়টাতেই উপচে পড়েন পর্যটকরা। পশ্চিমা দেশগুলোতে শীতকালীন ছুটি শুরু হয় আর অবসর কাটাতে মানুষ ছুটে আসেন এখানে। দক্ষিণ এশিয়ার মানুষেরাও বছর শেষের ছুটি কাটাতে এই অপরূপ সময়টাকে বেছে নেন থাইল্যান্ডে।