বনানী অগ্নিকাণ্ড

বনানী অগ্নিকাণ্ড: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মকে দায়ী



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শেষ খবর পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ৩৭ জন। বর্তমানে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে সেবা প্রদান করা হচ্ছে এবং এখনও এফআর টাওয়ারে উদ্ধারকার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ড ঘটনার ভয়াবহতার উত্তাপ ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জুড়ে। ‘বাংলাদেশে আগুন: ঢাকার বনানীতে প্রাণঘাতী অগ্নিকাণ্ড’ শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি নিউজ

খবরে অগ্নিকাণ্ডের বিশদ বিবরণ দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, বাংলাদেশে বড় ধরণের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তুলনামূলক বেশ সাধারণ। নিরাপত্তা ব্যবস্থার শিথিল অবস্থা ও নিয়ম না মেনে বিল্ডিং স্থাপন করার ফলে বিগত কয়েক বছরে এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা বনানীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটিকে তাদের অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে প্রধান ও ফিচার খবর হিসেবে প্রাধ্যান্য দিয়েছে। ‘বাংলাদেশে আগুন: ঢাকার আকাশচুম্বী অট্টালিকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড’ শীর্ষক খবরে আল-জাজিরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বনানীর সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে তুলে ধরেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/28/1553778980246.JPG

প্রকাশিত এই খবরে একইসাথে উঠে এসেছে, ২০১০ সালের পুরান ঢাকার নিমতলী, ২০১২ সালে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ও চলতি বছরের চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও। বিবিসি নিউজের মতো একই সুরে আল-জাজিরা বলছে, নিরাপত্তা অব্যবস্থাপনা, নিয়ম না মানার ফলে বিগত কয়েক বছর ধরে এ ধরণের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বাংলাদেশে নিয়মিত হয়ে উঠেছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর খবরে উঠে এসেছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আটকে পড়া মানুষের দূরাবস্থার বিষয়টি। ‘ঢাকা টাওয়ারে প্রাণঘাতী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আটকদের উদ্ধারকাজ চলছে’ শীর্ষক শিরোনামের খবরে সিএনএন আরও উল্লেখ করেছে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বড় ধরণের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো। বিবিসি নিউজ ও আল-জাজিরার মতো, এখানেও বনানী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার জন্য দায়ী করা হচ্ছে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনাকে।

এছাড়া ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও সংবাদ সংস্থা রয়টার্সেও উঠে এসেছে বনানীর অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ।

   

যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোয় ১৮ জনের মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভয়াবহ টর্নেডো ও ঝড়ের তাণ্ডবে যুক্তরাষ্ট্রের চারটি অঙ্গরাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৮ জন। টর্নেডোর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞে বিধ্বস্ত হয়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি।

সোমবার (২৭ মে) সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওকলাহোমা, টেক্সাস এবং আরকানসাসে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র টেক্সাসেই মারা গেছেন ৭ জন।

টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে হতাহতের পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অন্তত ২০ হাজার বাড়িঘর। ঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন অবকাঠামো, উপড়ে গেছে গাছপালা। বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট। ভেঙে গেছে বিদ্যুতের খুঁটি।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া দফতর সতর্কতা জারি করেছিল। কর্মকর্তারা জানান, ওকলাহোমা সীমান্তের কাছে টেক্সাসের কুক কাউন্টিতে সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সেখানে শনিবার রাতে টর্নেডো একটি মোবাইল হোম পার্কের কাছে একটি গ্রামীণ এলাকায় ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।

ওকলাহোমাতেও ঝড় ক্ষয়ক্ষতি করেছে। সেখানে বহিরাঙ্গনে আয়োজিত একটি বিবাহের অতিথিরা আহত হয়। এলাকা জুড়ে হাজার হাজার বাসিন্দা বিদ্যুৎবিহীন ছিল।

এপ্রিল এবং মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডো বেশি আঘাত হানে, বিশেষ করে দেশটির মধ্য-পশ্চিম অঞ্চলে।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। দুর্যোগকালীন সতর্কতায় আওতায় রয়েছে দেশটির শতাধিক কাউন্টি। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ঝড়ের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।

;

আফগানিস্তানে বন্যায় ১৬ জনের মৃত্যু, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তানে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এছাড়া বন্যায় শত শত বাড়ি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।

সোমবার (২৭ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানের বাঘলান ও বাদাখশান প্রদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় নারী ও শিশুসহ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম। এসব প্রদেশের স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে, বন্যায় ৫০০ বাড়ি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার গবাদি পশু মারা গেছে। শত শত হেক্টর কৃষি জমি, গাছপালা, সেতু ও কালভার্ট ধ্বংস হয়ে গেছে।

বাঘলানের পুলিশ কমান্ডের প্রধান আব্দুল গফুর খাদেম বলেছেন, ‘গত রাতে খুব শক্তিশালী বন্যা হয়েছে। আমাদের প্রধান হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বাঘলান প্রদেশের দোশি জেলার লারখাব এলাকায়। লারখাবে, তিনজনসহ প্রায় ছয়জন মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে এক শিশু, এক নারীসহ দুইজন পুরুষ রয়েছেন এবং বন্যায় ৩০০টিরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।’

এদিকে বন্যার কারণে অনেকেই তাদের সমস্ত জিনিসপত্র হারিয়েছেন। এমনই বেশ কয়েকটি পরিবার ত্রাণ পৌঁছাতে দেরি করায় ক্ষোভও প্রকাশ করেছে। পরিবারগুলো তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকার এবং সাহায্য সংস্থাগুলোর কাছে অবিলম্বে সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

বাদাখশানের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান মোহাম্মদ কামগার বলেছেন, বন্যার কারণে এক পরিবারের দশ সদস্য নিহত এবং অন্য একজন আহত হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, উত্তর আফগানিস্তানে বন্যায় ৩১৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও এক হাজার ছয় শতাধিক মানুষ।

;

পশ্চিমবঙ্গেও রিমালের তাণ্ডব, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ উপকূল এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে পড়ল প্রবল আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এর প্রভাবে কলকাতাতেও প্রবল ঝড়বৃষ্টি অব্যাহত আছে। রাজ্যটির বিভিন্ন এলাকায় রাতভর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞও চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল।

সোমবার (২৭ মে) ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রচণ্ড শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ বাংলাদেশের উপকূল এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে কলকাতাসহ বিভিন্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমাল সোমবার শক্তি হারিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই দুর্যোগের হাত থেকে রেহাই মিলবে না আজও। সোমবার কলকাতা ও একাধিক জেলায় তীব্র ঝোড়ো হাওয়া সেই সঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

রিমালের তাণ্ডবে ভঙ্গুর বহু বসতবাড়ি ভেঙে পড়েছে এবং বহু গাছ উপড়ে পড়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের খুঁটিও ভেঙে পড়েছে। সুন্দরবনের গোসাবা এলাকায় একজন আহত হয়েছেন।

যদিও ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই পশ্চিমবঙ্গের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে এক লাখেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে রোববার রাতে ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলের মাছ ধরার বহু নৌকাকে ভাসিয়ে নিয়েছে এবং নিচু এলাকায় ঘরবাড়ি এবং কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছে। বহু গাছ ভেঙে পড়েছে, বিভিন্ন জেলার মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কলকাতা সংলগ্ন নিচু এলাকার রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। মেট্রো ট্রাকও প্লাবিত হয়েছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষেরা। 

এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বিশেষ করে সাগর দ্বীপ, সুন্দরবন এবং কাকদ্বীপ থেকে লোকেদের স্থানান্তরিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণকে বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং তাদের সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

;

গাজার আশ্রয় শিবিরে ইসরায়েলের হামলা, নিহত অন্তত ৩৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজার রাফাহ শহরে বাস্তুচ্যুতদের একটি শিবিরে ইসরায়েল ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অনেকেই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।

সোমবার (২৭ মে) রয়টার্স এবং আল জাজিরার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী রাফাহ শহরের একটি বাস্তুচ্যুত লোকদের তাঁবু ক্যাম্পে বোমা হামলা চালিয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের বর্বর এ হামলায় অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত নারী ও শিশু যাদের ওপর ‘গণহত্যার হাতিয়ার’ দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এসব মানুষ আগে থেকেই পানি, খাদ্য, ওষুধ, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি থেকে বঞ্চিত ছিল।

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, তারা ‘নির্ভুল অস্ত্র’ ব্যবহার করে হামাস যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী স্বীকার করেছে, হামলায় বেসামরিক লোকজন আহত হয়েছেন এবং এই ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে।

;