ইউক্রেনের বিদ্যুৎ স্থাপনায় রাশিয়ার 'বড় আকারের' ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে বড় আকারের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে ৫ জন নিহত হওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১৭ নভেম্বর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি'র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবিসি জানায়, শনিবার দিবাগত রাতে এ হামলা চালানো হয়। এটি চলতি বছরে ইউক্রেনের ওপর করা তৃতীয় বৃহত্তম হামলা। ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাজধানী কিয়েভ সহ আশপাশের শহরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে চালানো হয়। এর প্রভাবে ওই এলাকার বাসিন্দাদের বাসা-বাড়ির বেসমেন্ট, পাতাল রেল স্টেশন ও অন্যান্য ভূগর্ভস্থে আশ্রয় নিতে হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, কিয়েভ, ওডেসা, জাপোরিঝিয়া, ক্রিভি রিহ, ডিনিপ্রো ও পশ্চিম ইউক্রেনে হামলা ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। হামলার পর ব্ল্যাক সি বন্দর শহর ওডেসা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছিলো বলে জানা গেছে।
ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
হামলার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রোববার (১৭ নভেম্বর) ভোরে টেলিগ্রামে লিখেছেন, আমাদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে রাশিয়া বড় আকারের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, দেশে প্রায় ১২০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৯০টি ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর মধ্যে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ১৪০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্যে মস্কোর সবচেয়ে উন্নত অস্ত্রের দুটি কিনজল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিলো।
ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রী জার্মান গালুশচেঙ্কো হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে জানান, ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এই হামলার কারণে কর্তৃপক্ষ কিয়েভ এবং আরও একটি অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বন্ধ করে দিয়েছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সতর্ক করে জেলেনস্কি শনিবার রেডিও ইউক্রেনকে বলেছেন, রাশিয়া এই শীতকালীন আবহাওয়ার মধ্যে তাদের হামলা আরও প্রসারিত করবে। এর জন্য আমাদেরকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।