আশঙ্কার চেয়ে দ্বিগুণ বাড়বে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা  



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সমুদ্রপৃষ্ঠে পানির উচ্চতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিজ্ঞানীরা যে মত দিয়েছিলেন এটি আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হবে। নতুন এক গবেষণায় এ মত  দিয়েছেন একদল বিজ্ঞানী। গ্রীনল্যান্ড ও এন্টার্কটিকার বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে ভয়াবহ পরিণতির আশঙ্কা করছেন নতুন এ গবেষকদল।

তারা বলছেন, বৈশ্বিক সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আগের ভবিষ্যতবাণীকেও ছাড়িয়ে যাবে। ২১০০ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিটার বেড়ে যাবে বলে ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছিল।

নতুন গবেষণা বলছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আগের ভবিষ্যৎবাণীর চেয়ে দ্বিগুণ হবে। এতে শত কোটি মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়বেন। ন্যাশনাল একাডেমি অব সাইন্সেসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে গবেষণা করে নতুন এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

নতুন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলছেন, বর্তমানে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার পেংগুইন মারা যাওয়া, এন্টার্কটিকায় অস্থিরতা, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, গাছপালার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ার হার পরিমাপ বিবেচনায় তারা নতুন এ ফলাফল পেয়েছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/21/1558416582171.jpg

ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) ২০১৩ সালে তাদের পঞ্চম মূল্যায়ণে সমূদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। এটি ছিল সে সময়ে সবচেয়ে বিতর্কিত ও আলোচিত একটি  বিষয়।

সেই সময় বলা হয়েছিল পৃথিবীর তাপমাত্রা এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকলে এবং ক্ষতিকর গ্যাসের নির্গমনের হার কমিয়ে আনতে না পারলে ২১০০ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৫২ সেন্টিমিটার থেকে ৯৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়ে যাবে। বেশি সংখ্যক বিশেষজ্ঞ সে সময়কার আনুমানিক এ ভবিষ্যৎবাণীকে মেনেও নিয়েছিলেন।

বর্তমানে বরফ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে যে হারে বরফ গলছে এবং বরফ গলার এ হার যদি অব্যাহত থাকে তাহলে পানি সমুদ্রের ধারণ ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। এতে স্থলভাগের বিরাট এক অংশ তলিয়ে যাবে।

বিষয়টি সম্পর্কে সত্যিকারের ধারণা পেতে বিশ্বের নামকরা বিজ্ঞানীদের একটি একটি অংশ গ্রীনল্যান্ড, পূর্ব ও পশ্চিম এন্টার্কটিকার ওপর গবেষণা চালান।

গবেষকরা মত দিয়েছেন, যদি বর্তমান হারে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন এ হারে চলতে থাকে তাহলে ২১০০ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা ৬২ থেকে ২৩৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।

গবেষক দলের প্রধান ও ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর জোনাথান বামবার বলেন, আগের গবেষণায় ২১০০ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৭ থেকে ১৭৮ সেন্টিমিটার বাড়ার আশঙ্কা করা হলেও এটি ছাড়িয়ে যাবে। এটি হবে দুই মিটারেরও  অধিক।   

২০১৩ সালের আইপিসিসির সেসময়কার রিপোর্টে বলা হয়েছিল সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১৭ থেকে ৮৩ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে।  কিন্তু  নতুন গবেষণার ফল অনুযায়ী আনুমানিক এ হার ৫ থেকে ৯৫ শতাংশ।  প্রত্যাশিত তাপমাত্রা বাড়বে ২ সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/21/1558416877390.jpg

একক বৃহত্তম হিসেবে গ্রীনল্যান্ডের বরফ স্তর গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে।  ইতোমধ্যে এন্টার্কটিকার বরফ স্তরও গলতে শুরু  করেছে।

প্রফেসর বামবার বলেন, বর্তমানে বরফ গলার হারটা কম মনে হলেও পরিসংখ্যানগভাবে এর ব্যাপকতা বিশাল। এর কারণে পশ্চিম এন্টার্কটিকা প্রাণিকূলের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়বে এবং এর মতো পূর্ব এন্টার্কটিকার একটি বৃহৎ অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই পরিস্থিতি পৃথিবীতে মারাত্মক জটিলতা তৈরি করবে।

গবেষকদের হিসাব অনুযায়ী লিবিয়ার আয়তনের মতো ১ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন কিলোমিটার এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাবে। বাংলাদেশের বৃহৎ একটি অংশের মানুষ তাদের বাসস্থান হারাবে।

বৈশ্বিক দিকে থেকে কৃষি জমির বিরাট এক অংশ তলিয়ে যাবে। লন্ডন, নিউ ইয়র্ক এবং সাংহাইয়ের মতো বৃহৎ শহরও  এই ঝুকির মধ্যে রয়েছে।  ইউরোপে বাস্তুহারা লোকের চাপ বাড়বে বলে মত দিয়েছেন  বিজ্ঞানীরা।

   

রোমানিয়ায় কার্গো জাহাজ ডুবে নিখোঁজ ৩



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোমানিয়ার উপকূলে একটি কার্গো জাহাজ ডুবে ওই জাহাজে থাকা তিন সিরীয় নাবিক নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের খুঁজতে কৃষ্ণ সাগরে অভিযান চালাচ্ছে দেশটির নৌবাহিনী

শনিবার (১৮ মে) সকালে ‘মোহাম্মদ জেড’ নামের তানজানিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি রোমানিয়ান শহর সান্তু জর্জে থেকে ২৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ডুবে যায়। ওই সময় জাহাজটিতে ১১ জন ক্রু ছিলেন। যার মধ্যে নয়জন সিরিয়ার এবং দুজন মিসরের নাগরিক ছিলেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে রোমানিয়ার নৌবাহিনী।

তারা আরও জানিয়েছে, ভোর ৪টার দিকে দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে নৌ সেনা ও পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়। ওই সময় কাছাকাছি থাকা দুটি বাণিজ্যিক জাহাজও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।

জাহাজের ৮ নাবিককে কাছে থাকা একটি বাণিজ্যিক জাহাজই উদ্ধার করে। কিন্তু তিনজন নিখোঁজ হয়ে যান। এই তিনজনের সবাই সিরিয়ার নাগরিক। কী কারণে জাহাজটি ডুবে গেলো সেই তথ্য এখনো জানা যায়নি।

;

ইরানে দুই নারীসহ ৭ জনের ফাঁসি কার্যকর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত দুই নারীসহ সাতজনের ফাঁসি কার্যকর করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান।

শনিবার (১৮ মে) তাঁদের এ দণ্ড কার্যকর করা হয়। খবর এএফপি। 

নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে আইএইচআর বলেছে, ফাঁসি কার্যকর করা দুই নারীর মধ্যে একজন হলেন পারভিন মুসাভি। ৫৩ বছর বয়সী এই নারী দুই সন্তানের জননী। তাকে মাদক-সংক্রান্ত মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। আরেক নারী হলেন ফাতেমেহ আবদুল্লাহি (২৭)। স্বামীকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মুসাভি চার বছর ধরে কারাগারে ছিলেন। মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, পাঁচ কেজি পরিমাণ মাদকের একটি প্যাকেজ বহন করার জন্য এই নারীকে ১৫ ইউরোর সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছিল।

আইএইচআর জানিয়েছে, এ বছর ইরানে এখন পর্যন্ত ২২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে চলতি মাসে অন্তত ৫০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

;

সৌদি আরবে বিকিনি পরেই হাঁটলেন মডেলরা!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রক্ষণশীলতার বেড়াজাল থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে সৌদি আরব। দেশটিতে নারীদের পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে বিধি-নিষেধও উঠছে ধাপে ধাপে।

এ বছর প্রথম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায়ও সৌদির এক মডেলকে দেখা গেছে। বোরখা খুলে বিকিনি পরেই র‌্যাম্পে হেঁটেছিলেন ২৭ বছরের রুমি আলকাহতানি।

মিন্ট জানিয়েছে, এবার এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছে পুরো বিশ্ব। সেটা হলো, এই প্রথম সেই দেশে বিকিনি পরেই ফ্যাশন শো’তে হাঁটেছেন মডেলরা।

সৌদিতে শুক্রবার (১৭ মে) রেড সি ফ্যাশন উইকের দ্বিতীয় দিন ছিল। আর সেখানেই এই বিপ্লব ঘটেছে বলে জানা গেছে। সেন্ট রেজিস রেড সি রিসর্টের সুইমিং পুলের পাশেই আয়োজন করা হয়েছিল সেই ফ্যাশন শো’র।

ওই ফ্যাশন শো’র ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মরক্কোর পোশাক ডিজাইনার ইয়াসমিনা কাঞ্জলের তৈরি রং-বেরঙের বিকিনিতে একে একে হেঁটে চলছেন সুন্দরী মডেলরা।

মডেলদের কারও কাঁধ ছিল উন্মুক্ত, কারও বক্ষখাঁজ স্পষ্ট। তবে, বিকিনি পোশাক পরলেও অনেক মডেলই ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন মাথা ঢেকে। খানিকটা হিজাবের মতো করেই মাথায় স্কার্ফ বাঁধতে দেখা গেছে তাদের।

সৌদির মাটিতে প্রথমবার বিকিনি পরিয়ে মডেলদের হাঁটানো নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ইয়াসমিনাও। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সৌদি আরব নিঃসন্দে অত্যন্ত রক্ষণশীল একটি দেশ। এই দেশে পা রেখেই বুঝেছিলাম বিকিনি ফ্যাশন শো’র দিনটি এই দেশের ইতিহাসে লেখা হবে। রক্ষণশীল সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখেই আমরা রুচিশীল বিকিনিগুলোর নকশা করেছি। এই ফ্যাশন শো’তে অংশ নিতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।’’

;

ব্রাজিলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৪



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাজিলের দক্ষিণের রিও গ্রান্ডে ডো সুল রাজ্যে ঝড় ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা শুক্রবার (১৭ ) জানিয়েছে, গত ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা প্রায় প্রতিদিনই বেড়েছে।

সংস্থাটির মতে, রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলের অন্তত ৪৬১টি পৌরসভায় প্রায় ২.৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং মোট ৬ লাখ ২০ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ১৯ দিনের জরুরি অবস্থার মধ্যে ৮২ হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নজিরবিহীন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে রাজ্যটিতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে দক্ষিণ ব্রাজিলের ভয়াবহ বন্যা ও ঝড়ের সৃষ্টি হয়।

রাজ্যেটির রাজধানী পোর্তো আলেগ্রের সালগাদো ফিলহো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি প্লাবিত হওয়ায় সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, দেশে ভয়াবহ বন্যার কারণে চিলিতে তার রাষ্ট্রীয় সফর স্থগিত করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও দা সিলভা।

প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে গত সোমবার (১৪ মে) জানিয়েছিল যে, বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কারণে আগামী ১৭ ও ১৮ মে প্রেসিডেন্টের চিলি সফর হচ্ছে না।

ব্রাজিলের সরকারি হিসেবে বলা হয়েছে, বন্যার ফলে এখনও ১২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

;