রাশিয়ার সমর্থন হারানোয় পতন আসাদের: ট্রাম্প
বিদ্রোহী যোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে দুই যুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। দীর্ঘদিনের বন্ধু রাষ্ট্র রাশিয়ার সমর্থন হারানোয় বাশার আল- আসাদের এ পতন বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রুথ সোশ্যাল নামের নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়ার সমর্থন হারিয়ে বাশার আল-আসাদ দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, আসাদের রক্ষক রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে তাকে আর রক্ষা করতে আগ্রহী ছিল না।
সিরিয়ার দুই বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ (এইচটিএস) ও তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনী গত কয়েক দিন ধরেই সক্রিয়। তারা একের পর এক শহর দখল করে রাজধানীর দিকে এগোচ্ছিল। বিদ্রোহীদের হামলার মুখে পিছু হটেছে সিরিয়ান সেনা। রোববার সকালে রাজধানী দামেস্কে ঢুকে পড়ে বিদ্রোহী বাহিনী। রাজধানী এখন তাদেরই দখলে। দামেস্কে থেকে বিদ্রোহীদের বার্তা, এত দিনে সিরিয়া অত্যাচারমুক্ত হল।
আমেরিকা অবশ্য প্রকাশ্যে সিরিয়া নিয়ে মন্তব্য করতে চায়নি। তবে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ার পরিস্থিতি খুব খারাপ। ওরা আমাদের বন্ধু নয়। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আমেরিকার কিছু করার নেই। এটা আমাদের যুদ্ধ নয়। ওখানে যা হচ্ছে, হোক। আমরা এর মধ্যে নাক গলাব না।
উল্লেখ্য, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে। ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে প্রথম থেকেই বিদ্রোহীদের মদদ দিয়েছে আমেরিকা। আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে একাধিকবার নাগরিকদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। ২০১৩ সালে ঘৌটার হামলায় ৩০০ জনেরও বেশি সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এদের মধ্যে ছিল বহু শিশু। ২০১৭ সালের হামলাতেও মৃত্যু হয় শতাধিক সিরিয়ান নাগরিকের। জাতিসংঘের একাধিক দল সিরিয়ায় গিয়ে নাগরিকদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের প্রমাণ পেয়েছে বলে দাবি।