থাইল্যান্ডের দক্ষিণের একটি দ্বীপের তীর থেকে ৭০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। এর মধ্যে ৩০টি শিশুও রয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানায়।
বিজ্ঞাপন
খবরে বলা হয়, শনিবার সকালে থাইল্যান্ডের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে আসা ৭০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। এর মধ্যে ৩০ শিশুও রয়েছে এবং নারীরা সবাই বোরকা পরিহিত ছিলেন।
তারা মিয়ানমার থেকে মালয়েশিয়া বা ইন্দোয়েশিয়া যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে থাইল্যান্ডের ফাং নগা প্রদেশ পুলিশের কমান্ডার সোমকানে ফোথিস্র জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানিয়েছেন, তারা সবাই মুসলিম এবং তাদের উদ্দেশ ছিল মালয়েশিয়া কিংবা মালয়েশিয়ার যাওয়া।
খবরে আরো জানানো হয়, বেশ কয়েক বছর ধরেই অক্টোবর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত সমুদ্র শান্ত থাকার সময় পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ড বা বাংলাদেশ থেকে কাঠের নৌকায় চড়ে অভিবাসীরা অবৈধভাবে মুসলিমপ্রধান দেশ মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
ফাং নগার গভর্নর সুপোজ রোড্রুং ন নঙ্গখাই বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আমরা এখন নিশ্চিত হতে পারিনি যে, আটকরা প্রকৃতপক্ষে রোহিঙ্গা বা মুসলিম কিনা। কারণ, কর্তৃপক্ষ এখনো এ বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ৩০ শিশুকে ডিপার্টমেন্ট অব সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ওয়েলফেয়ারে হেফাজতে রাখা হবে।
চীনে বহুতল একটি ভবনে আগুন লেগে অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আগুনের সূত্রপাত বিষয়ে তাৎক্ষণিক বিস্তারিত কিছু জানা সম্ভব হয়নি।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) চীনের বার্তাসংস্থা জিনহুয়ার বরাত দিয়ে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদুলু আজান্সি (এএ) এ খবর জানায়।
খবরে বলা হয়, কাউন্টির পাবলিসিটি ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় চীনের মধ্য প্রদেশ হুনানের সাংঝি কাউন্টির ঝাংজিয়াজায়ি শহরের ৫তলা একটি ভবনের দ্বিতীয়তলায় আগুন লাগে। এতে দগ্ধ হয়ে ৭ জন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনার পর তদন্ত কাজ শরু হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ চীনে আগুন লাগার ঘটনা তেমন একটা বিরল কিছু নয়। এর আগে অক্টোবর মাসে কেন্দ্রীয় আনহু প্রদেশের হুইনান শহরে আগুনে দগ্ধ হয়ে ৭ জন মারা যান। তার আগে জানুয়ারি মাসে জিয়াংজি প্রদেশের জিনউ শহরে আগুন লেগে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়।
চলতি বছরের ১ অক্টোবর ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি, এয়ারফোর্স বেস এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ-এর ভবনের ওপর হামলা করেছিল ইরান।
এ হামলার পাল্টা হামলা হিসেবে ২৬ অক্টোবর ইরানের বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনার ওপর হামলা করে ইসরায়েল। এর মধ্যে পরিত্যক্ত পারমাণিক কর্মসূচির স্থাপনার ওপরও ইসরায়েল হামলা করেছিল বলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
তবে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী আলোচনায় উঠে আসা সংবাদমাধ্যম ‘এক্সিওস’-এ ভিন্ন একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এক্সিওস-এর বরাত দিয়ে শনিবার (১৬ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের দ্য টেলিগ্রাম, ইসরায়েলের টাইমস অব ইসরায়েলসহ আরো বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যে, চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর ইসরায়েল পরিত্যক্ত পারমাণবিক কর্মসূচির স্থাপনার ওপর হামলা করেছিল, সেটি আসলে গোপনে পরিচালিত পারমাণবিক অস্ত্রের ডিজাইনের কাজে ব্যবহৃত করা হতো।
খবরে বলা হয়, এক্সিওস-এ প্রকাশিত সংবাদে ৩ জন মার্কিন ও ২ জন ইসরায়েলের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন বর্তমানে কর্মরত গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও একজন সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা রয়েছেন।
এক্সিওস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) প্রধান ইরানে সেই স্থাপনা পরিদর্শন করার পর জানিয়েছেন, ইরান ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করেনি।
এই প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরানের পরচিনে অবস্থিত সক্রিয় পারমাণবিক অস্ত্রের গবেষণা কেন্দ্র ইসরায়েল ২৬ অক্টোবর হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে। এসময় ইসরায়েলের অনেক ফাইটার জেট হামলায় অংশ নেয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতিসংঘের ওয়াচডগ এ বিষয়ে ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ হিসেবে বলা হয়, জাতিসংঘের ওয়াচডগের পরিদর্শক দলের প্রতিনিধিদের হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনা পরির্দশন করার অনুমতি দেয়নি ইরান।
এক্সিওস জানায়, পরচিন-এর পারমাণবিক কেন্দ্রে উন্নতমানের ইউরেনিয়ামের নিউক্লিয়ার ডিভাইসকে কেন্দ্র করে বিস্ফোরকের ডিজাইনের বিষয়ে গবেষণা কাজ পরিচালনা করা হতো।
এ বিষয়ে ইসরায়েলের দুইজন গোয়ন্দা কর্মকর্তা অক্সিওসকে জানান, ইসরায়েলের হামলায় ধ্বংস হওয়ার পর সেখানে নতুন করে পারমাণবিক বিস্ফোরক ডিভাইস তৈরি করা ইরানের জন্য খুবই কঠিন হয়ে যাবে।
তারা জানান, এরপর ইরান যদি ফের তা কেনার চেষ্টা করে, তাহলে তারা তা শনাক্ত করতে সক্ষম হবেন।
তারা আরো জানান, ইরানের ‘টেলিঘান-২-এর স্যাটেলাইট চিত্র পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তারা সে স্থাপনা ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছেন, যা ২০০৩ সালে পরিত্যক্ত বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছিল ইরান।
এ বিষয়ে মার্কিন ও ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন যে, টেলিঘান-২ কেন্দ্রে কম্পিউটারে মডেলিং তৈরি করার কাজের পাশাপাশি বিস্ফোরক বিষয়েও গবেষণা করা হতো। তারমানে ইরান পারমাণবিক অস্ত্রের ডিভাইস তৈরি করতো।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনেস্কি মনে করছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ অতি দ্রুত শেষ হবে।
চলতি বছরের ৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয় লাভের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোন আলাপের ভিত্তিতে ই্উক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি শুক্রবার দেশটির একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে সিঙ্গাপুরের সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইম এ খবর জানায়।
খবরে বলা হয়, শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনেস্কি দেশটির সংবাদমাধ্যম সাসপিলনে’র সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহণের পর রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ দ্রুত শেষ হবে।
জেলেনেস্কি বলেন, এটি অবশ্যই ঠিক যে, বর্তমান প্রশাসনের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর অতি দ্রুত রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হবে।
সেইসঙ্গে জেলেনেস্কি আরো উল্লেখ করেন, ‘তবে কবে যুদ্ধ শেষ হবে, তার সঠিক তারিখ আমরা জানি না’।
নির্বাচনে বিজয় লাভের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গ তার টেলিফোনে কথা হয়েছে উল্লেখ করে জেলেনেস্কি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয় লাভের ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। তার সঙ্গে আমার গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। সে সময় আমাদের বিপক্ষে যায়, এমন কিছু তার (ট্রাম্প) কাছ থেকে শুনিনি’।
যদিও মার্কিন নির্বাচনের আগে নির্বাচনি প্রচারণার সময় বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনকে সহযোগিতার সমালোচনা করলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি’।
তবে সে যুদ্ধ কীভাবে শেষ হবে সে ব্যাখ্যা তিনি অবশ্য দেননি।
হোয়াইট হাউসের সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি হতে চলেছেন ক্যারোলিন লেভিট। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত ও ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ পদের জন্য ২৭ বছর বয়সী ক্যারোলিন লেভিটের নাম ঘোষণা করেছেন। ক্যারোলিন ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার মুখপাত্র ছিলেন।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘ক্যারোলিন দক্ষ ও দৃঢ়চেতা একজন মানুষ। যোগাযোগের ক্ষেত্রে নিজের পারদর্শিতা তিনি দুর্দান্তভাবে প্রমাণ করেছেন। আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে তিনি ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করবেন ও আমেরিকান জনগণের কাছে আমাদের বার্তা পৌঁছে দিতে সহায়তা করবেন।’
গতকাল অনলাইনে সম্প্রচার হওয়া ফক্স নিউজের এক পডকাস্টে অংশ নিয়ে ক্যারোলিন জানান, ট্রাম্পের প্রচার শিবিরে তিনি ন্যাশনাল প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে ভূমিকা রেখেছিলেন। নির্বাচনের আগে গত জুলাইয়ে তিনি প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
পডকাস্টে ক্যারোলিন বলেন, রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠেননি তিনি। নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যে মধ্যবিত্ত একটি ব্যবসায়ী পরিবারে তার বেড়ে ওঠা। ম্যানচেস্টারে কলেজে পড়ার সময় থেকে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
এর আগে হোয়াইট হাউসে সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন রন জিয়েগলার। রনের পর এবার ক্যারোলিনই সবচেয়ে কনিষ্ঠ সেক্রেটারি হিসেবে নিযুক্ত হচ্ছেন। ক্যারোলিন কারিন জ্যঁ-পিয়েরের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। ২০২২ সালের ১৩ মে দায়িত্ব নিয়েছিলেন কারিন।