বিধানসভায় আবারও বাংলাদেশ নিয়ে যা বললেন মমতা
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আঁচ ভালোভাবেই লেগেছে প্রতিবেশী দেশ ভারতে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিধানসভার অধিবেশনে আবারও উঠল বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। এদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, পাশের দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় তিনি উদ্বিগ্ন। একই সঙ্গে সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে বলেন, দাঙ্গা হিন্দু করে না, মুসলমান করে না। দাঙ্গা করে কিছু সমাজবিরোধী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ভারতের ইতিহাস বুঝতে হবে। দেশ ভাগের পরে বাংলাদেশ, পাকিস্তান আলাদা হয়েছে। বাংলাদেশে যা সব হচ্ছে... যদিও এটা কেন্দ্রের ব্যাপার। পররাষ্ট্রের ব্যাপার। কিন্তু আমাদের ৭৯ জন মৎস্যজীবী বাংলাদেশের জেলে আটক রয়েছে। আমরা কেন্দ্রকে বলেছি। কিন্তু আজও তাদের মুক্তি দেয়নি।
অনেকের মত, বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে সামনে রেখে রাজ্য বিজেপি হিন্দুত্বের রাজনীতিতে শান দেওয়ার চেষ্টা করছে। ওই অংশটির দাবি, রাজ্য বিজেপির সেই কৌশলকে ভোঁতা করে দিতেই বাংলাদেশ নিয়ে ‘কৌশলী’ অবস্থান নিচ্ছেন মমতা। সম্প্রতি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর জন্য কেন্দ্রকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার এই প্রস্তাব ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলে ‘অসন্তুষ্ট’ বাংলাদেশও।
বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিয়ে মমতা বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা হচ্ছে, তা দুঃখজনক। তার পরেই সব বিধায়কদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বান, কেউ উসকানিমূলক বক্তৃতা দেবেন না।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ফেক (ভুয়া) ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, যারা ভাবছেন এই সুযোগে রাজনৈতিক লাভ আছে, তারা জানবেন আপনাদের ক্ষতি হবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী তার ভাষণে নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নাম নেননি।
বাংলাদেশ নিয়ে তার দল এবং সরকারের পুরনো অবস্থানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার দেখবে। আমরা কোনও পক্ষে নেই। আমরা সব পক্ষে। আজ পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে যাচ্ছেন। দেখা যাক কী হয়। আমাদের নীতি হল আমরা বিদেশনীতি মেনে চলব।