ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলা
আফগান মুসলিমের সেদিনের বীরত্বে বাঁচলো অনেকের প্রাণ
ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার দিন অন্যান্যদের মতো মসজিদে নামাজ আদায় করতে যান নিউজিল্যান্ডে বসবাসরত আফগান অভিবাসী আবদুল আজিজ। ৪৮ বছর বয়সী এই আফগান মুসলিম বীরত্বের সাথে হামলাকারী ব্রেন্টন হ্যারিসন টারান্ট এর বিরুদ্ধে সেদিন প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
যার কারণে পরবর্তীতে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালানো হামলাকারীকে নিউজিল্যান্ড পুলিশ আটক করতে সমর্থ হয়।
সোমবার (১৮ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে আফগান এই অভিবাসী মুসলিমের বীরত্বগাঁথা তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবদুল আজিজ সেদিন লিনউড’র মসজিদে নামাজ পড়তে যায়। হামলাকারী ক্রাইস্টচার্চের আল-নুর মসজিদে হত্যাযজ্ঞ শেষ করে লিনউড মসজিদে যায় এবং হামলা শুরু করে। এ সময় আবদুল আজিজ গুলির আওয়াজ ও মানুষের চিৎকার শুনে সে একটি ক্রেডিট কার্ড মেশিন হাতে নেয়। পরবর্তীতে সেটা হামলাকারীর দিকে ছুড়ে মারে। এ সময় হামলাকারী আবদুল আজিজকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
কিন্তু তার বন্দুকে গুলি শেষ হয়ে গেলে সে তার গাড়ি থেকে আরেকটি বন্দুক আনতে যায়। এই সুযোগে আবদুল আজিজ রাস্তায় পড়ে থাকা বন্দুকটি হাতে নিয়ে টারান্ট এর দিকে তাক করে ধরে। তবে ওই বন্দুকে কোন বুলেট ছিল না। কিন্তু আবদুল আজিজ ওই বুলেটবিহীন বন্দুক নিয়ে হামলাকারীকে ধাওয়া করলে সে তার গাড়ির দিকে দৌড় দেয়। এ সময় দুজন পুলিশ তাকে আটক করে।
কিন্তু পুলিশের আটকের পূর্বেই টারান্টের বন্দুক কেড়ে নেয় ৫০টি তাজা প্রাণ। এছাড়া অনেকেই আহত হয়। অল্পের জন্য বেঁচে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা। আর দ্বিতীয় মসজিদে হামলার সময় যদি আবদুল আজিজ ওই প্রতিরোধ গড়ে না তুলতো। অন্যথায় টারান্টের নৃশংস বন্দুক কেড়ে নিতো আরও অনেকগুলো প্রাণ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৫ মার্চ) নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলার ঘটনায় ৫০ জন প্রাণ হারায়। এছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হয়।