মিয়ানমারে রাখাইন বৌদ্ধদের ওপর পুলিশের হামলায় নিহত ৭



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease
মিয়ানমারে বৌদ্ধধর্মাবলম্বী রাখাইনদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে সাতজন নিহত ও আরো অনেকে আহত হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে তারা একটি সরকারি দপ্তর দখলে নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি বর্ষণ করলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি বুধবার এক প্রতিবেদনে একথা জানায়। খবরে বলা হয়, বৌদ্ধধর্মাবলম্বী কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী একটি অনুষ্ঠান পালনের জন্য প্রাচীন মন্দির চত্বর মরাউকে সমবেত হয়েছিল। এ অঞ্চলের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর সামরিক বাহিনী ব্যাপক দমনপীড়ন চালালেও এটি এখন পর্যন্ত অক্ষত রয়েছে। তবে তাদের সমাবেশটি কেন সহিংস রূপ নিল তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নেওয়া ছয় লাখ ৫৫ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ফেরত নিতে শুরু করতে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষরের দিন এ সংঘর্ষ হলো। পুলিশ এ সহিংসতার জন্য সেখানে সমবেত হওয়া জনতাকে দায়ি করেছে। কারণ, তারা জেলা প্রশাসনের একটি দপ্তর দখল করে সেখানে রাখাইন রাজ্যের পতাকা উত্তোলনের চেষ্টা চালাতে গেলে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। মিয়ানমার পুলিশের মুখপাত্র কর্নেল মিয়ো সোয়ে এএফপি’কে বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সমবেত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে রাবার বুলেট ছুঁড়লেও তারা সরে না যাওয়ায় পুলিশ গুলি বর্ষণ করে। এতে সাতজন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়।
   

সন্দেশখালির মাম্পি দাসকে মুক্তির নির্দেশ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাসকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। এনডিটিভি জানিয়েছে, তার গ্রেফতারি নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

শুধু তাই নয়, মাম্পির গ্রেফতারের নেপথ্যে মাস্টারমাইন্ড কে, তা জানতে চেয়েছে আদালত।

গ্রেফতারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মাম্পি। গ্রেফতারকে বেআইনি বলে দাবি করেছিলেন তিনি। শুক্রবার (১৭ মে) সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সেনগুপ্তের এজলাসে।

বিচারপতি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত বন্ডে মামলাকারীকে অবিলম্বে হেফাজত থেকে মুক্তি দিতে হবে। তার বিরুদ্ধে ১৯৫এ ধারায় যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তা-ও স্থগিত থাকবে। আগামী ১৯ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

শুক্রবার শুনানি চলাকালীন মাম্পির গ্রেফতার নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। মাম্পির গ্রেফতারির ক্ষেত্রে ১৯৫এ ধারা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিচারপতির প্রশ্ন, ‘ম্যাজিস্ট্রেট কী করেছেন? ১৯৫এ ধারা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। তারপরেও তিনি কীভাবে এই নির্দেশ দিলেন? এমন গ্রেফতারের নেপথ্যে মাস্টারমাইন্ড কে? এই মামলাটি কোন অফিসার দেখছেন?’

রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি সেনগুপ্ত জানান, এভাবে কাউকে গ্রেফতার করাই যায় না।

এক্ষেত্রে তার মন্তব্য হলো, ‘আপনারা হয়তো এই কোর্টকে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশগুলো অন্তত মেনে চলুন।’ পাশাপাশি, মাম্পিকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত।

মাম্পির আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার শুক্রবার আদালতে জানান, গত ৭ মে তার মক্কেলের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় এফআইআর দায়ের হয়। তার দুই দিন পরে ৪১এ ধারায় নোটিশ দেয় পুলিশ।

গত ১৪ মে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনযোগ্য ধারায় জামিন নিতে গেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ১২ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করে নিম্ন আদালত। প্রথম দিন পুলিশের কেস ডায়েরি না দেখেই হেফাজতে পাঠিয়েছিল নিম্ন আদালত।

সন্দেশখালির ঘটনায় বহু অভিযোগে বারবার উঠে এসেছে মাম্পির নাম। তার মধ্যে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অসত্য মামলা রুজু করানোর মতো অভিযোগও রয়েছে।

সম্প্রতি, সন্দেশখালির এক গৃহবধূও সেই অভিযোগ করেন সন্দেশখালি থানায়। পুলিশকে তিনি জানান, তার গ্রেফতার হওয়া ভাইকে ছাড়ানোর শর্তে ধর্ষণের অসত্য অভিযোগ দায়ের করতে বলেছিলেন এই মাম্পি। পরে অভিযোগ তুলে নিতে চাইলে বিজেপির পক্ষ থেকে তাকে শাসানোও হয়।

মাম্পি ওরফে পিয়ালির নাম শোনা গিয়েছিল সন্দেশখালির স্টিং’ ভিডিওতে গঙ্গাধর কয়ালের মুখেও।

একের পর এক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের নোটিশ পেয়ে গ্রেফতারি এড়াতে বসিরহাট আদালতে অগ্রিম জামিন চাইতে গিয়েছিলেন মাম্পি। সেখানে অন্য মামলা দিয়ে তাকে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

নিম্ন আদালত তাকে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে মামলা করেন মাম্পি। শুক্রবার ব্যক্তিগত বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর হলো।

;

মিশরের পিরামিডের রহস্য ভেদ করার দাবি বিজ্ঞানীদের 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় ৪ হাজার বছর পূর্বে নির্মিত মিশরের বিখ্যাত গিজা কমপ্লেক্স এবং ৩১ পিরামিড নির্মাণের পেছনে যে রহস্য লুকিয়ে আছে তা উদঘাটন করেছেন বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। 

বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নর্থ ক্যারোলিনা উইলমিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা দলের সদস্যরা বলছেন, নীল নদের পাশে বহু বছর আগে হারিয়ে যাওয়া একটি প্রাচীন শাখার পাশে পিরামিডগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রাচীন ওই শাখাটি মরুভূমি অথবা কৃষিজমির নিচে চাপা পড়েছে।

বহু বছর ধরে প্রত্নতত্ত্ববিদরা ধারণা করছেন, মিশরীয়রা পানি পথে পাথরের মতো ভারী বস্তু পরিবহনের জন্য নদীর কাছে এই পিরামিড নির্মাণ করেছেন। 

তবে পিরামিডের কোন পথ ধরে জলপথ যোগাযোগে মেগা প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছিল তা এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান গবেষণায় নেতৃত্ব দেয়া অধ্যাপক ইমান ঘোনিম। 

নদীপথটি চিহ্নিত করার জন্য গবেষণাকারী দলটি রাডার স্যাটেলাইটের ছবি, ঐতিহাসিক ম্যাপ, ভূতাত্ত্বিক জরিপ, পলল কোরিং, নদীর ম্যাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এর ফলে তারা ধারণা করছেন বহু বছর আগে প্রচণ্ড খরা এবং বজ্রঝড়ের কারণে এটি হারিয়ে গেছে। 

ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, রাডার প্রযুক্তি ব্যবহার করে দলটি ‘বালির পৃষ্ঠে প্রবেশ করতে এবং লুকানো বৈশিষ্ট্যগুলোর চিত্র তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল’।

গবেষণায় সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ড. সুজানি অনস্টাইন বিবিসিকে বলেন, নদীর প্রকৃত অবস্থা এবং বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নদী পথে মিশরীয়রা বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করতেন। এই তথ্যটি আমাদের পিরামিড নির্মাণের কারণ উৎঘাটনে সহযোগিতা করেছে।

গবেষণা দলটি বলছে, নদীর পথের নাম দেওয়া হয়েছিল আরামাত, যার আরবি অর্থ পিরামিড। এটি ৬৪ কিলোমিটার লম্বা এবং ২০০ থেকে ৭০০ মিটার চওড়া। এটি ৩১টি পিরামিড দ্বারা ঘেরা রয়েছে। তা ৪ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার ৭০০ বছর আগে নির্মিত। 

ড. অনস্টাইন বলেন, মানুষের শক্তি ব্যবহারের পরিবর্তে মিশরীয়রা নদী পথ ব্যবহারে বড় বড় পাথর পরিবহরের চেষ্টা করেন। 

;

রাশিয়াকে অস্ত্র দেয়ার বিষয় অস্বীকার করলেন কিমের বোন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র বিনিময়ের বিষয়টি আবারও অস্বীকার করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং।

দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএসএ'র এক প্রতিবেদনে বলা, হয়েছে উত্তর কোরিয়া তার জাতির স্বার্থে অস্ত্রের আধুনিকায়ন করছে এবং তা কোনো দেশের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে না। 

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করছে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযান চালানোর পর রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু শুরু থেকেই মস্কো ও পিয়ংইয়ং এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছ। তবে গত বছর থেকে এই দুই দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক গভীরে পৌঁছেছে।  

গত বছরের সেপ্টেম্বরে নাটকীয়ভাবে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের রাশিয়া সফর এবং পুতিনের সঙ্গে বৈঠক তাদের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তবে কিমের বোন কিম ইয়ো জং বলেন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে অস্ত্র চুক্তি তত্ত্ব একটি কল্প কাহিনী ছাড়া আর কিছুই নয়। 

কিম ইয়ো জং এর বিবৃতিকে উদ্ধৃতি করে কেসিএনএ জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র চুক্তির বিয়টি পুরোপুরি মিথ্যা। তাদের শত্রু দেশ এ ধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। 

কিম ইয়ো জং বলেন, সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার প্রদর্শনকৃত রকেট লঞ্চার, ক্ষেপণাস্ত্র এবং কৌশলগত অস্ত্র রপ্তানির জন্য ছিল না। এগুলো দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রতিহত করার জন্য। 

;

নাইজেরিয়ায় মসজিদে আগুন লাগায় দুর্বৃত্ত, নিহত ১১



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কানো প্রদেশের একটি মসজিদে ফজরের নামাজ আদায়ের সময় বাইরে থেকে আগুন ধরিয়ে দিলে কমপক্ষে ১১ মুসল্লি প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। মসজিদটিতে বাইরে থেকে তালা আটকে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ জানিয়েছে, এক ব্যক্তি মসজিদে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন লাগানোর আগে সব দরজা বন্ধ করে দেয় এবং এতে মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ মুসল্লি আটকা পড়েন। ঘটনার সময় মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদের ভেতরে ছিলেন। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উত্তরাধিকার এবং সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হামলা হয়েছে বলে জানিয়ে পুলিশ। তারা এই ঘটনায় ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করেছে। কানো প্রদেশের গেজাওয়া এলাকায় বুধবার মুসল্লিরা ফজরের নামাজে অংশ নেয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।

বাসিন্দারা বলেছেন, হামলার পর মসজিদে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মুসল্লিদের আর্তনাদের আওয়াজ শোনা যায় এবং তারা ভেতর থেকেই তালাবদ্ধ দরজা খুলতে চেষ্টা করেন। অবশ্য বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর প্রতিবেশীরা ভেতরে আটকে পড়াদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

;