সাম্ভালে নিহতদের পরিবারকে জমিয়তের আর্থিক সাহায্য
উত্তর প্রদেশের সাম্ভালে মুঘল যুগের শাহী মসজিদের জরিপ ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিল জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ।
জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি সাইয়্যেদ মাহমুদ আসাদ মাদানির নির্দেশে একটি প্রতিনিধি দল সাম্ভাল যায়।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন- জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাকিমুদ্দিন কাসেমি ও উত্তর প্রদেশ জমিয়তের সভাপতি মুফতি মুহাম্মদ সাইয়্যেদ আফফান মনসুরপুরি।
জানা গেছে, ঘটনার পর পরই জমিয়ত নেতৃবৃন্দ উত্তর প্রদেশের সাম্ভালে যাওয়ার চেষ্টা করছিল, কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় সেখানে যাওয়া সম্ভব হয়নি। অবশেষে ৩ ডিসেম্বর জমিয়তের প্রতিনিধি দলকে পুলিশ সাম্ভাল যাওয়ার অনুমিত দেয়।
জমিয়ত প্রতিনিধিরা প্রতিটি নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের হাতে পাঁচ লাখ টাকার চেক তুলে দেন। সেই সঙ্গে নিহতদের পরিবারকে আশ্বস্ত করেন, আইনি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জমিয়ত তাদের সঙ্গে থাকবে।
জমিয়ত নেতৃবৃন্দ জানান, নিহতদের সবাই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে। নিহত পাঁচজনের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ১৬ বছর।
এ ছাড়া যেসব নিরীহ-নিরপরাধ ব্যক্তিদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তাদের মুক্তির জন্য জমিয়ত চেষ্টা করবে বলেও প্রতিনিধি দল জানান।
ভারতের মুসলমানদের যেকোনো বিপদে সর্বদা পাশে থাকে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করে প্রতিনিধি দলের নেতা আফফান মনসুরপুরি বলেন, বিপদের দিনে কারও পাশে দাঁড়ানোর ভারতীয় পরম্পরা মানতে চায় না ইউপি পুলিশ। তারা আমাদের সাম্ভালে যেতে দিতে চাইছিল না। জমিয়ত দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে চায়, ইনসাফ চায়, বিদ্বেষের কারবারিদের আইনগতভাবে সাজা চায়।
প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন- মাওলানা আলাউদ্দিন মাজাহিরি, হাফেজ শহীদ (সাম্ভাল জমিয়ত সভাপতি), মাওলানা নাদিম কাসেম, মাওলানা দিলদার, মাওলানা ইমরান জাকির, মাওলানা আব্দুল গফুর ও মাওলানা আজহার কাসেমি।