ধর্ষণ নয়, মারধরের ঘটনায় কলকাতায় গ্রেফতার আ. লীগের ৪ নেতা
ধর্ষণের অভিযোগে নয়, ট্রাকচালককে মারধরের ঘটনায় ভারতের কলকাতা থেকে সিলেটের আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের চার নেতাকে গ্রেফতার করেছে মেঘালয় রাজ্যের ডাউকি থানার পুলিশ।
ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্য মেঘালয়ের পুলিশ বলছে, একটি ফৌজদারি মামলায় পালিয়ে থাকা চারজন বাংলাদেশিকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করেছে। এরা সবাই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সাঙ্গে জড়িত।
তবে তাদের বিরুদ্ধে মেঘালয়ে ধর্ষণের অভিযোগ আছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, তা সঠিক নয় বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন মেঘালয় পুলিশের মহাপরিচালক ইদাশিশা নংরাং।
মেঘালয়ের স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ডাউকি সীমান্তে ট্রাক চালকদের সঙ্গে অক্টোবর মাসে হাতাহাতির ঘটনায় অভিযুক্ত হন গ্রেফতার চারজন।
তারা হলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান (মুক্তি), সহসভাপতি আবদুল লতিফ (রিপন) ও সদস্য ইলিয়াস হোসেন (জুয়েল)।
বিধাননগর পুলিশের সহায়তায় রোববার (৮ ডিসেম্বর) মেঘালয় পুলিশ ওই চারজনকে গ্রেফতার করে।
বিধাননগর পুলিশ জানিয়েছে, ৫ আগস্টের পরে তারা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতের মেঘালয়ে বসবাস করছিলেন বলে মেঘালয় পুলিশের কাছ থেকে জানতে পেরেছে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ডাউকি থানার একটি মামলায় অভিযুক্ত ওই চারজন কলকাতা লাগোয়া নিউটাউন এলাকার একটি আবাসনে আশ্রয় নিয়েছিলেন। রোববার সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করে শিলংয়ে আনা হয়েছে বলে মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে।
মেঘালয় পুলিশের মহাপরিচালক মিজ নংরাং জানিয়েছেন, গ্রেফতার চার বাংলাদেশির বিরুদ্ধে ডাউকি থানার একটা মামলা ছিল। কোনও ধর্ষণের অভিযোগ নেই এদের বিরুদ্ধে। ডাউকি থানায় তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার চারটি ধারা এবং বিদেশি আইনের ১৪ নম্বর ধারায় অভিযোগ ছিল। সেই মামলাতেই কলকাতা থেকে গ্রেফতার করে আনা হয়েছে।