উত্তর কোরিয়ার নারী দিয়ে চীনে রমরমা যৌন ব্যবসা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর কোরিয়ার হাজারো নারী ও কিশোরীকে পাচার করে চীনে বাধ্যতামূলকভাবে যৌন কর্মে বাধ্য করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ান নাগরিকদের পুনর্বাসিত করার সুযোগে দেশিয় দালাল চক্র ও  চীনা দালালদের যোগসাজশে পাচার হচ্ছেন এসব নারী। 

লন্ডনভিত্তিক রাইটস গ্রুপের এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সার্ভাইভারস নামে একটি সংস্থাও চীন থেকে কৌশলে এসব তথ্য সংগ্রহ করে পরে তা প্রকাশ করে।

প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, চীনের উত্তর কোরিয়াকে পুনর্বাসিত করার সুযোগে এসব নারীকে প্রায়ই ফাঁদে ফেলে পাচার করা হচ্ছে। পরে চীনে নিয়ে নিগৃহীত হিসেবে তাদের অধিকাংশকে একাধিকবার বিক্রি করা হয় এবং বাসায় নিয়ে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

অপহরণকৃত এসব নারীদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কমবয়সী কিশোরীদের সাইবার সেক্স ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় করতে বাধ্য করা হয় এবং ক্যামেরার সামনে যৌন অভিনয় করতেও বাধ্য করা হয়। আর তাদের দক্ষিণ কোরিয়ান হিসেবেই উপস্থাপন করে চলে এ ব্যবসা।

রিপোর্টের প্রতিবেদক উন হি সুন বলেন, উত্তর কোরিয়ার নারী ও কিশোরীকে অপহরণ করে চলা এই বাণিজ্যের পরিমাণ বছরে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা। এসব নারীদের জোরপূর্বক বিয়ে করে পরে ১২ হাজার থেকে শুরু করে ছয় লাখ পর্যন্ত টাকার বিনিময়ে প্রত্যন্ত এলাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়। তাদের কিনে বাসায় আটকে রেখে যৌনকর্ম করে থাকেন স্বামীরা।

পাচার করা এসব নারীদের বয়স ১২ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে। তাদের কাছ থেকে নেওয়া তথ্য নিয়ে লন্ডনভিত্তিক রাইটস গ্রুপ এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব নারী ও কিশোরীকে অপহরণ করে যৌনপল্লীতে বিক্রি অথবা চীনা নাগরিককে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। যৌন কর্মের জন্য বাংলাদেশি টাকায় সাড়ে তিনশ আর স্ত্রী হিসেবে বিক্রি করা হয় বাংলাদেশি টাকায় ১২ হাজার টাকায়।

উত্তর কোরিয়ার চংজিন সিটির মিসেসে পিয়ন নামে ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, আরও অন্য ছয় উত্তর কোরিয়ান নারীদের মতো আমাকেও হোটেলে বিক্রি করে দেওয়া হয়। সেখানে আমাদের ঠিকমতো খাবার খেতে দেওয়া হতো না এবং যৌনকর্মে বাধ্য করা হতো। এভাবে আট মাস পেরিয়ে গেলে আবারও আমাদের বিক্রি করে দেওয়া হয়। বিক্রি হওয়ার পরে দালালরাও আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে নতুন যৌনপল্লীতে গেলে আমার দেহকে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। দালালদের একটি দল আমাকে মারধর করে।

ভুক্তভোগী আরেক নারী কিম বলেন, চীনে আমাদের পরিচয় সম্বলিত কার্ড হোটেলগুলোর দরজায় টাঙিয়ে দেওয়া হয়। কার্ডগুলো ছিল কোরিয়ান ভাষায়। সেখানে নানা অফার দিয়ে আমাদের বারে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলো সাধারণত উত্তর কোরিয়ার যৌনকর্মীদের চায়। তাদের এক ব্যবসায়িক পার্টনারের সঙ্গে আমার এটাই ছিল আমার প্রথম অভিজ্ঞতা।

চীনের উত্তর পূর্বের একটি জেলার যৌনপল্লীতে চলে এই বেচাকেনা। আর সেখানকার অভিবাসী ওয়ার্কাররাই এসব নারীদের খদ্দের।

   

পশ্চিমবঙ্গের মালদহে বজ্রপাতে নিহত ১৩



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহে বজ্রপাতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে মালদহে বিভিন্ন এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি নামলে এসব ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ৩ জন শিশু রয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরাতন মালদহের সাহাপুরে একসঙ্গে তিনজনের মৃত্যু হয়। আম বাগানে আম কুড়ানো ও পাহাড়ার কাজ করার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় ওই তিনজনের।

মারা যাওয়া ওই তিন ব্যক্তি হলেন- চন্দন সাহানি (৪০), রাজ মৃধা (১৬) ও মনোজিৎ মণ্ডল (২১)। অন্যদিকে গাজোলের আদিনাতে আম বাগানে বজ্রপাতে মারা যান একাদশ শ্রেণির ছাত্র অসিত সাহা (১৯)। ঝড়ের সময় আম বাগানে আম কুড়াতে গিয়ে তিনি মারা যান।

এ ছাড়া হরিশচন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের কুরশাডাঙা গ্ৰামে কৃষিকাজ করতে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তারা হলেন- নয়ন রায় (২৩) ও প্রিয়াঙ্কা রায় (২০)।

মালদহজুড়ে পুরাতন মালদহে তিনজন, হরিশ্চন্দ্রপুরে দুই জন, মানিকচকে দুজন এবং রতুয়া, গাজোল ও ইংরেজবাজারে অন্তত একজন করে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।

এছাড়া বজ্রপাতে এক গৃহবধূসহ আরও দুজন আহত হয়েছেন। আহতদের মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

;

বাইডেনকে তিরস্কার করে ইসরায়েলে অস্ত্র চালান জোরদারে বিল পাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলে বোমার চালান স্থগিত করায় রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ (প্রতিনিধি পরিষদ) প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে তিরস্কার করেছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলে অস্ত্র চালান জোরদার করতে প্রতিনিধি পরিষদে বিল পাস হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিলটি ২২৪-১৮৭ ভোটে পাস হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়র্টাস। বিলে রিপাবলিকানদের সঙ্গে ডেমোক্র্যাট দলের ১৬ জন হ্যাঁ ভোট দিয়েছেন এবং ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে তিনজন রিপাবলিকান বিলের বিরোধিতা করেন।

এর আগে, গাজার রাফায় বড় ধরনের স্থল অভিযানের জের ধরে গত সপ্তাহে দেশটিতে বোমার একটি চালান স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ইসরায়েলকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিতে যাচ্ছে।

ইসরায়েলকে নতুন করে আরও ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিতে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নতুন করে অস্ত্রসহায়তা দেওয়ার যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে প্রায় ৭০ কোটি ডলারের ট্যাংকের গোলা, ৫০ কোটি ডলারের কৌশলগত সামরিক যান ও ৬ কোটি ডলারের মর্টারের গোলা।

তবে কত দ্রুত এসব অস্ত্রশস্ত্র ও গোলা পাঠানো হবে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামলার মুখে গাজার দক্ষিণে রাফায় আশ্রয় নেন লাখ লাখ মানুষ। এবার সেখানেও স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাহিনী। তাদের এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশটির ঘনিষ্ঠ মিত্ররাও।

এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজার রাফা এলাকায় সামরিক অভিযান বন্ধে ইসরায়েলকে চাপ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকার করা আবেদনের ওপর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) শুনানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার শুনানির প্রথম দিনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছে প্রিটোরিয়া। শুনানিতে দেশটির অভিযোগ—গাজায় ইসরায়েলের জাতিগত নিধন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

গত শুক্রবার জাতিসংঘের শীর্ষ এ আদালতে আবেদনটি করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। গাজায় ইসরায়েলের চলমান অভিযান ঘিরে আইনি প্রক্রিয়া শুরুর পর এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো আদালতটির কাছে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জানাল দেশটি।

এর আগে উপত্যকাটিতে গণহত্যার অভিযোগ এনে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

;

খারকিভে কঠিন লড়াই চলছে, তবে ‘নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে: জেলেনস্কি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের খারকিভ শহর ঘিরে ‘কঠিন লড়াই’ চলছে বলে জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত কঠিন’, তবে ‘নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) খারকিভের শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের পর জেলেনস্কি এসব কথা বলেন।

গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ সীমান্তে আকস্মিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। ইতোমধ্যে তারা বেশকিছু এলাকা দখল করে নিয়েছে যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে।

জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনীয় সৈন্যরা দখলদারের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষতি সাধন করছে। তিনি বলেন, তবে এলাকাটিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে আমাদের ইউনিটকে শক্তিশালী করছি।

খারকিভের গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ বলেছেন, ইউক্রেন এই অঞ্চলে ফ্রন্ট লাইনকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং রাশিয়ার অগ্রগতি আংশিকভাবে থামাতে সক্ষম হয়েছে।

ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মস্কো ৯ থেকে ১৫ মের মধ্যে ইউক্রেনের ২৭৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করেছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার শুরুতে খারকিভ শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছে গিয়েছিল রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে তারা আবার সীমান্তে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

;

ক্লদ মনে’র পেইন্টিং ৩৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরাসি চিত্রশিল্পী ক্লদ মনের একটি পেন্টিং নিউইয়র্কে বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় এক নিলামে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

নিলাম প্রতিষ্ঠান সোথেবিস বলেছে, এর মাধ্যমে নিউইয়র্কে বসন্তকালীন নিলামে পেন্টিং চড়া মূল্যে বিক্রির সম্ভাবনার সূচনা ঘটেছে।

সোথেবিস এবং প্রতিদ্বদ্ধী নিলাম ঘর ক্রিস্টি উভয়ই গত সোমবার তাদের বসন্তকালীন পেন্টিং নিলাম শুরু করেছে। যদিও বৈশ্বিক শিল্প বাজার গত বছর দুর্বল ছিল, কিন্তু, ২০২৪ সালে লন্ডন এবং প্যারিসে ওঠা চড়া দাম তাদের মধ্যে আশাবাদের জন্ম দিয়েছে।

১৮৯৩ সালে ফরাসি ইমপ্রেশনিস্ট শিল্পী ক্লদ মনের আঁকা পেন্টিং ‘মিউলস এ জিভার্নি’ নিলামের দরকষাকষির লড়াইয়ে দাম উঠেছে ৩৪.৮ মিলিয়ন ডলার।

এদিকে, ব্রিটিশ-মেক্সিকান শিল্পী লিওনোরা ক্যারিংটন তার নিজের নিলামের রেকর্ড ভেঙেছেন। তার ‘লেস ডিস্ট্রাকশন ডি ডাগোবার্ট’ পেন্টিংটি ২৮.৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে।

সাথেবিস বলেছে, ‘নতুন রেকর্ডটি ক্যারিংটনকে নিলামে শীর্ষ পাঁচ নারী শিল্পীর মধ্যে স্থান দিয়েছে এবং শীর্ষ চার পরাবাস্তববাদী শিল্পীর মধ্যে ম্যাক্স আর্নস্ট এবং সালভাদর ডালিকে ছাড়িয়ে গেছে।’

ইতোমধ্যে নিলাম ঘর ক্রিস্টি প্রায় ১১৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে, যার মধ্যে একটি জিন-মিশেল বাস্কিয়েরেট পেইন্টিং ৩২ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে।

;