যে দেশে ১ বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ ছিল

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ছবি: গুগল থেকে সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ছবি: গুগল থেকে সংগৃহীত

বর্তমান বিশ্বে কর্তৃত্ববাদী দেশ প্রধানরা যখন গণমাধ্যমগুলোর টুঁটি চেপে ধরছে তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দেশের নাগরিকদের দিয়েছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা।

তবে আফ্রিকা মহাদেশের দারিদ্রতাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত একটি দেশ চাদ। যেখানে সকল প্রকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গত একবছর ধরে।

দেশটির স্বৈরশাসক সরকার ইদ্রিস দেবী গত বছরের (২০১৮) ২৮ মার্চ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এর আগে দেশটির জাতীয় অধিবেশনে একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়। সেখানে সংবিধান পরিবর্তনের এবং সেই সাথে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ইদ্রিস ক্ষমতায় থাকার বিধান জারি হয়।

মূলত, ২০১৬ সালে চাদে জাতীয় নির্বাচনের সময় ইদ্রিসের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা চলতে থাকলে তখন তা বন্ধ করে দেয়া হয়।

বিবিসি’র সংবাদদাতা ভিনসেন্ট নিবিয়েদার বলেছিলেন, চাদের রাজধানী এন্ডজামেনায় সরকার বিরোধী আন্দোলন তখন অনেক জোরালো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘চাদের নাগরিকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সরকার বিরোধী আন্দোলনে জনগণকে এক ছাদের নিচে নিয়ে আসে।’

ভিনসেন্ট বলেছেন, সরকারের জন্য ইন্টারনেট তখন একটি বড় হুমকি হয় দাঁড়ায়।

এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব চরমভাবে আঘাত করেছে ছোট অনলাইন ব্যবসায়ীদের। তারা ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে ব্যবসায়ের বিজ্ঞাপনের কাজ চালাতেন।

চাদের প্রখ্যাত ব্লগার দেহুব ইমানুয়েল বিবিসিকে বলেছিলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ফেসবুক ছাড়া যেন সেল ছাড়াই একটি কারাগারে বন্দী করে রাখা।’

বিজ্ঞাপন

তবে বিশ্ব ইন্টারনেট পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে চাদের ৪.৯ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছে না। এছাড়া বৃহত্তর সংখ্যক মানুষ ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছে কিন্তু তা যথেষ্ট গতির নয় বলে জানায় তারা।

বুধবার (২৭ মার্চ) সরকারের মুখপাত্র ওমর ইয়া হিসেন বিবিসিকে জানায়, নিরাপত্তা বিষয়ের কারণে চাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

সূত্রঃ বিবিসি

বিজ্ঞাপন